• ২০২৪ মে ০৯, বৃহস্পতিবার, ১৪৩১ বৈশাখ ২৬
  • সর্বশেষ আপডেট : ১১:০৫ অপরাহ্ন
English
পরিচালনাপর্ষদ
আমাদের সাথে থাকুন আপনি ও ... www.timebanglanews.com

পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে নিজের স্ত্রী হত্যার বিচারের দাবিতে মানবন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল।

  • প্রকাশিত ১১:০৫ অপরাহ্ন বৃহস্পতিবার, মে ০৯, ২০২৪
পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে  নিজের স্ত্রী হত্যার বিচারের দাবিতে মানবন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল।
টাইম বাংলা নিউজ
এস. এম. সাজ্জাদ হোসেন পিয়াসঃ

চট্রগ্রামের হালিশহরের শান্তিবাগ এলাকার মো. মিজানুর রহমান জাবেদের বিরুদ্ধে তার নিজের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার কলিকে পিটিয়ে   হত্যার অভিযোগ ওঠেছে। তিনি চট্রগ্রাম হালিশহরের থানায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) পদে কর্মরত আছেন। এ ঘটনায় এসআই জাবেদের ফাঁসির দাবিতে লাশ নিয়ে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে নিহতের পরিবার এবং স্বজনরা। পরে তারা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে। এতে নিহতের পরিবারের সদস্য ছাড়াও স্থানীয় লোকজন জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী  অংশগ্রহণ করেন।

রোববার সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত দফায় দফায় এসব কর্মসূচি পালন করে তারা।মানবন্ধনে স্বজনরা কলি হত্যার বিচার দাবিতে নানা স্লোগান দেন। এ সময় তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জাবেদকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। পরে তারা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে। এরআগে শনিবার রাতে চট্টগ্রাম থেকে একটি ফ্রিজারভ্যানে করে নোয়াখালীতে নিহত কলির লাশ আনা হয়।

মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল  থেকে জানানো হয়, পুলিশের এসআই মিজানুর রহমান জাবেদ ও নিহত ফাতেমা আক্তার কলি দুজনই নোয়াখালীর বাসিন্দা। জাবেদ সদর উপজেলার বিনোদপুরের বাসিন্দা এবং কলি একই উপজেলার কাদিরহানিফের বাসিন্দা। তাদের ঘরে এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানও রয়েছে। গত ২০১৪ সালে মিজানুর রহমান জাবেদের সাথে পারিবারিক ভাবে ফাতেমা আক্তার কলির বিয়ে হয়। এরপর থেকে স্বামীর সাথে চট্টগ্রামের হালিশহরে থাকতো তারা। কিন্তু জাবেদের বদ মেজাজী স্বভাবের কারণে বিভিন্ন সময় কলিকে মারধর করতো সে। এরই মধ্যে পাশ্ববর্তী এক নারীর সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে জাবেদ। একই সাথে পুলিশে চাকরি করার সুবাধে বেআইনি ভাবে টাকা উপার্যন করতে শুরু করে। এসব বিষয়ে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে কলির ওপর নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। এর যের ধরে গত ৬-৭ মাস আগে কলিকে মারধর করলে তার মাথায় ও চোখে আঘাত প্রাপ্ত হয়। এসব ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদ করলে জাবেদ কলিকে হত্যার হুমকি দেয়।

এর জের ধরে গত২৫মার্চ বিকেলের কোন একসময় ফাতেমা আক্তার কলিকে মারধর করে হত্যার পর চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে সে আত্মহত্যা করেছে বলে পরিবারের সদস্যদের মোবাইলে জানায়। কলির গলায় গোলাকার কালো দাগ এবং হাতে কাটা জখমের একাধিক চিহৃ রয়েছে। এ বিষয়ে রোববার সকালে হালিশহর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন কলির বাবা আহছান উল্যাহ্।

হালিশহর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আল-মামুন জানান, এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদি হয়ে এসআই মিজানুর রহমান জাবেদ’সহ ৫জনকে আসামি করে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নিহতের লাশ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সর্বশেষ