• ২০২৪ সেপ্টেম্বর ১৯, বৃহস্পতিবার, ১৪৩১ আশ্বিন ৪
  • সর্বশেষ আপডেট : ০৫:০৯ পূর্বাহ্ন
English
পরিচালনাপর্ষদ
আমাদের সাথে থাকুন আপনি ও ... www.timebanglanews.com

সরকারি স্থাপনা রক্ষায় সেনাবাহিনীর ভূমিকা ছিল

  • প্রকাশিত ০৭:০৯ পূর্বাহ্ন বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪
সরকারি স্থাপনা রক্ষায় সেনাবাহিনীর ভূমিকা ছিল
টাইম বাংলা
মতিউল ইসলাম (মতি) কক্সবাজার প্রতিনিধি

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফলে যখন স্বৈরাচারী হাসিনা পদত্যাগ করার পর পর সারাদেশের ন্যায় কক্সবাজার জেলায় এর প্রবল প্রভাব পড়ে। জেলার ৯টি থানার মধ্যে কক্সবাজার সদর মডেল থানা ছাত্র জনরোষের শিকার হলেও ৯ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অধিনায়ক লে কর্ণেল তানভীরের নির্দেশে মেজর মাঝাহার তাৎক্ষণিক পদক্ষেপে সদর মডেল থানার পুলিশ সদস্যদের প্রাণ রক্ষা পায়। জেলার বাকী ৮ থানাও সেনাবাহিনীর তড়িৎ পদক্ষেপের কারণে জানমাল রক্ষা পেয়েছে।

ঘটনার বিবরণে প্রকাশ গত ৫ আগস্ট বিকালের দিকে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ছাত্র জনতার বিশাল মিছিল জেলা শহরে প্রবেশ করে সদর মডেল থানায় হামলা লুটপাট শুরু করলে প্রাণ ভয়ে সদর মডেল থানার দায়িত্ব প্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যরা পালিয়ে যায়। অবস্থার বেগতিক দেখে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার সেনাবাহিনীর জরুরী সহযোগিতা কামনা করলে রামু সেনানিবাসের জিওসি তাৎক্ষণিক ভাবে ৯ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অধিনায়ক লে: কর্ণেল তানভীর কে নির্দেশ প্রধান করেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার। 

লে: কর্ণেল তানভীর জেলার ৯ টি থানার দায়িত্ব অর্পণ করেন ৯জন সেনা কর্মকর্তাদের। তার মধ্যে কক্সবাজার সদর মডেল থানার দায়িত্ব প্রাপ্ত হন মেজর মাঝাহার। মেজর মাঝাহার দায়িত্ব প্রাপ্ত হয়ে স্থানীয় সাংবাদিক ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জেলার সমন্বয়কদের সাথে নিয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার পুলিশ সদস্যদের বড় ধরনের অঘটন থেকে রক্ষা করে ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেন। সেনাবাহিনীর উপস্থিতি দেখে স্থানীয় কিছু লুটপাট কারীরা পালিয়ে যায়। উল্লেখ্য সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগে সদর মডেল থানায় অগ্নিসংযোগ ও যে সমস্ত মালামাল লুটপাট হয়েছে হয়েছে। সেনাবাহিনী পৌঁছানোর পর আর কোন লুটপাট বা অগ্নিসংযোগ করতে পারেনি আন্দোলন কারীরা। 

সদর মডেল থানার সকল ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র সেনাবাহিনী নিজ হেফাজতে নিয়ে নেন যাতে আন্দোলন কারীরা অস্ত্র লুট করতে না পারে। পরবর্তীতে সেনা হেফাজতে থাকা অস্ত্র সমূহ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন এবং গত ২১ আগস্ট সদর মডেল থানার ওসি রাকিবুজ্জামান ও ডিউটি অফিসার সুষ্ময় দাস গুপ্তার হাতে থানার যাবতীয় দায়িত্ব তুলে দিয়ে সেনা ডিউটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। 

সেদিন ৯ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বিভিন্ন ইউনিট জেলার বিভিন্ন থানার পাশাপাশি, কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, কক্সবাজার জেলা পুলিশ কার্যালয়, উপজেলা পরিষদ, জেলা কারাগার, জেলা পুলিশ লাইন সহ, জেলা সদরে অবস্থিত সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রক্ষার কাজে নিয়োজিত ছিলেন গর্বিত সেনাবাহিনী। 

গত ২০ আগস্ট থেকে আনসার ভিডিপি কর্মবিরতির ফলে কক্সবাজার বিমান বন্দর অরক্ষিত হয়ে পড়ে। সেই দায়িত্বও সেনাবাহিনীর সদস্যদের পালন করতে দেখাযায়। যার ফলে জেলা সদরের পুলিশ জনতার কাছে সেনাবাহিনী একটি বিশ্বস্ত আস্থাভাজন বাহিনী হিসাবে পরিচিত লাভ করেন।

সর্বশেষ