নোয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে পকেট কমিটি দেওয়ার অভিযোগে সদর উপজেলা, নোয়াখালী পৌরসভা, নোয়াখালী সরকারি কলেজ ও সোনাপুর কলেজ ছাত্রলীগের সদ্য ঘোষিত কমিটিকে প্রত্যাখান করে বাতিলের দাবিতে জুতা ও ঝাড়ু মিছিল করেছে সদর উপজেলা, পৌরসভা, নোয়াখালী ও সোনাপুর ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মিরা।
একই সময়ে সদ্য ঘোষিত বিভিন্ন ইউনিটের কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষনা করা হয়েছে। বিক্ষোভ মিছিলে নেতাকর্মিরা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় স্লোগান দিয়ে বলে কালো টাকার কমিটি মানিনা মানবনা। ভাইয়া লীগের কমিটি মানিনা মানব না। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক আরমান-আদনানের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে। এছাড়াও আরো বিভিন্ন স্লোগান দেয় তারা।
শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে জেলা শহর মাইজদীতে সদর উপজেলা, নোয়াখালী পৌরসভা, নোয়াখালী ও সোনাপুর কলেজ ছাত্রলীগের একাংশের কয়েক শ নেতাকর্মী এ কর্মসূচি পালন করে । এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কমিটি ঘোষণার সাথে সাথে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জানান, এ কমিটিতে পদায়নের ক্ষেত্রে সিনিয়র জুনিয়র মানা হয়নি। তাছাড়া মাদক ব্যবসায়ী, অছাত্র, টকার বিনিময়ে পকেট কমিটি দেওয়া হয়। তাছাড়াও এ কমিটিতে ত্যাগিদের মূল্যায়ন করা হয় নি বলে তারা দাবি করেন। তারা আরো বলেন কোন প্রকার সম্মেলন ছাড়া মাই ম্যান হিসাব করে কমিটি ঘোষনা করা হয়। ছাত্রলীগের নেতকর্মীরা আরো বলেন এর আগে গত ১ তারিখ রোজ রবিবার বেগমগঞ্জ উপজেলা, সেনবাগ উপজেলা, চৌমুহনী পৌরসভা, সেনবাগ পৌরসভা, চৌমুহনী এস এ কলেজ, সেনবাগ সরকারি কলেজ কমিটি ঘোষনা নিয়েও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা হয়। সেখানেও বিবাহিত, অছাত্র, মাদকসেবীদের কমিটিতে রাখা হয় বলে দাবি করে তারা।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকে মোবাইলে কল দিয়েও তাদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি। এছাড়াও গতকাল কমিটি ঘোষনার পর পরই জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক তাদের ফেসবুক থেকে জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটি বরাবর পোস্ট করে তারা।
মতামত দিন