কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদে বাড়ি নির্মাণ করতে গিয়ে অসাধু চক্রের বদ নজরে পড়েছে রেমিট্যান্স যোদ্ধার পরিবার। একেরপর এক হামলা ভাংচুর করে যাচ্ছে এ চক্রটি। আইনের আশ্রয় নিয়ে ও কোন স্থায়ী সমাধান পাচ্ছে না বলে জানান ভূক্তভোগীরা।
জানা যায় , উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের ফরাজী পাড়ার মোহাম্মদ শফির ছেলে সৌদি প্রবাসী
ছৈয়দ করিম বাড়ির পার্শ্ববর্তী ৩০ শতক জায়গা নিয়ে বাড়ি নির্মাণ কাজ শুরু করে প্রায় ২ বছর আগে। শুরুতে অসাধু চক্রের বদ নজরে পড়ে এই রেমিট্যান্স যোদ্ধা । এই চক্র বিভিন্ন সময় নানা অজুহাতে হামলা, ভাংচুর সহ বিভিন্ন অত্যাচার নির্যাতন করে আসছে প্রবাসীর স্ত্রী, সন্তানদের। অনেক সময় বিভিন্ন লোকজন দিয়ে জায়গা পাবে বলে হামল ও ভাংচুর করে। বিচার শালীশের আয়োজন করলে এরা সরে পড়ে। এ ঘটনায় ঈদগাঁও থানায় অভিযোগ ও আদালতে চাঁদাবাজির মামলা করা হয়েছে। এ ভাবে প্রতিনিয়ত , বিচার, বৈঠক, থানা, আদালতে ঘুরতে ঘুরতে সর্বশান্ত হচ্ছে এ রেমিট্যান্স যোদ্ধার পরিবার।
অভিযোগ করলে কিছু দিনের জন্য এরা নিভৃত হলে ও পরে আবার ভিন্ন কৌশলে প্রয়োগ করে। ২৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় ১০/১৫ জনের সশস্ত্র সংঘবদ্ধ চক্রের নেতৃত্বে কিছু ভাড়াটিয়া বাহিনী অতর্কিত টিনের ঘেরা- বেড়া ভাংচুর করে। এ সময় প্রবাসী ছৈয়দ করিমের স্ত্রী রাশেদা আক্তার এগিয়ে আসলে তাকে কিরিচ দা দিয়ে দৌড়ায় এবং প্রকাশ্যে হুমকি- ধমকি দিয়ে সশস্ত্র সহড়া দেয়।
এলাকার লোকজন জানান, দীর্ঘদিন ধরে এ প্রবাসী পরিবারকে চরম ভাবে হয়রানি করে আসছে এ চক্র।
ছৈয়দ করিমের স্ত্রী রাশেদা বেগম জানান, এদের বাড়িতে আবারো হামলা ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে টাকার বিনিময়ে আগত
স্থানীয় ও বহিরাগত ১৫ থেকে ২০ জনের সন্ত্রাসী বাহিনী। ভূক্তভোগীরা প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
স্থানীয় মেম্বার নুরুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন , জায়গার বিরোধ নিয়ে এ ঘটনা চলমান রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। স্থানীয় ভাবে বসলে সমাধান করা সম্ভব হবে।
প্রতিপক্ষের শামসুল আলম জানান, এদের বাড়ির সামনে তাদের ক্রয়কৃত জায়গা রয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ এড়াতে এলাকাবাসী প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
মতামত দিন