ঝালকাঠির রাজাপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কিশোর গ্যাং এর দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষে দুইজন গুরুত্বর আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার বাগড়ি ও স্কুল খেলার মাঠে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার পর থেকে উপজেলা জুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
জানাগেছে, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কিশোর গ্যাং এর দুই গ্রুপের মধ্যে পূর্ব থেকেই ছোট ছোট মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে গত ৭ জুলাই মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা আক্তার লাইজুর ছেলে জাহেদ জোহা ও শাকিল, সানি গ্রুরের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা হয় এসময় জায়েদ জোহা গ্রুপের জোহা গুরুত্বর আহত হয়। ঐ ঘটনায় পরে জোহা গ্রুপের জোবায়েরের নেতৃত্বে ডাকবাংলো মোরের শাকিল, সানি গ্রুপের আজিমের ওপর হামলা চালায়। ঐ দিনের হামলার জের ধরে বৃহস্পতিবার (১৪জুলাই) বিকাল সোয়া পাঁচটার দিকে রাজাপুর পাইলট মডেল স্কুলে খেলার মাঠে শাকিল, সানি গ্রুপের ওপর জাহেদ জোহা গ্রুপ হামলা চালায়। এতে শাকিল, সানি গ্রুপের মঠবাড়ি ইউনিয়নের বাদুরতলা এলাকার ও বর্তমান টিএন্ডটি রোডের বাসিন্দা মৃত আবুল কালামের ছেলে মো. সানি (১৩) গুরুতর আহত হয়। এর একটু পরে শাকিল, সানি গ্রুপ বাগড়ি বাজারে জুবায়েরকে না পেয়ে তার বাবা পানের দোকানী সাইদুলকে দোকান থেকে ধরে নিয়ে মারধর করে। এতে সাইদুল আহত হয়। এর পরে তৃতীয় দফায় বাগড়ি আলহাজ লালমোন হামিদ মহিলা কলেজের গেটে শাকিল, সানি গ্রুপ জোহা গ্রুপের ওপর হামলা চালায় এবং জোহার মোটরসাইকেল কুপিয়ে বিনষ্ট করে। এতে জোহা গ্রুপের উপজেলা মনোহরপুর এলাকার মো. শামিমের ছেলে ফাহিম(১৮) গুরুতর আহত হয়। আহতদের অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাদের বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। উভয় গ্রুপের প্রায় সব সদস্যরাই রাজাপুর মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্লাস নাইনের ছাত্র।
আহত সানির মা মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী লিপি বেগম বলেন, কি নিয়ে জামেলা তা আমি জানিনা। তবে ভাইস চেয়ারম্যান লাইজুর ছেলে একদিন মহিলা কলেজের গেটে আমার দুই ছেলে শাকিল, সানিকে একবার মারধর করে। পরে আবার লাইজুর ছেলে জোহাকে শাকিল, সানি, আজিম মারে। তখন আমরা লাইজুকে বলেছিলাম আমরা নিজেরা নিজেরা বসে ছেলেদের মিলিয়ে দেই। পরে কি হইছে তা আর জানিনা।
উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আফরোজা আক্তার লাইজু বলেন, গত ৭জুলাই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জোহাকে এলোপাথ্যারি পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে শাকিল, সানি, আজিম, রাব্বিসহ কয়েকজন। এ ঘটনার জেরে আমাদের কিছু না জানিয়েই ওরা আবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় গ্রুপের ২জন রক্তাক্ত জখম হয়। এদের মধ্যে ফাহিমের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
রাজাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ পুলক চন্দ্র রায় বলেন, কিশোরদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এখনও কোন মামলা হয়নি। দুই পক্ষের দুজন বরিশালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মতামত দিন