টানা বৃষ্টিতে সিলেট নগরীতে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র জলাবদ্ধতা। নগরীর রাস্তা গুলো যেনো জলাশয়ে পরিনত হয়েছে।
সিসিক এলাকায় ড্রেন বৃষ্টি’র পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে নগরের একাধিক এলাকায় হাঁটুসমান পানি, অন্যদিকে নগরের বেশকিছু বিপনীবিতান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও নগরীর নিচু এলাকার বিভিন্ন বাসা-বাড়িতেও পানি ঢুকেছে। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নগরের বাসিন্দাদের।
এদিকে সরজমিনে দেখা গেছে, নগরীতে টানা বৃষ্টির ফলে নগররের খাসদবী, বাদামবাগিচা, মদিনা মার্কেট, আখালিয়া, সুবিদবাজার, জালালাবাদ, পায়রা, রাজারগল্লি, বারুতখানা, হাওয়াপাড়া, যতরপুর, ছড়ারপাড়’সহ তালতলার বেশ কিছু নীচু এলাকার সড়ক তলিয়ে গেছে। রাস্তায় হাঁটুসমান পানি থাকায় যানবাহন চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
নগরের খাসদবীর এলাকার উদয় সমাজ কল্যান সংস্থা সিলেট সভাপতি সজিবুর রহমান রুবেল বলেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে আমাদের আজ এই জলাবদ্ধতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এদিকে একটু বৃষ্টি হলেই সিলেটের রাস্তাঘাট সমুদ্র হয়ে যায়। আমার এলাকায় হাঁটুর ওপরে পানি। কে দেখবে আমাদের এই কষ্ট?
বার বার এই ভোগান্তির পর সিসিকের টনক না নড়ায় অনেকেই আমরা হতভম্ব। ২০২২ সালে এসে দুবাই কৃত্রিমভাবে বৃষ্টিপাত করাচ্ছে আর আমরা এখনো রাস্তা-ঘাট থেকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে পারি না। টানা বৃষ্টিতে নগরীর বেশ কয়েকটি এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায়। সাধারণ মানুষ ও এলাকাবাসী দোষারোপ করছেন নগর কর্তৃপক্ষকে। তারা এই জলাবদ্ধতার জন্য সিটি কর্পোরেশনের উদাসীনতাকে দায়ী বলে মনে করছেন।
সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, বেশি পরিমাণ বৃষ্টির কারণে ড্রেন দিয়ে পানি নামতে সময় লাগছে। সিটি করপোরেশনের টিম কাজ করছে। কোথাও ময়লা-আবর্জনার জন্য পানি আটকে গেলে তা পরিষ্কার করে দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সিলেট সিটি এলাকায় যে ড্রেনগুলো নতুন করে করা হয়েছে সেগুলো আরও বড় হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঠিকাদাররা সেই ড্রেইনগুলো তৈরির সময় অনেকটা সরু করে ফেলেছে। তাই সঠিকভাবে এসকল ড্রেন দিয়ে পানি না নামায় নগরের এই জলাবদ্ধতা। ড্রেইনগুলোকে আরও বড় করতে পাড়লে হয়তো নগরে আর জলাবদ্ধতা থাকবে না।
মতামত দিন