• ২০২৫ Jun ০২, সোমবার, ১৪৩২ জ্যৈষ্ঠ ১৯
  • সর্বশেষ আপডেট : ০৯:০৬ অপরাহ্ন
English
পরিচালনাপর্ষদ
আমাদের সাথে থাকুন আপনি ও ... www.timebanglanews.com

কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্জের ১৭ গর্জন গাছ কর্তনের অভিযোগ নুরুল হকের বিরুদ্ধে

  • প্রকাশিত ০৯:০৬ অপরাহ্ন সোমবার, Jun ০২, ২০২৫
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্জের ১৭ গর্জন গাছ কর্তনের অভিযোগ নুরুল হকের বিরুদ্ধে
File
মতিউল ইসলাম (মতি)

কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্জের ১৭ গর্জন গাছ কর্তনের অভিযোগ নুরুল হকের বিরুদ্ধে 


মতিউল ইসলাম কক্সবাজার প্রতিনিধি 


কক্সবাজার ফুলছড়ি রেঞ্জের আওতাধীন ইসলামপুর ইউনিয়নের নাপিত খালী বিটের  ভিলেজার পাড়া হাতির ডুরি

 পাহাড় থেকে। গভীর রাতে ১৭টি গর্জন গাছ কেটে নিয়ে  যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে,এরা হলেন। 

একই এলাকার মৃত : খলিলুর রহমানের পুত্র মোঃ নুরুল হক (৪০)

বাদশা মিয়ার পুত্র মো :এনাম (৩৫)

ওমর আলীর পুত্র  গিয়াসউদ্দিন (২৮)  নুর আহমদের পুত্র  আব্দুর রহিম (৩৮)


টাইম বাংলা নিউজের অনুসন্ধানে জানা গেছে,  গত ২৭ মে গভীর রাতে নুরুল হক নিজে লোক দিয়ে গাছ কর্তন করে। সেই গাছগুলি গভীর রাতে ঈদগাঁও জালালাবাদ ইউনিয়নের ফরাজী পাড়া শামসুর অবৈধ সৌমিলে লুকিয়ে রাখে, বন বিভাগের কর্মীরা  অবৈধ গর্জন গাছের সন্ধান পাওয়ার সাথে অভিযান করে। 

৫০ থেকে ৬০ ঘনফুট 

২৫ টুকরা গর্জন গাছ 

উদ্ধার করে।


 এই বিষয়ে বিট কর্মকতা জুয়েল চৌধুরীর বক্তব্য নেওয়া হলে তিনি বলেন,ঈদগাঁও জালালাবাদ ইউনিয়ন এর ফরাজী পাড়া শামসুল আলমের সৌমিলে গর্জন গাছগুলি আছে সংবাদে অভিযান পরিচালনা করে, ১৭ টি গর্জন গাছ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। তিনি আরো বলেন গত ২৮ মে,২০২৫

 ভিলেজার পাড়া হতে ঘোর ঝড়ের মধ্যেই কর্তন হয়েছিল। আমরা সংবাদ পেয়ে বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নির্দেশে এসিএফ শীতল পালের দিক নির্দেশনায় রেঞ্জ অফিসার জনাব রাসিক রায়হান এর সহযোগিতায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়,বন মামলার দায়েরের কার্যক্রম পক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান। 

অভিযোগ আছে গত ২২ মে নুরুল হক নামে এক ব্যক্তি উক্ত গর্জন গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে। এরপর স্থানীয়রা বিট অফিসার কে অভিযোগ করেন।বিট কর্মকর্তা নুরুল হককে এই বিষয়ে সতর্ক করে দেন। এর পরও কেন সেই এই গাছ গুলো কাটলো এমন প্রশ্ন সচেতন মহলের। 


নুরুল হকের বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ রয়েছে গত ১৪ /১১/ ২৩  

নুরুল হকের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরে অভিযোগ জমা পড়লেও, তার রহস্যজনকভাবে কার্যক্রম স্থির থাকায় তার অপরাধের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে নুরুল হক কে, আইনের আওতায়  আনা না হলে, বনে গাছ এবং পাহাড় একটু মাটিও থাকবে না। তার বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ রয়েছে, তার নিজস্ব কয়েকটি ডাম্পার গাড়ি রয়েছে। 

এই গাড়ি দিয়ে সেই প্রতিনিয়ত অবৈধ মাটিকাটা এবং অবৈধ গাছ কাটা  এবং পরিবহনে সম্পৃক্ত রয়েছে। আরো জানা গেছে তিনি বন বিভাগের লোকজনদের নাম ব্যবহার করে গাছের লাইন দেওয়ার কথা বলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ও রয়েছে। তার বিরুদ্ধে পূর্বে তার অপরাধের বিশেষয়ে প্রতিবেদন হলে সংবাদ কর্মীদের উল্টা হুমকি দিতে থাকে,এই নুরুল আমিন কে তার এত ক্ষমতার উৎস কোথায় জানতে চাই স্থানীয়রা।এই নুরুল হক কে দ্রুত গ্রেপ্তার করা না হলে আরো বড় বড় অপরাধ সংগঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অথচ সেই এত বড় বড় অপরাধ করলেও  রহস্য জনকভাবে মামলা থেকে বাদ যাচ্ছে এমন প্রশ্ন সচেতন মহলের। 

এই বিষয়ে সহকারী বন কর্মকর্তা  শীতল পালের বক্তব্য নেওয়া হলে তিনি বলেন,অপরাধীদের কোনোভাবে ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে সরকারি বনের গর্জন গাছ কর্তনের অভিযোগে মামলা হবে।

এই বিষয়ে রেঞ্জ কর্মকর্তা রাসিক হাসানের বক্তব্য নেওয়া হলে তিনি বলেন,অপরাধীদের আমরা সনাক্ত করতে পেরেছি অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। অপরাধীদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না,অপরাধী রে যতই শক্তিশালী হোক না কেন।

সর্বশেষ