গত ০৭ নভেম্বর ২০২২ ইং তারিখ দুপুরে নাজিরপাড়া এলাকার ফরিদ আলমের সঙ্গে একই এলাকার এজাহার মিয়ার ছেলে মাদক কারবারি খোকন এর বাগবিতন্ডা হয়। ঘটনাস্থলেই বিষয়টি উপস্থিত লোকজন সমঝোতা করে দেন। ওই দিন বিকালে ফরিদ আলমের ছেলে আবুল ফয়েজ (২৯), তার টমটম গাড়ি নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে নাজিরপাড়া ফুটবল খেলার মাঠে খোকন ও গুরা মিয়া ইয়াবা কারবারি আফছার, হেলাল ও বেলালসহ বেশ কয়েকজন মিলে মধ্যযুগীয় কায়দায় তাদের হাতে থাকা লাঠি, হাতুরী, লোহার হাম্বল, কিরিচ, কুড়াল এবং লোহার শাবল নিয়া এলোপাতাড়ী ভাবে পিটিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন গুরুতর অবস্থায় ফয়েজকে টেকনাফ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবুল ফয়েজের মৃত্য হয়। এ সংক্রান্তে টেকনাফ থানার মামলা নং-৩৯/১০০৩; তারিখঃ ১৪/১১/২০২২খ্রিঃ; ধারা-১৪৩/১৪৪/৩২৩/৩০২/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়। ঘটনার পর হতে আসামীরা গ্রেফতার এড়াতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে চলে যায়। পরবর্তীতে ২৬/১১/২০২২ খ্রিঃ তারিখ র্যাব-১৫ এর সিপিসি-২, হোয়াইক্যং ক্যাম্প বিষয়টি অবগত হয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে সিএমপি, চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানাধীন রিয়াজউদ্দিন বাজার এলাকা হতে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ০১নং আসামী নুরুল ইসলাম @ খোকন (৩৪), ০৫নং আসামী মোঃ বেলাল (৩৫), উভয় পিতা- নুরুল আলম, ০৬নং আসামী গুরা মিয়া (৫৯), পিতা-মৃত হাজী নজু মিয়া, এবং ০৮নং আসামী কেফায়েত উল্লাহ (১৯), পিতা- নুর আলম, মাতা- নুরনাহার, সর্ব সাং-নাজির পাড়া, ০৮নং ওয়ার্ড, টেকনাফ সদর ইউপি, থানা-টেকনাফ, জেলা- কক্সবাজারগণকে গ্রেফতার করা হয়। উল্লেখ্য যে, পূর্বেও তাদের বিরুদ্ধে ততোধিক মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের সংক্রান্তে পূর্বের হত্যা মামলা মোতাবেক পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মতামত দিন