• ২০২৪ মে ০৫, রবিবার, ১৪৩১ বৈশাখ ২২
  • সর্বশেষ আপডেট : ১১:০৫ অপরাহ্ন
English
পরিচালনাপর্ষদ
আমাদের সাথে থাকুন আপনি ও ... www.timebanglanews.com

কে আসল মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে সম্প্রতি রাস্তায় কয়েকজন পুলিশ সদস্য, একজন ম্যাজিস্ট্রেট এবং একজন ডাক্তারের মধ্যে বাক-বিতণ্ডার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।

  • প্রকাশিত ০৯:০৫ অপরাহ্ন রবিবার, মে ০৫, ২০২৪
কে আসল মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে সম্প্রতি রাস্তায় কয়েকজন পুলিশ সদস্য, একজন ম্যাজিস্ট্রেট এবং একজন ডাক্তারের মধ্যে বাক-বিতণ্ডার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
ফাইল ছবি
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

বীরবিক্রম কখনো কখনও ভূয়া হতে পারে না,???মুক্তিযুদ্বো সনদ অনেক বিতর্ক জন্ম দিয়েছে!! " তার প্রমান মামুন " ম্যাজিস্ট্রেট মামুন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র দলের প্রথম সারির নেতা ছিল, ছাত্র দলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল এর শ্যালক ।


আর ডাক্তার ,আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক উপকমিটির সদস্য। উনার বাবা বীর বিক্রম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, ৫ বারের উপজেলা চেয়ারম্যান। উনার ছোটদুইভাই বুয়েটে ছাত্রলীগ করসে। 


আমার মতে অথর্ব ম্যাজিস্ট্রেটটির ডাক্তারকে দাড় করিয়ে স্যালুট দেয়া উচিত ছিল,তা না করে পাপীয়ার সাথে তুলনা করে রাগান্বিত হতে প্রভোক করেছে। প্রশাসনের ভিতরে শিবির-ছাত্রদলের ক্যাডাররা এ রকমই পরিস্থিতি তৈরি করে ডাক্তার সহ অন্যান্য পেশার জনগনকে রাষ্ট্রের প্রতিপক্ষ বানানোর অপচেষ্টা করেই যাচ্ছে।এ ঘটনাও ব্যতিক্রম হওয়ার কথা না।

এ যাবৎ প্রশাসনের যে চেয়ারের কর্তার সামনেই বসি,তিনিই টেবিল থাপড়ে বলেন সেও "ছাত্রলীগ" করা।অথচ বিরোধী দল/ওয়ান এলিভেনে এই এলিয়নদের সত্যিই দেখিনি অনেকে।

  ...এই ম্যাজিস্ট্রেটটিও ছাত্রদল করা,বিষয়টা আশ্চর্যের না স্বাভাবিক...এটাই আদর্শ আর আদর্শবিহীন দলের পার্থক্য। 

   

অথচ অন্যদিকে ছাত্রলীগ করা একটি ছেলেও পেলাম না যে কিনা প্রশাসনে থেকে সাধারন মানুষকে অত্যাচার,জুলুম করে সমালোচিত/বিতর্কিত হল গত বছরগুলোতে ...

তবুও উচ্চতর কর্তাদেরই কিনা ছাত্রলীগ করা ছেলেদের  গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পোস্টিং দিতে বাধে আর বাধে।এগুলো খতিয়ে দেখার সময় এসছে।


তার পারিবারিক ইতিহাস 


গতকাল ঢাকায় ডাক্তার ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশে মধ্যে যে ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পরিচয় দেওয়া ম্যাজিস্ট্রেট আল মামুন ওরফে মামুন। সে আসলে কোন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নয়, সে রাজাকারের সন্তান। তার বাড়ি খুলনা মহানগরীর পূর্ববানিয়াখামার, বি.কে মেইন রোডস্থ পূর্ববানিয়াখামার বড় মসজিদের একটু সামনে। তার পিতার নাম আসাদুজ্জামান ওরফে রাজ্জাক রাজাকার। এলাকার সবাই তার পিতাকে রাজ্জাক রাজাকার নামেই চেনে। রাজ্জাক রাজাকার ভূয়া কাগজপত্র বানিয়ে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তিনি কাস্টমসে চাকরি বাগিয়ে নেন। কাস্টমসে চাকরি করে অবৈধ ভাবে হাজার হাজার কোটি টাকা ইনকাম করেন। সেই টাকায় ঢাকায় ৪/৫ টি ফ্লাট কেনেন এবং খুলনা ৫/৭ টি বাড়ি বানান এবং তার নিজের তিন মেয়ের নামে ৩ টি ও ছেলেদের নামে ও বাড়ি দেন। রাজ্জাক রাজাকার চাকরি থেকে অবসরে গিয়ে তার অন্যপুত্র হারুন কে কাস্টমসে চাকরি দেন এবং সে এখনো চাকরিরত। হারুন ছিলেন খুলনা মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজের একসময়ের শিবির ক্যাডার। সেও এলাকায় শিবির হারুন নামে পরিচিত। মামুনের ভগ্নিপতি শাজাহান জামাত নেতা ও ওলামা দলের নেতা ছিলেন। সে খুলনা আহসান উল্লাহ কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক ছিলেন কিন্তু কোন একটি ঘটনায় তার চাকরি চলে যায়। মামুন ঢাকায় পড়াকালীন ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িত ছিলেন এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের ভয়ংকর ক্যাডার ছিলেন। একসময়ের ছাত্রদল সভাপতি আজিজুল বারী হেলালের কথিত শালা/কুটুম বলে পরিচয় দিতেন মামুন। পরবর্তীতে মামুন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলেন এবং মন্ত্রী যখন খুলনায় সফরে যেতেন তার সাথে সে ও যেতেন। সেই সুবাদে মামুন এলাকার বিভিন্ন জনের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। মামুনের পিতা কোন ভাবেই মুক্তিযোদ্ধা নয় বরং সে মুক্তিযুদ্ধকালীন রাজাকার ছিলেন এবং তার পরিবারের সবাই জামাত বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত।

কপি- ঈসকান্দার মির্জা শামীম

সর্বশেষ