• ২০২৪ নভেম্বর ২১, বৃহস্পতিবার, ১৪৩১ অগ্রহায়ণ ৭
  • সর্বশেষ আপডেট : ০১:১১ অপরাহ্ন
English
পরিচালনাপর্ষদ
আমাদের সাথে থাকুন আপনি ও ... www.timebanglanews.com

ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ‘রাইডারদের’ বিক্ষোভ

  • প্রকাশিত ০১:১১ অপরাহ্ন বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪
ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ‘রাইডারদের’ বিক্ষোভ
ফাইল ছবি
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

 লকডাউনের মধ্যে শহরগুলোতে গণপরিবহন চালুর পর রাইড শেয়ারিংয়ে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভে করেছে মোটর বাইক চালকরা।  

বুধবার দুপুরে মগবাজার, খিলক্ষেত, মিরপুর, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভের সময় সড়কও অবরোধ করেছিল বাইক চালকরা।

ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান টাইমবাংলা নিউজ ডটকমকে বলেন, “তারা বেশ কিছু দাবি দিয়ে বিক্ষোভ করেছে। তাদের দাবি আমরা শুনেছি।

“তবে তারা বেশিক্ষণ সড়কে অবস্থান করেননি। আধাঘণ্টা থেকে চলে গেছেন।”

করোনানাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে এক সপ্তাহের লকডাউন জারির পর রাইড শেয়ারিংয়েও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তবে মানুষের দুর্ভোগ এড়াতে ঢাকাসহ বড়ু শহরগুলোতে থেকে গণপরিবহন চালুর উপর নিষেধাজ্ঞা বুধবার তুলে নেওয়া হয়।

শেয়ারে বাইক চালক বা রাইডারদের অভিযোগ, মোটরসাইকেলে দুইজন চলতে তাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে, পুলিশ মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।

বন্ধু পরিচয় দিলে আবার ছেড়েও দিচ্ছে- এমন ঘটনাও ঘটছে বলে জানান রাইডার আমানউল্লাহ।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, একজনকে নিয়ে তিনি নারায়ণগঞ্জ যাওয়ার সময় পথে পুলিশ তাকে আটকায়। পর বন্ধু পরিচয়ের পাশপাশি অনেক অনুনয় অনুরোধ করার পর পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়।

তিনি বলেন, তাদের সহকর্মীদের মধ্যে একজনকে মিরপুরে আটকায় পুলিশ। সেখানে মামলা দিলে অন্যন্য সহকর্মীরা সেখানে জড় হয়ে বিক্ষোভ করে।

একইভাবে রাজধানীর বিভিন্নস্থানে বিক্ষোভ হয় বলেও জানান তিনি।

আমানউল্লাহ বলেন, “আমাদের আয়-রুজির পথ তো বন্ধ হয়ে গেছে।”

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মগবাজার মোড়ে দুপুর ১টার পর বিক্ষোভ শুরু করে রাইডাররা। তখন সেখানে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ তাদের ধাওয়া দিলে সাত রাস্তা মোড়ে গিয়ে অবস্থান নেয় রাইডাররা। সেখানে কিছুক্ষণ থাকার পর পুলিশ আবার ধাওয়া দিলে তারা লাভ রোডের দিতে সরে যায়।

ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রাইডাররা রাজধানীর বিভিন্নস্থানে বিক্ষোভ করলেও বেশিক্ষণ রাস্তা অবরোধ করে রাখতে পারেনি।পুলিশ তাদের সরিয়ে দিয়েছে।

অতিরিক্ত কমিশনার মুনিবুর রহমান জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত রাইড শেয়ারিং বন্ধ রাখার অনুরোধ করে সহযোগিতা চেয়েছে।

বর্তমান করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় রাইড শেয়ারিংয়ে যাত্রী না ওঠানোর জন্য রাইডারদের অনুরোধ করেন তিনি।

মুবিনুর বলেন, “দীর্ঘ সময়ের ভালোর জন্য সাময়িক এই অসুবিধা হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই আবার তারা শুরু করতে পারবে।”

সর্বশেষ