• ২০২৪ মে ১৮, শনিবার, ১৪৩১ জ্যৈষ্ঠ ৪
  • সর্বশেষ আপডেট : ০১:০৫ পূর্বাহ্ন
English
পরিচালনাপর্ষদ
আমাদের সাথে থাকুন আপনি ও ... www.timebanglanews.com

ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভোগান্তির শিকার রোগী

  • প্রকাশিত ০৬:০৫ অপরাহ্ন শনিবার, মে ১৮, ২০২৪
ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভোগান্তির শিকার রোগী
ডেস্ক
সিলেট অফিস

সিলেট ছাতক উপজেলার ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিনই বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর চাপ। তাদের মধ্যে অধিকাংশ নারী ও শিশু সর্দি-জ্বর, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত।

পাশাপাশি ওষুধের অপর্যাপ্ত মজুত এবং হাসপাতাল থেকে সরবরাহ করা মানহীন খাবারের কারণে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে এসে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে রোগী ও তাঁদের সঙ্গে থাকা লোকজনের।


ছাতক শহর ও বিভিন্ন গ্রাম থেকে অধিকাংশ রোগী ভিড় করছেন এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। প্রতিদিনই শতাধিক রোগী হাসপাতালে আসছেন বলে জানা গেছে।


রোগীদের স্বজনরা বলছেন, ওষুধের পর্যাপ্ত মজুত না থাকায় বিপদে পড়তে হচ্ছে। এসব ওষুধ কিনতে হলে বাইরের ফার্মেসিগুলোতে বাড়তি টাকা খরচ করতে হচ্ছে। তা ছাড়া এখানে সরবরাহ করা খাবার অত্যন্ত নিম্নমানের হওয়ায় রোগী ও তাঁদের স্বজনদের ভোগান্তি বেড়েছে।


শীতের আগমন ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে শীতের শুরুতেই বিস্তার ঘটতে থাকে এসব রোগব্যাধির। একটি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামের একই পরিস্থিতি।


উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালে কোনো বেড খালি নেই। মেঝেতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে অনেক রোগীকে।


শহরের মণ্ডলীভোগ এলাকার ফারজানা আক্তার জানান, তাঁর চার মাসের ছেলে নিউমোনিয়া আক্রান্ত। চার দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি। একটি ইনজেকশন ছাড়া বাকি ওষুধ পাওয় যাচ্ছে না। দোয়ারাবাজারের নাজিম উদ্দিন জানান, তাঁর ছেলে পাঁচ দিন ধরে ঠান্ডাজনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। অবস্থার খুব একটা উন্নতি হয়নি। সারাদিনে ডাক্তারের দেখা মেলে একবার। ছেলের জন্য সব ওষুধই তাঁকে বাইরে থেকে কিনতে হয়েছে।


পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের নোয়ারাই ইসলামপুর এলাকার বাসিন্দা নাজমা বেগমের ভাষ্য, তাঁর মেয়ে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। একটা স্যালাইন ছাড়া আর কোনো ওষুধ হাসপাতাল থেকে পাননি। রোগী নিয়ে হাসপাতালে থাকার কারণে খাবারের জন্য এখানের ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করছেন রোগী ও স্বজনদের অনেকেই। তবে এত নিম্নমানের খাবার মুখে দেওয়া কষ্টকর।


সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. সাইদুর রহমান জানান, এখন রোগীর চাপ বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় নারী-শিশুসহ ভর্তি হয়েছে ৩২ জন। রোগীদের প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। যেসব ওষুধ নেই, সেগুলো আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে হাসপাতালে সরবরাহ করা খাবারের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।

সর্বশেষ