কতটা কোনঠাসা হয়ে পড়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু? আচমকাই চাপে পড়া রাষ্ট্রপতি কি কার্যত নজরবন্দি অবস্থায় আছেন? তিনি কি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করবেন? না-কি তাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। এমন নানা প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে সর্বত্র।
কেন রাষ্ট্রপতি নিজে মুখ খুলছেন না? কেন জাতির সামনে এসে তার একটি বক্তব্যকে ঘিরে যে বিতর্ক তার অবসান ঘটানোর চেষ্টা করছেন না? কেন তিনি প্রকাশ্যে আসছেন না? মিডিয়ার সামনে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করছেন না?
খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করেছে এসব বিষয়ে। জানা গেছে, রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে সবকিছু থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। তাকে কড়া নজরে রাখা হয়েছে। তিনি যেন গোয়েন্দা নজরদারির বাইরে কারো সাথে কোনো কথা বলতে না পারেন, যোগাযোগ করতে না পারেন পুরোদস্তুর সেই ব্যবস্থার মধ্যে আছেন। ঢাকা টাইমস জানতে পেরেছে ইচ্ছে থাকলেও রাষ্ট্রপতি গণমাধ্যম এমনকি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমেও নিজের অবস্থান জানান দিয়ে কিছু বলার মতো অবস্থায় নেই।
সম্পাদক, সিনিয়র সাংবাদিক মতিউর রহমান চৌধুরীকে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পু কি আনুষ্ঠানিক কোনো সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন? পূর্ব নির্ধারিত কোনো অ্যাপয়নমেন্ট ছিল? সাক্ষাৎকারের কোনো অডিও, ভিডিও কপি কি আছে। এমন প্রশ্নও কেউ কেউ তুলেছেন। কথা বলার জন্য যোগাযোগ করেছিল রাষ্ট্রপতির প্রেস উইংয়ে। কিন্তু বিস্ময়কর হলো দায়িত্বপ্রাপ্ত কেউই এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি।
‘অফ দ্য রেকর্ড', 'অন রেকর্ড' কোনো বক্তব্য এবং সেই বক্তব্যের রেশ যে এত ভয়াবহ হতে পারে সেটাই বা কে জানতো? সাংবাদিক মতিউর রহমান চৌধুরী মিডিয়ার সামনে ব্যাখ্যা অবশ্য দিয়েছেন। বলেছেন, বই লেখার কাজে একটি তথ্যের জন্যে তিনি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা বলেছেন। আর রাষ্ট্রপতি তাঁকে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার পদত্যাগের কোনো হার্ডকপি তার কাছে নেই। এই কপি থাকা না থাকা কতটা গুরুত্ব বহন করে সেটি ভিন্ন প্রশ্ন। কিন্তু সিনিয়র সাংবাদিক মতিউর রহমান চৌধুরীর কলামে শেখ হাসিনার পদত্যাগের হার্ডকপি সংক্রান্ত তথ্য আমার পরে বঙ্গভবন তো একটি বিবৃতিও দিয়েছে। বলেছে, পদত্যাগ কার্যকর হয়ে যাওযার পর এ নিয়ে বিতর্ক অপ্রাসঙ্গিক। কিন্তু বঙ্গভবনের ব্যাখাই বা কেন কোনো মহলে গুরুত্ব পেলো না?
আবার কেনই বা রাষ্ট্রপতি নিজে 'অন রেকর্ড' মুখ খুলে জাতির সামনে বিষয়টি নিয়ে কথা বলে বিতর্কের অবসান ঘটালেন না? নেপথ্যে আসলে কী আছে? তিনি কি কথা বলার, মতো অবস্থায় নেই? আসলে হচ্ছেটা কী?
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম দুই নেতা সারসিজ আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ দৃঢ়চিত্তে বলেছেন, বৃহস্পতিবারের মধ্যেই নতুন রাষ্ট্রপতি চূড়ান্ত হবে। তাহলে তলে তলে কি অনেক কিছু হচ্ছে। যার সামনে ছাত্ররা আছেন কিন্তু নেপথ্যে যারা তাদের ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পু কি পদ ছেঁড়ে দেবেন? না-কি ভিন্ন কিছু ঘটবে? চারিদিকে শুধুই জল্পনা আর কৌতূহল।
ঢাকা টাইমস
মতামত দিন