বরিশাল খুলনা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পরাজয়ের পর সিলেট ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন বর্জনের ঘোষনা দিয়েছে চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন বর্জন করেছেন হাত পাখার মেয়র প্রার্থী হাফিজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান।
সোমবার রাত ৮টার দিকে মহানগরে শিবগঞ্জ উপশহর রোডের হাত পাখার প্রধান কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানিয়েছন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র সিসিক মেয়র প্রার্থী মাওলানা মাহমুদুল হাসান।
এ সময় নির্বাচন কমিশনকে ব্যর্থ উল্লেখ ও কমিশনের পদত্যাগ দাবি করে মাহমুদুল হাসান বলেন, বরিশাল ও খুলনা সিটিতে ভোটের পরিবেশ বলে দেয় তারা ব্যর্থ। তাই আমরা এই আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ দাবি করছি। মঙ্গলবার লিখিতভাবে নির্বাচন বয়কটের ব্যাপারে সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানানো হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- ইসলামী আন্দোলন সিলেট মহানগরের উপদেষ্টা রেদোয়ানুল হক, কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন খান, ইসলামী আন্দোলন মোজাহিদ কমিটির সিলেট বিভাগীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক আহমেদ, সিলেট মহানগর শাখার সভাপতি মুফতি সাঈদ আহমদ, সিনিয়র সহসভাপতি ডা. রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ ও জেলা শাখার সহসভাপতি আমির উদ্দিন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, এর আগে সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বরিশাল শহরে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী দলের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করিমের উপর হামলা হয়।
দুই সিটিতে ভোট গ্রহণ শেষে সন্ধ্যায় বরিশালের চাঁদমারি মাদ্রাসা সড়ক এলাকার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ইসলামী আন্দোলনের নেতারা। সেখানে দলটির আমির চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম দুই সিটি ভোটের ফলাফল প্রত্যাখ্যান এবং অপর দুটির ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে রেজাউল করিম বলেন, ‘নির্বাচনের বুথগুলো নিয়ন্ত্রণে রেখে তারা বিভিন্ন পর্যায়ে অনিয়ম করেছে। মারাত্মক অনিয়মের প্রতিবাদে আমরা বরিশালের নির্বাচনী ফলাফল প্রত্যাখ্যান করছি। সঙ্গে খুলনার ফলাফলও আমরা প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা করছি। আর সিলেট ও রাজশাহীতে নির্বাচনে আমাদের প্রার্থী রয়েছে, সেই নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দিচ্ছি। যেহেতু সুন্দর পরিবেশ নেই, তাই তারা নির্বাচন করবে না।’
নির্বাচনে অনিয়মের প্রতিবাদে আগামী শুক্রবার বাদ জুমা দেশব্যাপী বিক্ষোভের ঘোষণা দেন চরমোনাই পীর। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগও দাবি করেছেন তিনি।
মতামত দিন