• ২০২৪ ডিসেম্বর ২৬, বৃহস্পতিবার, ১৪৩১ পৌষ ১২
  • সর্বশেষ আপডেট : ০৯:১২ অপরাহ্ন
English
পরিচালনাপর্ষদ
আমাদের সাথে থাকুন আপনি ও ... www.timebanglanews.com

উদ্বোধনের অপেক্ষায় দেশের সর্ববৃহৎ পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুত কেন্দ্র

  • প্রকাশিত ০৯:১২ অপরাহ্ন বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪
উদ্বোধনের অপেক্ষায় দেশের সর্ববৃহৎ পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুত কেন্দ্র
ফাইল ছবি
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

 “ইতিহাস গড়ে আগামীর পথে সফল প্রথম বাস্তবায়ন, পায়রা তাপ বিদ্যুত মানে দেশের উন্নয়ন-” এটি এখন স্লোগান নয়। পায়রা বিদ্যুত প্লান্ট এরিয়ার মানুষের কাছে গানের কলিতে পরিণত হয়েছে। এখন সেই মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষা। সম্ভাব্য তারিখ ছিল ৩১ মার্চ। প্রস্তুতি চলছে ১৩২০ মেগাওয়াট পায়রা তাপ বিদ্যুত কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের, উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই প্রোগ্রামটি আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। তবে এখানকার মানুষ মুখিয়ে আছেন প্রধানন্ত্রীর সফরের দিকে। জাতির পিতার যোগ্য উত্তরসূরি দেশের প্রধানমন্ত্রী মহীয়সী নারী শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে ভুলিয়ে দিয়েছেন বিদ্যুত বিভ্রাট কী। এক সময়, দশ বছর আগে; রাত-দিন মিলিয়ে ৪-৫ ঘন্টা বিদ্যুত মিলত না। দেশের মানুষের কাছে বিদ্যুত বলতেই এক ভয়ানক ভোগান্তির নাম ছিল। রাত কাটত বিদ্যুতবিহীন, নির্ঘুম। সেইসব এখন গল্পের মতো; তবে পেছনে ফেলে আসা স্মৃতি হাতড়ে বেড়ানো তিক্ত অভিজ্ঞতা। এসব অতীত মানুষ ঘাটতে চায়না। জাতির পিতার দেশ এগিয়ে নেয়ার স্বপ্নের সেই মহান দায়িত্ব নিয়ে দুর্বার গতিতে উন্নয়নের মহাসড়কে দেশ এগিয়ে চলছে। নেতৃত্ব দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। ঘরে ঘরে বিদ্যুত পৌছে দিয়েছেন। ভুলিয়ে দিয়েছেন বিদ্যুতের লোডশেডিং শব্দটি। শিল্প উদ্যোক্তারা এখন আর ভোগেন না বিদ্যুত না পাওয়ার শঙ্কায়। আর বিদ্যুতের অভাবনীয় সাফল্যের দূয়ার খুলে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ উদ্যোগে। দেশের এ পর্যন্ত সর্ববৃহৎ “পায়রা” এই বিদ্যুত প্লান্টের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। দেশের বিদ্যুত চাহিদাকে ছাপিয়ে বাড়তি উৎপাদনে এখন দেশ। আর দক্ষিনের কলাপাড়া উপজেলার রাবনাবাদ পাড়ের এই জনপদের রাত আলোকিত হবে পায়রার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে। ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি এই পাওয়ার প্লান্টের প্রথম ইউনিট চালু করা হয়েছে। শুরু হয় উৎপাদন। জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ হচ্ছে উৎপাদিত বিদ্যুত। আর দ্বিতীয় ইউনিট উৎপাদন শুরু করে ২০২০ সালের ২৬ আগস্ট। এখন পুরো ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুত প্লান্টটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। বর্তমানে পরীক্ষামূলকভাবে এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন হচ্ছে।


জানা গেছে, বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিসিপিসিএল) বাংলাদেশ চায়না যৌথ বিনিয়োগে নির্মিত এই বিদ্যুত প্রকল্পটি এখন সম্পুর্ণভাবে প্রস্তুত রয়েছে জাতীয় গ্রীডে বিদ্যুত সরবরাহের জন্য। ইঞ্জিনিয়ারিং প্রকিউরমেন্ট এন্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (ইপিসি) এই বিদ্যুত কেন্দ্রের উন্নয়ন কাজ করেছে। যৌথভাবে যন্ত্রপাতি স্থাপন করেছে চায়না ন্যাশনাল এনার্জি ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (সিইসিসি) এবং নর্থইস্ট (নম্বর-১) ইলেকট্রিক পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড। সরকারের দুই দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ইউএস ডলার (প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা) খরচ হচ্ছে এই প্লান্টটি নির্মাণে। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নিশানবাড়িয়া ও মধুপাড়া মৌজায় ৯৮২ দশমিক ৭৭ একর জমির ওপরে এই বিদ্যুত প্লান্টটি নির্মিত হয়েছে। এখানে জমিদাতা বাড়িঘর হারাদের ১৩০ পরিবারকে আগেই পুনর্বাসন করা হয়েছে। করে দেয়া হয়েছে আধুনিক সুবিধা সংবলিত পল্লী স্বপ্নের ঠিকানা। ২০১৮ সালের ২৭ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর নিজ হাতে দেয়া ঘরের চাবি পেয়ে সেমিপাকা বাড়িঘরে বাস করছেন মানুষ। ১৬ একর জমিতে আধুনিক সুবিধা সংবলিত ঘর দেয়া হয়েছে। সেখানে কারিগরী শিক্ষার জন্য টেকনিক্যাল স্কুল করে দেয়া হয়েছে। স্কুল ছাড়াও খেলার মাঠ, কবরস্থান, দৃষ্টিনন্দন মসজিদ, স্থাপন করা হয়েছে ৪৮টি গভীর নলকূপ, দুইটি ঘাট বাধানো পুকুর, অফিস কাম কমিউনিটি সেন্টার একটি, কমিউনিটি ক্লিনিক একটি, চারটি দোকানঘর, একটি কাঁচা বাজার, সোয়া দুই কিলোমিটার অভ্যন্তরীন পাকা সড়ক, প্রায় ছয় কিমি ড্রেন করা হয়েছে। পল্লী থেকে মূল সড়কে যেতে একটি সংযোগ সড়ক করে দেয়া হয়েছে। প্রত্যেক বাড়িতে রয়েছে আলাদা বিদ্যুত সংযোগ। শুধু তাই নয় এখানকার আশাপাশের মানুষের জীবন মানের উন্নয়নে উৎপাদিত প্রতি ইউনিট বিদ্যুত থেকে দশমিক শুন্য তিন পয়সা ব্যয় করা হবে। যেখানে বছরে প্রায় ২৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা জমা হবে। এ অর্থ ব্যয় করতে জমিদাতা স্বপ্নের ঠিকানা পল্লীর বাসীন্দারা অগ্রাধিকার পাবেন। বর্তমানে পায়রা পাওয়ার প্লান্টে কর্মরত কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের আবাসন সমস্যার চুড়ান্ত সঙ্কট কাটাতে চলছে বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা নির্মাণের কাজ। প্লান্টটি উদ্বোধনের জন্য পুরো প্লান্ট এরিয়ায় সৌন্দর্যবর্ধনের কাজও চলছে। প্লান্টের অভ্যন্তরে এক জোড়া পাখনা মেলা পায়রার (কবুতর) মুখোমুখি অবস্থানের অত্যাধুনিক প্রতিকৃতি উন্নতমানের পাথরের মাধ্যমে স্থাপন করা হয়েছে। এটিই মূলত ফলক যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিক উম্মোচন করবেন। ফলকের নিচে জাতির পিতার একটি বাণী লেখা রয়েছে- “ এই স্বাধীনতা তখনি আমার কাছে প্রকৃত স্বাধীনতা হয়ে উঠবে, যেদিন বাংলার কৃষক-মজুর ও দুঃখী মানুষের সকল দুঃখের অবসান কবে।” আর ঠিক জাতির এক সময়ের সবচেয়ে অত্যাবশ্যকীয় বিদ্যুত সমস্যার উত্তরণ ঘটালেন জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা। মানুষ এখন যেন এটি উদ্বোধনের জন্য মুখিয়ে রয়েছেন।


পায়রা তাপ বিদ্যুত কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী রেজোয়ান ইকবাল খান জানান, ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিন পিং পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদুত কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানী লিমিটেড (বিসিপিসিএল) কর্তৃপক্ষ প্রথম পর্যায়ে ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন দুটি ইউনিটের নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ করেছেন। যার একটি ২০২০ সালের ১৫মে থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুত সরবরাহ করছে। আর দ্বিতীয় ইউনিট টি ৮ ডিসেম্বর নির্মাণ কাজ শেষ করে উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। দুই দেশের যৌথ বিনিয়োগে পরিচালিত এই প্রকল্পে এ পর্যন্ত দুই দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়েছে, যার মধ্যে চীনের এক্সিম ব্যাংক থেকে এক দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলারের ঋণ নেয়া হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী বিসিপিসিএল নির্ধারিত সময় বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের কাজ শেষ করেছে। ইতোমধ্যে পাওয়ার গ্রীড কোম্পানী অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) পায়রা থেকে গোপালগঞ্জ পর্যন্ত ১৬৩ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণ সম্পন্ন করেছে। গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকার আমিন বাজার পর্যন্ত ৮৫ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মান কাজ চলমান রয়েছে।


বিসিপিসিএল এর সহকারী ব্যবস্থাপক তদন্ত শাহমনি জিকো জানান, পৃথিবীর সবচেয়ে আধুনিক আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কয়লা ভিত্তিক এই তাপ বিদ্যুত কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়েছে। ৬০০ ডিগ্রি সেন্ট্রিগ্রেড ও ২৭ মেট্রিকটন চাপে বাষ্প উৎপন্ন করা হয়। বাষ্প দিয়ে টারবাইন ঘুরিয়ে বিদ্যুত উৎপন্ন করা হয়। পরিবেশ বান্ধব আধুনিক সবগুলো প্রক্রিয়া মানার কারনে এবং সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের ফলে (ইএসপি) ফ্লাই এ্যাশ ৯৯ ভাগ আটকানোর সক্ষমতা রয়েছে। ক্ষতিকর সালফার গ্যাস আবদ্ধ করার প্রযুক্তিগত ৯০ ভাগ সক্ষমতা রয়েছে। লো নক্স বার্নার ব্যবহারে গ্যাস কম উৎপন্ন হয়। কয়লাকে বয়লারে পোড়ানো হয়। ফলে উচ্চ চাপে বাষ্প উৎপন্ন হয়। ওই বাষ্প দিয়ে টারবাইন ঘুরিয়ে বিদ্যুত উৎপাদন হয়। কয়লা থেকে ফ্লাই এ্যাশ ও বটম এ্যাশ দুই ধরনের ছাই পাওয়া যায়। এই দুই ধরনের এ্যাশ কিংবা ছাই দেশী একটি কোম্পানির কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। তারপরও ৭৬ দশমিক তিন একর আয়তনের ছাই ডাম্পিং এলাকা করা হয়েছে। যেখানে ২৫ বছরের নির্গত এ্যাশ বা ছাই সংরক্ষণ করা যেতে পারে। এখন দৈনিক ১৮০ মেট্রিক টন এ্যাশ নির্গত হয়। বর্তমানে এই প্লান্টে ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা আনা হচ্ছে। ভবিষ্যতে অষ্ট্রেলিয়া থেকে কয়লা আনার পরিকল্পনা রয়েছে।


জানা গেছে, পরিবেশ প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র রক্ষায় এই প্লান্টের ৩৬৩ দশমিক ৭৬১ একর সবুজ এরিয়া করতে বৃক্ষ রোপণের আওতায় আনা হয়েছে। রয়েছে ৫৯ একর জায়গায় কলোনী নির্মাণ। ২৫ একর জায়গায় করা হয়েছে জেটি। পায়রা তাপ বিদ্যুত কেন্দ্রে অনেক আগেই কয়লা আনলোডের জন্য নিজস্ব জেটি নির্মাণ করা হহয়েছে। ৩৮৫ মিটার দীর্ঘ এবং ২৪ মিটার প্রস্থ এবং ছয় দশমিক সাত মিটার উচ্চতার জেটি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এই জেটিতে সুপ্রাম্যাক্স, প্যানাম্যাক্স সাইজের জাহাজ খালাশ করার সক্ষমতা রয়েছে। প্রাথমিকভাবে এই জেটিতে ২২ হাজার মেট্রিকটন ধারণ ক্ষমতার সুপ্রাম্যাক্স জাহাজ পণ্য খালাশ করছে। চ্যানেলের বর্তমানে নব্যতা বৃদ্ধির জন্য চলছে খনন কাজ। নব্যতা বাড়লে প্যানাম্যাক্স সাইজের এক লাখ টন কয়লাসহ পণ্য খালাশের সক্ষমতা থাকবে। বর্তমানে ঘন্টায় একত্রে চারটি জাহাজ মিলে তিন হাজার দুই শ’ মেট্রিকটন মালামাল খালাশের কাজ করতে পারছে। বর্তমানে কয়লা সরাসরি জাহাজ থেকে ঢাকনাযুক্ত কনভেয়ার বেল্টের মাধ্যমে ঢাকনা অবস্থায় বিদ্যুত কেন্দ্রের স্থাপিত কয়লা রাখার ডোমে পৌছে যাচ্ছে। বাইরে থেকে দেখারও সুযোগ নেই। পরিবেশের কোন ঝুকিও থাকছেনা বলে জানানো হয়েছে। ধানখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিয়াজউদ্দিন তালুকদার জানান, পায়রা বিদ্যুত প্লান্ট চালুর পরে পরিবেশের কোন ক্ষতি এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি। তিনি বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জনগণের স্বার্থ ক্ষুন্ন করে কোন উন্নয়ন করার নির্দেশনা আজ অবধি দেননি। তিনি মানুষের কল্যানের জন্য উন্নয়ন করে যাচ্ছেন।


বিদ্যুত কেন্দ্রের উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ এম খোরশেদুল আলম গণমাধ্যমকে জানান, ইতোমধ্যে কেন্দ্রটি গ্রিডের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে। কেন্দ্রটি সফলভাবে উৎপাদন শুরু করায় দেশে নতুন এক ইতিহাস সূচিত হলো। তিনি বলেন, সব থেকে বড় এই বিদ্যুত কেন্দ্র খুব শীঘ্রই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন। জনাব খোরশেদুল আলম মনে করেন, জাতির জনকের স্বপ্নের বাস্তবায়নের অংশীদার হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছেন।’


তিনি আরও জানান, প্রতিটি এক লাখ ৮০ হাজার টন ধারণ ক্ষমতার চারটি কোল ইয়ার্ড নির্মাণ করা হচ্ছে। যা দিয়ে কয়লা বিদ্যুত কেন্দ্রটি ৫৭ দিনের কয়লা মজুদ রাখতে পারবে। নির্গত গ্যাস ধরতে ফ্লু গ্যাস ডিসালফারাইজার ইউনিট (এফজিডি) নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে কেন্দ্রটির ৯৬ ভাগ ফ্লু গ্যাস ধরা হবে। বিদ্যুত উৎপাদনের পর ৯৯ দশমিক ৯ ভাগ ছাই ‘এ্যাশ হপারে’ ধরা হবে। এর বাইরেও কেন্দ্রটির ২২০ মিটার উচ্চতার চিমনি নির্মাণ করা হয়েছে। প্রায় ৭৫ তলা ভবনের সমান উঁচু চিমনি দিয়ে বাতাসের নির্দিষ্ট স্তরে ধোঁয়া ছাড়ার ফলে দূষণ নিয়ন্ত্রিত মাত্রার মধ্যেই থাকবে। বর্তমানে কলাপাড়ার ধানখালীতে রাবনাবাদ পাড়ের মানুষের মুখে মুখে প্রচার পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী আসছেন। পায়রা তাপ বিদ্যুত কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ। সবশেষ মঙ্গলবার বিদ্যুত ও জ্বালানি সচিবসহ একটি উচ্চ পর্যায়ের টিম পায়রা তাপ বিদ্যুত কেন্দ্র এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

সর্বশেষ