• ২০২৪ সেপ্টেম্বর ১৯, বৃহস্পতিবার, ১৪৩১ আশ্বিন ৪
  • সর্বশেষ আপডেট : ০৫:০৯ পূর্বাহ্ন
English
পরিচালনাপর্ষদ
আমাদের সাথে থাকুন আপনি ও ... www.timebanglanews.com

ছাত্র আন্দোলনে হামলা: মামলার আসামী ছাত্রলীগ নেতা রিপন

  • প্রকাশিত ০৬:০৯ পূর্বাহ্ন বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪
ছাত্র আন্দোলনে হামলা: মামলার আসামী ছাত্রলীগ নেতা রিপন
ফাইল ছবি
গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি:

ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও গুলির ঘটনায় মামলার আসামি হলেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মিলাদুর রহমান রিপন।

সেদিন তাদের গুলাগুলি ও হামলার ঘটনায় আহত হন আবু তাহের নামের এক শিক্ষার্থী। 

এ ঘটনায় (০৩ সেপ্টেম্বর) সিলেট সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে সৈয়দ মিলাদুর রহমান রিপনসহ ৪৫ জনকে আসামী করে আহত আবু তাহেরের মা হাজিরা বেগম বাদি হয়ে  একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং, সি আর ৩১২/২০২৪ ইংরেজি 

এ মামলায় মিলাদুর রহমান রিপনকে ৩ নাম্বার আসামী উল্লেখ করা হয়েছে।

মিলাদুর রহমান রিপন উপজেলার বাঘা ইউনিয়নের তুরুকভাগ গ্রামের মুহিবুর রহমানের ছেলে। সে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে জড়িত ছিলো।

মামলা সুত্রে জানা যায়, (৪ আগস্ট) উপজেলার ইসলাম প্লাজার সামনে রিপনসহ মামলা অন্যান্য আসামীরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ছাত্রদের উপর নির্বিচারে গুলি চালায়।এসময় তাদের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আবু তাহের নামের একজন গুরুতর আহত হন।

এ ঘটনায় মামলার আসামী মিলাদুর রহমান রিপনসহ অন্যান্যরা পলাতক রয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে।

ছাত্রলীগ নেতা রিপন দীর্ঘদিন ধরে তার নিজ এলাকা বাঘা ইউনিয়নে প্রভাব বিস্তার করে আসছিলেন। হাওরের ফসলি জমি থেকে অবৈধ ভাবে মাটি উত্তলন, সুরমা নদী থেকে জোরদখল করে বালু উত্তলন সহ এলাকায় নানা ধরণের অবৈধ কাজে লিপ্ত ছিলো সে। 

এসব অন্যায়ের কেউ প্রতিবাদ করলেই মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করাই ছিলো তার কাজ।


উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা আর্জমন্দ আলীর ছত্রছায়ায় দীর্ঘদিন ধরে এসব অপকর্ম করে আসলেও কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায়নি। প্রতিবাদ করলেই টানতে হতো মামলার ঘানি।


বিভিন্ন সময় এসব অন্যায়ের প্রতিবাদ করে বাঘা ইউনিয়নের খালপার গ্রামের বেশ কয়েকজন মামলার সম্মুখীন হয়েছিলেন। খবর নিয়ে জানা যায়, খালপার গ্রামের কয়েস আহমদ,নাসির আহমদ, কালা মিয়া সহ অনেকেই তার দেয়া মামলায় এখনও নিয়মিত  আদালতে হাজিরা দিতে হয়।


রিপন ও তার সহযোগীরা বাঘা ইউনিয়নের হতদরিদ্র জেলে এলাকা, খালপার গ্রামের সুরমা নদীর অংশ থেকে দীর্ঘদিন থেকে বালু ও নদীর উপর অংশ থেকে তার ভগ্নিপতি জাফর আহমদ মিলে মাটি উত্তলন করে আসছিলো। মাটি পরিবহনের জন্য মানুষের যাতায়াতের সরকারি সড়ক কেটে মাটি পরিবহন করতে গেলে বাধা দেয় স্থানীয়রা,আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে প্রশাসন ম্যানেজ করে একের পর এক মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছিলো স্থানীয় মানুষদের। 


গত (৫ আগস্ট) স্বৈরাচারী সরকার পতন হওয়ার পর মানুষ কিছুটা স্বস্তি পেলেও এখনও রিপনের ভয়ে মুখ খুলতে ভয় পান অনেকেই। জানা যায় বর্তমানে মামলা থেকে বাঁচতে বিএনপি নেতাদের দোয়ারে দোয়ারে ধর্না দিচ্ছে সে।

সর্বশেষ