টসে জিতে ব্যাটিং নেওয়া রংপুর প্রথম ৬ ওভারে ব্র্যান্ডন কিংয়ের উইকেট হারিয়ে তোলে ৪৭ রান। নবীকে নিয়ে ১৪ বলে ৩৫ রানের পর নুরুলের সঙ্গে ৯ বলে ২১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি তাঁর। শেষ ৩ ওভারে রংপুর তোলে ৫২ রান, এর মধ্যে মোস্তাফিজের শেষ ২ ওভারেই আসে ৩৯ রান। ৪ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে বোলিং শেষ করেন তিনি, ক্যারিয়ারে এক ইনিংসে এর চেয়ে বেশি রান এ বাঁহাতি পেসার দিয়েছেন মাত্র চারবার। ২০ বলে ৩৬ রানের ইনিংসে ওমরজাই মারেন ৩টি চার ও ২টি ছক্কা, ১টি করে চার ও ছক্কায় ৬ বলে ১৫ রান নুরুলের।
শুরু পেলেও সেভাবে ইনিংস বড় করতে পারেননি বাবর আজম ও ফজলে মাহমুদ রংপুর রাইডার্স
রান তাড়ায় ইনিংসের তৃতীয় বলেই ওমরজাইয়ের শিকার অধিনায়ক লিটন পান ‘গোল্ডেন ডাক’। পাওয়ারপ্লেতে এরপর আর উইকেট না হারালেও ৩৬ রানের বেশি তুলতে পারেনি কুমিল্লা। মাহিদুল ইসলাম অবশ্য তাদের লড়াইয়ে রাখেন ঠিকই।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে মোহাম্মদ রিজওয়ানকে নিয়ে ৫৬ বলে ৬৫ রান তোলেন তিনি, তাতে রিজওয়ান ছিলেন সহকারীর ভূমিকাতেই। পাকিস্তানি তারকা অবশ্য থামেন অসময়ে, নবীকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ তোলেন ২১ বলে ১৭ রান করে। রিজওয়ানের পর মাহিদুলকে সঙ্গ দেন তাওহিদ হৃদয়। ৪০ বলে ৫৩ রানের সে জুটি ভাঙে মাহিদুলের উইকেটেই, হাসান মাহমুদকে তুলে মারতে গিয়ে মিড অনে তিনি ধরা পড়েন ৫৫ বলে ৪ ছক্কা ও ৩ চারে ৬৩ রান করে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
রংপুর রাইডার্স : ২০ ওভারে ১৬৫/৫ (কিং ১৪, বাবর ৩৭, মাহমুদ ৩০, শামীম ১৪, ওমরজাই ৩৬*, নবী ১৩, নুরুল ১৫*; তানভীর ৩-০-১৯-১, আলিস ৩-০-২৭-০, মোস্তাফিজুর ৪-০-৪৮-১, জামাল ৩-০-২১-০, খুশদিল ৪-০-২৫-১, রিফার ৩-০-২০-২)
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস: ২০ ওভারে ১৫৭/৬ (রিজওয়ান ১৭, লিটন ০, মাহিদুল ৬৫, হৃদয় ৩৮, খুশদিল ১৩, রিফার ১*, জামাল ০, জাকের ১৮* ; ওমরজাই ৪-০-৩১-২, মুরাদ ৩-০-২৫-০, সাকিব ৪-০-৪১-০, হাসান ৪-০-২৩-১, নবী ৪-০-১৯-১, মেহেদী ১-০১৭-০)
রংপুর ৮ রানে জয়ী ম্যান অব দ্য ম্যাচ: আজমতউল্লাহ ওমরজাই (রংপুর)
মতামত দিন