• ২০২৪ এপ্রিল ২৬, শুক্রবার, ১৪৩১ বৈশাখ ১৩
  • সর্বশেষ আপডেট : ০৫:০৪ অপরাহ্ন
English
পরিচালনাপর্ষদ
আমাদের সাথে থাকুন আপনি ও ... www.timebanglanews.com

উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসনের বৈষম্য!

  • প্রকাশিত ০৮:০৪ পূর্বাহ্ন শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪
উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসনের বৈষম্য!
টাইম বাংলা নিউজ
নিজস্ব প্রতিবেদন


সুগন্ধায় ফেইসবুকে ঘোষনা দিয়ে আবারও মুকুল সিন্ডিকেটের অবৈধ স্থাপনা! 


শহরের পর্যটন এলাকার কলাতলীর সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে চলছে হরদম দখলবাজি।সরকারি শত কোটি টাকার জমির ওপর প্রতিনিয়ত গড়ে ওঠছে অবৈধ স্থাপনা।

দিনে যেমন-তেমন গভীর রাতেও চলে দখলের মহোৎসব।প্রশাসন কোনো মতেই দমাতে পারছে না শক্তিশালী দখলবাজদের। কয়েক দফা উচ্ছেদ  করার পরও থেমে নেই স্থাপনা নির্মাণ। 

সূত্রমতে, কলাতলীর সুগন্ধা পয়েন্টের রাস্তার উত্তর পাশে এবং প্রধান সড়কের পশ্চিম পাশে রয়েছে রাজনৈতিক পরিচয়ে দখলবাজ সিন্ডিকেটের সারিবদ্ধ হরেক রকমের অবৈধ দোকান।যেখানে রয়েছে রেস্টুরেন্ট, ফিশ ফ্রাই, ট্যুরিজম অফিসসহ নানা পেশার দোকান। সুগন্ধার উত্তর সারির অবৈধ স্থাপনার নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন দুই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আর প্রধান সড়কের পশ্চিম পাশে রয়েছে তিন বিএনপির নেতা। 

কিছুদিন পূর্বে প্রধান সড়কের পশ্চিম পাশের আমিনুল ইসলাম মুকুল, জয়নাল আবেদীন, নুরুল আমিনসহ বেশিকিছু দখলবাজের প্রায় ১২ টি দোকানের সামনের অংশ প্রশাসন ভেঙ্গে দিয়েছিল। কিন্তু সেইসব স্থাপনার সামনের অংশ ভেঙ্গে দিলেও পুরোপুরি উচ্ছেদ না করায় তারা পূনরায় প্রশাসনকে মোটা অংকের টাকায় ম্যানেজ করে এসব জায়গায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে ফেইসবুকে ঘোষণা দিয়ে ব্যবসা শুরু করেছে মুকুলের নেতৃত্বে তিন বিএনপি নেতা।

জানা যায়, ইতিমধ্যে মুকুল-জয়নাল সিন্ডিকেট এর এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার জন্য সেচ্ছাসেবী লীগ নেতা আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারক লিপিও দেওয়া হয়েছিল। এসব স্থাপনার বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় সুগন্ধা সড়কের উত্তর পাশে উচ্ছেদ হওয়া আবদুর রহমান, হাজী জসিম উদ্দিন সিন্ডিকেট এর লোকজন গত ১৬ নভেম্বর রাতের আঁধারে পূনরায় স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। 

এসব স্থাপনা কেন নির্মাণ করা হলো জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে রহমান- জসিম সিন্ডিকেট এর একজন বলেন, প্রশাসন উচ্ছেদ নিয়ে আমাদের সাথে বৈষম্য আচরণ করেছেন। মুকুল-জয়নালের নেতৃত্বে দখল হওয়া স্থাপনা উচ্ছেদ না করায় আমরাও নতুন করে স্থাপনা নির্মাণ করেছি। তবে প্রশাসন এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করলে আমাদেরটাও উচ্ছেদ করুক এতে আমাদের কোন আপত্তি থাকবে না। প্রশাসনের একাধিকবার উচ্ছেদ অভিযানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সরকারি জমিতে অবৈধ দোকান নির্মাণের কারণে পর্যটন এলাকার সর্বস্তরের লোকজনের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তবে  পর্যটন সেলের দ্বায়িত্ব থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে এসব অবৈধ স্থাপনা ও দোকানগুলো সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেয় হয়েছে। বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। যদি তারা নিজেদের উদ্যোগে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে না নেয় তাহলে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে উচ্ছেদ করা হবে। তাছাড়া এটি উচ্ছেদের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

সর্বশেষ