অগ্নিকন্যা খ্যাত বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী মারা গেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
বুধবার বেলা ১১টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে মতিয়া চৌধুরী মারা যান বলে মামা সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা জামাল হায়দার ঢাকা টাইমসকে জানিয়েছেন।
মতিয়া চৌধুরী নিউরোজনিত সমস্যা নিয়ে দু মাস ধরে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার মরদেহ হাসপাতালটির মর্গে রাখা আছে। জানাজা শেষে ঢাকার মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে প্রয়াত স্বামী প্রখ্যাত সাংবাদিক বজলুর রহমানের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
১৯৯৬ ও ২০০৯ এবং ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ শাসনামলে কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর তিনি জাতীয় সংসদের সংসদ উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব নেন। শেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মতিয়া চৌধুরী গত ফেব্রুয়ারিতে মন্ত্রীর মর্যাদা পেয়েছিলেন।
ছাত্র অবস্থায় আইয়ুবের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রাম করে আসা সেসময় ঢাকার ইডেন কলেজেন ভিপি ছিলেন। পরে ডাকসুর সাধারণ সম্পাদকও হয়েছিলেন। সেসময় বামপন্থী রাজনীতিতে সক্রিয় মতিয়া চৌধুরী রাজপথের লড়াকু যৌদ্ধা হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন। ছাত্র ইউনিয়ন যখন দুভাগে বিভক্ত হয়ে যায় তখন তিনি একটি অংশের নেতৃত্ব দেন এবং ছাত্র ইউনিয়ন মতিয়া গ্রুপের সভাপতি হন।
পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। তখন তিনি দলটির কেন্দ্রীয় নেতা না হয়েও গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছেন। পরে শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর মতিয়া চৌধুরী তার সঙ্গে তৃণমূল পর্যায়ে আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করেন।
স্বৈরাচার এরশাদের সামরিক শাসনের সময় মতিয়া চৌধুরী রাজপথে মার খেয়েছিলেন। সেসময় তিনি মারা গেছেন বলে মনে করা হয়েছিলো। আমৃত্যু গণমুখী রাজনীতি করে আসা সেই অগ্নিকন্যা বিদায় নিলেন গণমানুষের কাছ থেকে।
মতামত দিন