• ২০২৪ মে ১৭, শুক্রবার, ১৪৩১ জ্যৈষ্ঠ ৩
  • সর্বশেষ আপডেট : ০১:০৫ পূর্বাহ্ন
English
পরিচালনাপর্ষদ
আমাদের সাথে থাকুন আপনি ও ... www.timebanglanews.com

কথা রাখলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, সুরমা নদীতে খনন কাজ শুরু  

  • প্রকাশিত ০৫:০৫ অপরাহ্ন শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪
কথা রাখলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, সুরমা নদীতে খনন কাজ শুরু  
daninksylhet
সিলেট অফিস

গত বছর ১৮ মে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড এ কে আব্দুল মোমেন সিলেট নগরীর চালিবন্দরে বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র পরিদর্শন ও দূর্গত মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কালে সিলেটবাসীকে কথা দিয়েছিলেন- বন্যা প্রতিরোধের জন্য বর্ষা মৌসুমের আগেই সুরমা ও কুশিয়ারা নদী খনন করা হবেবতিনি কথা রেখেছেন।

সুরমা নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে শুরু হয়েছে খননকাজ। 

শনিবার (২১ জানুয়ারি) সকালে সদর উপজেলার চাঁনপুর এলাকায় সুরমা নদীতে এ খনন কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের এমপি ড. এ কে আব্দুল মোমেন ।   

প্রথম দফায় সিলেটে সুরমা নদীতে ১৮ কিলোমিটার খনন করা হবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।   শীত মৌসুমে সুরমা নদী শুকিয়ে নালায় পরিণত হয়, আর বর্ষায় দেখা যায় ভয়াবহ রূপ। গভীরতা কমে যাওয়ায় নদীর তীর উপচে পানি ঢুকে সিলেট শহরে। এতে পানিতে তলিয়ে যায় শহর। পানি নিষ্কাশনের মাধ্যম ছড়া-খালগুলো দিয়ে উল্টো শহরে প্রবেশ করে সুরমার পানি। গত বছর দুই দফা বন্যায় নাকাল হতে হয়েছে সিলেট নগরবাসীকে। অবশেষে নগরবাসীকে এ থেকে মুক্ত করতে সুরমা খননের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।  পাউবো সিলেট অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বছর মে ও জুন মাসে সিলেট নগরীতে ভয়াবহ বন্যা হয়। ওই সময় সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সুরমা নদী খনন, শহররক্ষা বাঁধ এবং নদী ও ছড়া-খালের উৎসমুখে স্লুইস গেট নির্মাণের দাবি তোলা হয়।

ওই সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এমপিও এ নদী খননে জোর দেন। এর প্রেক্ষিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড সুরমা খননে একটি প্রকল্প গ্রহণ করে।  বোর্ড সূত্র জানায়, এর আগে কানাইঘাট থেকে ছাতক পর্যন্ত সুরমা নদী খননের জন্য একটি ডিপিপি জমা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটি আলোর মুখ দেখেনি। গেল বছর বন্যার পর কুশিঘাট থেকে ছাতকের লামাকাজি সেতু পর্যন্ত প্রায় ১৮ কিলোমিটার খননে আরও একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। যার ব্যয় ধরা হয়েছে ৫০ কোটি টাকা। নদী খনন করছে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।    সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমদ জানান, প্রথম দফার খনন শেষ হলে কুশিঘাট থেকে লামাকাজি সেতু পর্যন্ত খনন হলে সুরমার নাব্য বাড়বে। একই সঙ্গে বাড়বে পানি প্রবাহ। এতে বর্ষায় সিলেট মহানগরে বন্যার আশঙ্কা কমবে। আগামী জুন মাসের মধ্যেই খনন সম্পন্ন হওয়ার কথা।

সর্বশেষ