সিলেট নগরীর লালদিঘীরপাড়ে ফুটপাত ব্যবসায়ীদের পুনবার্সনের জন্য পুনরায় কাজ শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে।
২০২১ সালে হকার পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেয় সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী । ওই বছরের জানুয়ারিতে নগরভবন-লাগোয়া লালদিঘীর পাড়ের খোলা মাঠে হকারদের জন্য অস্থায়ী ভাবে পুনবার্সনের ব্যবস্থা করলেন। কিন্তু ব্যবসায়ীরা বেশি দিন সেখানে থাকে নি প্রাথমিক অবস্থায় ২০২১ সালে নগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১ হাজার ৭০ জন হকারকে পুনর্বাসন করা হয়। তবে দুই বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ভেস্তে যায় হকার পুনর্বাসনের এ উদ্যোগ।
ইতিমধ্যে সিলেট সির্টি কর্পোরেশন টেন্ডারের মাধ্যমে হকার্সদের পুনবার্সনের জন্য উপযোগী করে তোলার জন্য পুরোদমে কাজ চলছে।
ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করা সিলেট নগরের অন্যতম প্রধান সমস্যা। শুধু ফুটপাত নয়, নগরের অনেক সড়কেরও বহুলাংশ দখল করে রেখেছেন ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ীরা। ফলে নগরজুড়ে লেগে থাকে যানজট। হাঁটাচলায় প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হয় পথচারীদের।
সিলেট সির্টি কর্পোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ক্লিন সির্টি, গ্রীন সিটি, একটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন নগরী গড়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন আর নগরীকে যানজট মুক্ত নগরী করতে ফুটপাত থেকে হকার্সদের সরিয়ে নিয়ে লালদিঘীর পাড়ে পুনবার্সন করে দেয়ার জন্য কাজ শুরু করা হয়েছে লালদিঘীর পাড় মাঠে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইতিমধ্যে বিভিন্ন সরঞ্জামাদি ও সির্টি কর্পোরেশনের লেভারদের নিয়ে লালদিঘী মাঠে কাজ শুরু করা হয়েছে। হকার্স ঐক্য কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মোঃ রকিব আলী জানান, বর্তমান মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী একজন দয়াবান মানুষ এবং একজন ক্লিন ইমেজের মানুষ। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন যাতে এখানে ব্যবসার পরিবেশ গড়ে ওঠে এবং যাতে ক্রেতারা এখানে আসেন। যার ফলে মেয়র টেন্ডারের মাধ্যমে মাঠে দ্রুত গতিতে কাজ করানোর জন্য দায়িত্ব প্রদান করেছেন। মেয়র আমাদের আশ্বস্ত করেছেন আমরা কেউ নিরাশ হব না আশা করি। আমাদের চাহিদা মত ব্যবস্থা করে দিবেন এবং আগামী পনের দিনের ভিতরে এখানে হকারদের নিয়ে আসা হবে কাজ হওয়ার পর। আর রমজানের আগে ফুটপাত থেকে সকল হকারদের লালদিঘীরপাড়ে নিয়ে আসা হবে।
উল্লেখ্য যে, তাদের লাইটিং সমস্যা, রাস্তার সমস্যা ছিল প্রধান করাণ। সিসিক নির্মিত অস্থায়ী মার্কেটে হাতে গণা কয়েকটি দোকান ছাড়া আর বসেন না কেউ । উল্টো নগরের ফুটপাত ছাপিয়ে সড়কেরও বহুলাংশও দখল করে নেন তারা। ফলে দিনভর নগরে লেগে থাকে যানজট।
লালদিঘীর মাঠে এবার দুই হাজার হকারের পুনবার্সনের ব্যবস্থা করা হবে। এই দুই হাজার হকারের মধ্যে রয়েছে কাপড়, সবজি, মাছ, মাংস সহ বিভিন্ন সামগ্রীর দোকান। বর্তমানে যদি সুন্দর পরিবেশ এবং ক্রেতা আশার উপযোগী করে দেয়া হয় তাহলে হকাররা এখানে ব্যবসা করবেন।
মতামত দিন