বরিশালে র্যাব-৮ এর অভিযানে ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। গনধর্ষণের স্বীকার কিশোরী নৃত্য শিল্পীর মায়ের দায়ের করা মামলার ২ নাম্বার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামি রুপাতলি ধান গবেষণা রোডের খান বাড়ির পাশের বাংলালিংক টাওয়ারের সিকিউরিটি গার্ড মোঃ জসিম খান(৪০)।
র্যাব-৮ বরিশাল ক্যাম্প কর্তৃক ছায়াতদন্ত ও গোয়েন্দা নজরদারী কার্যক্রম পরিচালনা করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে আজ ২৮ জানুয়ারি রাত ২ টা ৪০ মিনিটের সময় র্যাব-৮ এর এএসপি মোঃ রেজাউল করিম এর নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল র্যাব সদর দপ্তর এর আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পটুয়াখালী কলাপাড়া থানাধীন ধানখালী এলাকা হতে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তারের পরে ২৮ জানুয়ারি তাকে সংশ্লিষ্ট থানা হস্তান্তর করা হয়।
মামলার বিবরন থেকে জানাযায়, বরিশাল নগরীর ধান গবেষণা রোডের বাসিন্দা গণধর্ষণের স্বীকার কিশোরী নৃত্য শিল্পীকে ২১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬ টা ৩০ মিনিটের সময় মামলার প্রধান আসামি মোঃ মিরাজ হোসেন(২২) ভুল বুঝিয়ে রুপাতলী ধানগবেষনা রোড খান বাড়ীর পাশে বাংলালিংক টাওয়ায়ের সিকিউরিটি গার্ডের থাকার রুমের ভিতর জরুরী কথা বলার জন্য নিয়ে যায়। সেখানে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আনুমানিক ৬ টা ৪৫ মিনিটের সময় ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে গ্রেপ্তারকৃত ২ নং আসামি এবং অজ্ঞাত আরেরজন রুমের ভিতরে ঢুকে তারা গোপনে শারিরীক সম্পর্ক মোবাইলে ধারণ করে নিয়ে নিয়েছে বলে জানায়। এবং তাদেরকেও শারীরিক সম্পর্ক করার সুযোগ না দিলে এই ভিডিও সবাইকে দেখাবে এবং নেট দুনিয়ায় ভাইরাল করে দিবে বলে ভয়ভীতি দেখিয়ে তারাও পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে বিষয়টি জানাজানি হলে ওই কিশোরীর মা বাদি হয়ে ২ জনের নাম দিয়ে এবং একজনকে অজ্ঞাত আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় ২২ জানুয়ারি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধনী ২০০৩ এর ৯(৩) এ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৫০।
মতামত দিন