• ২০২৪ নভেম্বর ২১, বৃহস্পতিবার, ১৪৩১ অগ্রহায়ণ ৭
  • সর্বশেষ আপডেট : ০৬:১১ অপরাহ্ন
English
পরিচালনাপর্ষদ
আমাদের সাথে থাকুন আপনি ও ... www.timebanglanews.com

পরীমনির বোট ক্লাব যাওয়া এর পরের ঘটনায় জানিয়ে দিয়েছে মেয়েদের না মানে না !

  • প্রকাশিত ০৬:১১ অপরাহ্ন বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪
পরীমনির বোট ক্লাব যাওয়া এর পরের ঘটনায় জানিয়ে দিয়েছে মেয়েদের না মানে না !
ফাইল ছবি
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

পরীমনি সমর্থনে সরব কথা :- কর্পোরেট লেভেলে জব করার একজন নারীর পোশাক কি খেটে খাওয়া দিনমজুর নারীর পোশাকের মত হবে?

হবার কথা না। 

যোগত্যা এবং অবস্হানে তারা ভিন্ন।কেউ রোদে কাজ করে, কেউ অট্টালিকায় এসি-তে

একজন চলচ্চিত্র অভিনেত্রীর পোশাক আর মাদ্রাসার নারী শিক্ষার্থীর পোশাক কি এক হবে?

পেশা এবং শিক্ষাগতভাবে তারা ভিন্ন…

মানসিকতাতেও ভিন্ন।

কর্ম ও শিক্ষাস্হলও ভিন্ন।


মজার ব্যাপার হলো, কোনো অঘটন ঘটলে আমরা রাম-শ্যাম-যদু-মধু সবাইকে এক লেভেলে, এক কাতারে নিয়ে এসে দুমাইয়া কমেন্টস করতে থাকে😜😜😜


ধরে নিলাম কোনো নায়িকা রাতের বেলায় ক্লাবে গিয়েছে…

(সিনেমার নায়িকা তো ক্লাবেই যাবেন, ওমরা করতে তো আর সৌদি যাবেন না…আর সৌদিতে গৃহকর্মীর কাজ করতে গিয়ে বাংলার হাজার হাজার মা বোন ধর্ষিত হচ্ছে, গর্ববতী হচ্ছে… ওগুলো নিশ্চয়ই ইউরোপ, ম্যারিকা থেকে এসে কেউ করে যাচ্ছে ! কারন, লক্ষ নবীর দেশে কোনো আকাম কুকাম তো হতেই পারে না)

যাই হোক, ঢাকার ওই ক্লাবগুলো প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে সারারাত খোলা থাকে মৌজ-মাস্তি করার জন্যই এবং সমাজের অনেক অনেক হাই লেভেলের নারী পুরুষ সেখানে যায় তাস খেলে মদ খায়... কোনো সমস্যা নাই… শুধু নায়িকা গিয়ে বিপদে পড়লেই, গ্যাছে ক্যা? তাহাজ্জুতের সময় ক্লাবে কি?🥴


আরে ভাই, একজন নারী নাইট ক্লাবে যাবে নাকি পাড়ার মক্তবে যাবে সেটা তার ইচ্ছা। নাইট ক্লাবে যাওয়া মানে নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে সেই মেয়েকে যেকেউ টাচ করবে তাতো না! আবার যে মেয়েটি মক্তবে গিয়েছে হুজুর মন চাইলেই তাকে টাচ করবে বা ধর্ষণ করবে তাতো নয়! একটা মেয়ে কাজে অকাজে রাতের বেলায় রাস্তায় হাঁটতে পারে, তার মানে এই না যে আপনি মন চাইলো আর তাকে ধর্ষণ করে দিলেন৷ একটা সহজ লাইন আপনাদের মগজে ঢুকিয়ে রাখুন, একজন নারী যখন বলবে 'না'। এটার মানে কেবলই 'না'৷ 'No means No'


আমরা সবাই এক একজন বিজ্ঞ বিচারক হয়ে গেছি। সবাই ধোয়া তুলসী পাতা তাই না? 


যদি শিক্ষিত মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে এতটুকু বুঝতে শিখুন.....#না মানে "না"। সে যখন "না" বলবে তখন তার শরীরে হাত দেয়ার অধিকার কারো নাই। একজন নায়িকা বলেই তার সাথে যে কোন অন্যায় কাজ করা জায়েয? 


একজন স্ত্রীও তার স্বামী দ্বারা ধর্ষনের স্বীকার হতে পারেন। একজন দেহ ব্যবসায়ীও ধর্ষণের বিচার চাইতে পারেন।

আর Pori Moni নায়িকা বলে বিচার চাইতে পারবে না?


এইটা আমাদের অসুস্থ মস্তিষ্কের বিকৃত কল্পনা। এইজন্যই আমরা একটা রুগ্ন জাতিতে পরিণত হচ্ছি। এতো হিংসা বিদ্বেষ কেনো আমাদের?


কে কি পেশায় কর্মরত, কে কি পোশাক পরিধান করলো, রাতে না দিনে ঘুরলো, আম খাইলো না জাম খাইলো.......তাতে আমাদের কি?


দোষী যে বা যারাই হোক না কেনো.......দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

ঠিক সেভাবেই ভিক্টিম #পরিমনি বা অন্য যে কোনো সাধারণ মেয়েই হোক......তার পাশে আছি। 💪


প্রতিবাদি পরীমনি উদাহরণ হয়ে থাকবে -

অর্ধ যুগেরও বেশি সময় ধরে পরীমনি চলচ্চিত্রের সাথে সংশ্লিষ্ট। কাজ করেছে অনেক পরিচালক ও সহকর্মীদের সাথে। এফডিসিতে এত এতসব সমিতি, কেউ  কোন শক্ত প্রতিক্রিয়া জানাতে পারলোনা ?  শিল্পী সমিতিও কোন অফিসিয়াল বা আন-অফিসিয়াল প্রতিক্রিয়া জানায় নি। এটা খুব দুঃখজনক। একজন বিপন্ন ও বিপর্যস্ত অভিনয় শিল্পীর পাশে যদি তার সহকর্মীরা না দাঁড়ায়, তবে সেই শিল্পের প্রতি নিজেরদের বিশ্বাস, ভালবাসা কিভাবে ধরে রাখবে। অভিনয় শিল্পীদের সাংগঠনিক একতা এতটা দুর্বল হওয়া উচিত নয়। পরীমনির কথায় বুঝা যায, সে প্রায় একাই নড়ে প্রমান করেছে তার বিপদের দিনে নিজেকে স্বাধীন সত্ত্বার নাগরিক হিসেবে বিচার চাওয়ার অধিকার আছে। তাকে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত। এখানে অন্যকোন নারী হলে এতটা সাহস করতো কিনা সন্দেহ ছিল।

কেউ কেউ পরীমনিকে নায়িকা হিসেবে নানা কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করছে, যা ওকে আরো বেশি বিপর্যস্ত করে তুলছে। এর কি কোন প্রতিবাদ নেই ? 

চলচ্চিত্রকর্মী মানেই কি বেশ্যা ? দেশের বিভিন্ন শহরের আনাচে কানাচে যে অঘোষিত বেশ্যালয় আছে, তার তুলনায় চলচ্চিত্রের নারীরা কিছুই না। যারা চলচ্চিত্রের মেয়েদের বাঁকা চোখে দেখে, তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, চলচ্চিত্রের নারী শিল্পীরা বেশ্যাগিরি করেনা। ওরা নিজেদের শিল্পসত্তা, স্বপ্ন ও প্রতিভা বিকাশের জন্য চলচ্চিত্রে কাজ করে। বরং অল্প কিছু কুরুচিপূর্ণ লোক মাঝে মাঝে চলচ্চিত্রের বাইরের বেশ্যাদের টেনে এনে নায়িকা বানানোর নাম করে জাতীয় এই শিল্পটাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দেয়। আমাদের সম্মানিত শিল্পীদের চরিত্রকে প্রশ্নের মুখোমুখি করে। মনে রাখা উচিত, চলচ্চিত্র একটি দেশের শিল্প সংস্কৃতির সবচে’ শক্তিশালি মাধ্যম। চলচ্চিত্র ও চলচ্চিত্রকর্মীদের ছোট করে দেখার উপায় নেই। 

আমাদের এফডিসি’র প্রতিটা সংগঠনের উচিত চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের এমন বিপদের সময় অফিসিয়াল বিবৃতির পাশাপাশি শারিরীক ও মানসিকভাবে তাদের পাশে থাকা। নয়তো মেধাবী ও সম্ভাবনাময় শিল্পীরাও একদিন বিশ্বাস হারিয়ে এ শিল্প থেকে দূরে সরে যাবে। পাশাপাশি চলচ্চিত্রকর্মীদেরও সাবধানাতার সাথে পথচলা উচিত।

সকল চলচ্চিত্রকর্মী ও চলচ্চিত্রপ্রেমীদের প্রতি শুভকামনা।

#justiceforporimoni

#justiceforpori


সর্বশেষ