ভারতীয় চিনি বোঝাইকৃত ১৪টি ট্রাক, একটি মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার জব্দ করেছে পুলিশ। এটি সিলেটের সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে আসা এক সাথে ভারতীয় চিনির সবচেয়ে বড় চালান বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৬টার দিকে এসএপির জালালাবাদ থানাধীন উমাইয়ার গাও থেকে অভিযান চালিয়ে চালানটি আটত করা হয়।
জানা যায়, ট্রাকগুলো কোম্পানীগঞ্জ থেকে জালালাবাদের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় পুলিশ ধাওয়া দিলে ১৪টি ট্রাক, প্রাইভেটকার ও ১টি মোটরসাইকেল রেখে পালিয়ে যায় চোরাকারবারিরা। জব্দকৃত চিনির অনুমানিক মূল্য ২ কোটি টাকা।
এসএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) আযবাহার আলী শেখ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জালালাবাদ-কোম্পানীগঞ্জ সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে এসএমপি'র অভিযানে ১৪টি ভারতীয় চিনি বোঝাইকৃত ট্রাক জব্দ করা হয়। কত বস্তা আছে রয়েছে তা গণনা চলছে। এসময় একটা প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল আটক করা হয়েছে। অভিযানের সময় আসামিরা গাড়ি থেকে নেমে দৌড়ে পালিয়ে যায়। কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, ভারতের চিনি রপ্তানি বন্ধ ঘোষণায় দীর্ঘদিন ধরে চড়া দেশের বাজার। দফায় দফায় দাম বেড়ে গত রমজানে খুচরা বাজারে দেড়শ টাকা ছাড়ায় চিনির কেজি। বাজারের এমন পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কম দামে অবৈধ পথে ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ চিনি দেশে আনছে বেশ কয়েকটি অসাধু চক্র। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে। তবে ভোক্তাকে চিনি কিনতে হচ্ছে আগের চড়া দামেই। এছাড়া ভারতীয় নিম্নমানের চিনির কারণে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে ভোক্তারা।
বর্তমানে দেশের বিক্রিত চিনির প্রায় ৪০ শতাংশের বেশি আসছে অবৈধ পথে। ফলে বর্তমানে বছরে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। ভারতীয় বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বিশেষ করে সিলেট অঞ্চল দিয়ে এসব চিনি প্রবেশ করছে।
আমদানিকারকদের দাবি- যে হারে চোরাই চিনি দেশে ঢুকছে তাতে আগামীতে বছরে ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারাতে পারে সরকার।
মতামত দিন