• ২০২৪ মে ০৯, বৃহস্পতিবার, ১৪৩১ বৈশাখ ২৬
  • সর্বশেষ আপডেট : ১২:০৫ অপরাহ্ন
English
পরিচালনাপর্ষদ
আমাদের সাথে থাকুন আপনি ও ... www.timebanglanews.com

ঝালকাঠিতে স্কুল ছাত্রী অপহরণের পরে পালিয়ে আসলেও ১৩ দিনের মাথায় আবারো অপহরণ

  • প্রকাশিত ০৪:০৫ অপরাহ্ন বৃহস্পতিবার, মে ০৯, ২০২৪
ঝালকাঠিতে স্কুল ছাত্রী অপহরণের পরে পালিয়ে আসলেও ১৩ দিনের মাথায় আবারো অপহরণ
অপহরনকারী মো. তোহা
আবু সায়েম আকন, ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধিঃ

ঝালকাঠির রাজাপুরে ১৪ বছর বয়সী ১০ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে অপহরণের পরে পালিয়ে আসার ১৩ দিনের মাথায় আবারো অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার বড়ইয়া ইউনিয়নের উত্তমপুর এলাকার গুচ্ছগ্রাম সংলগ্নে এ ঘটনা ঘটে। 

অপহরণের ঘটনায় স্কুলছাত্রীর মা লাইজু বেগম বাদী হয়ে অভিযুক্ত মা-ছেলের বিরুদ্ধে রাজাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলো উপজেলার শুক্তাগড় এলাকার মো. শামীম হাওলাদারের ছেলে মো. তোহা (২২) ও তার মা মাহিনুর বেগম (৩৫)।

জানাগেছে, উপজেলার শুক্তাগড় এলাকার মালয়েশিয়া প্রবাসী মো. বেল্লাল হাওলাদারের ১০ শ্রেনীতে পড়ুয়া মেয়ে লাবনিকে স্কুল আশা-যাওয়ার সময় একই এলাকার তোহা কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় শুক্তাগর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ছুটি হওয়ার পরে বাড়ি ফেরার পথে অভিযুক্ত তোহা লোকজন নিয়ে তুলে নিয়ে যায়। সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে আসে লাবনি। তোহার ভয়ে লাবনি ফিরে আসার পরে তাকে নিয়ে তার মা লাইজু বেগম বড়ইয়া ইউনিয়নের ভাতকাঠি গ্রামে বাপের বাড়িতে থাকতেন। ঘটনার দিন রবিবার (২১ মে) সন্ধ্যার আগে উত্তমপুর বাজারে পল্লী চিকিৎসক দেখিয়ে লাবনির নানা সোহরাব সিকদারের সাথে ইজিবাইকে করে বাড়ি ফিরছিল লাবনি। পথিমধ্যে উত্তমপুর এলাকার গুচ্ছগ্রাম সংলগ্ন ইজিবাইক থামিয়ে নানাকে মারধর করে তোহা ও তার মা মাহিনুর বেগম লোকজন নিয়ে লাবনি কে মোটরসাইকেলে তুলে পুনরায় অপহরণ করে নিয়ে যায়। সোহরাব সিকদার প্রাইভেট সোহাগ ক্লিনিক থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। 

লাবনির মা লাইজু বেগম জানায়, তার মেয়ে লাবনিকে এর আগেও এক বার এই ছেলে তোহা অপহরণ করে নেয়। পরে লাবনি পালিয়ে আসে। যার মামলা এখনও চলমান। বর্তমানে মামলাটি পি বি আইতে তদন্তাধীন আছে।

প্রত্যক্ষদর্শী রাহেলা বেগম ও বেগম সহ আরো অনেকে জানায়, রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে মেয়েটির নানাকে মারধর করে মেয়েটিকে জোড়পূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় মেয়েটি চিৎকার করলেও ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি।

অভিযুক্ত মাহিনুর বেগম তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বাীকার করে জানায়, ওই মেয়ে নেয়ার ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা। এখন তারা কোথায় আছে তাও আমার জানা নাই।

রাজাপুর থানা ওসি (তদন্ত) মো. ফিরোজ কামাল বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সর্বশেষ