দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সাধারণ সভা ও নির্বাচন আজ (শনিবার)। ২১টি পদের জন্য নির্বাচনি লড়াইয়ে নামছেন ৪৬ জন।
রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে সকাল ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত হবে বার্ষিক সাধারণ সভা এবং ২টা থেকে ৬টা পর্যন্ত হবে ভোট।
ভোটের আগের দিন শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরের পর থেকেই ভোটার-প্রার্থীদের পদচারনায় মুখরিত হোটেল লবি। কাউন্সিলর ও নির্বাহী কমিটির কর্মকর্তাদের জন্য বাফুফে হোটেলে কক্ষ বরাদ্দ করেছে। অনেকেই শুক্রবার বিকেলের মধ্যেই সেই কক্ষে উঠেছেন।
দীর্ঘ ১৬ বছর বাফুফে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা সাবেক তারকা ফুটবলার কাজী সালাউদ্দিন এবার আর নির্বাচনে নেই। নতুন সভাপতি হওয়ার লড়াইয়ে আছেন তাবিথ আউয়াল এবং এ এফ এম মিজানুর রহমান চৌধুরী।
তাবিথ আউয়াল এর আগে সহসভাপতি হিসেবে বাফুফেতে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বিভিন্ন কমিটিতে কাজ করে নানা পরিবর্তন নিয়ে এসেছেন। সাবেক ফুটবলার হিসেবেও তার পরিচিতি আছে। অন্যদিকে মিজানুর রহমান একজন কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। তবে তাকে ফুটবলে খুব কম লোকই চেনে। সভাপতি পদে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েই আলোচনায় আসেন তিনি।
সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ইমরুল হাসান। চার সহ-সভাপতি পদে পার্থী আছেন চারজন। সাবেক দুই জাতীয় দলের ফুটবলার রুম্মন বিন ওয়ালী সাব্বির ও শফিকুল ইসলাম দুপুরের পর থেকেই কাউন্সিলরদের সঙ্গে দেখা করেছেন। অন্য সহ-সভাপতি প্রার্থীরাও হোটেলে এসেছেন কিছু সময় পরপর।
শুক্রবার হোটেল লবিতে ভোট চাওয়ায় সবচেয়ে বেশি তৎপর দেখা গেছে সদস্য প্রার্থীদের। ফেডারেশনের নির্বাচনে মূল আকর্ষণ এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকে সদস্য পদেই। ১৫ নির্বাহী সদস্য পদের জন্য লড়বেন ৩৭ জন। এই পদে প্রার্থী হয়েছেন সাবেক অধিনায়ক, তারকা ফুটবলার, সংগঠক, ব্যবসায়ীরাও।
এবারের নির্বাচনে প্রথমবার প্রার্থী হয়েছেন সাবেক তারকা ফুটবলার গোলাম গাউস। গণমাধ্যমে তিনি বলেছেন, ‘আসলে আগে নির্বাচন দেখেছি, এবার নিজেই করছি। সবার কাছে ভোট চাইছি। সমর্থন ও ভোট পেলে নির্বাচিত হবো আশা করি।’ জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার ইকবাল হোসেন আবারও এই পদে নির্বাচন করছেন।
সদস্য পদে এবার নির্বাচন করবেন তরুণ ব্যবসায়ী চুয়াডাঙ্গার কাউন্সিলর এখলাস উদ্দিন। ফেডারেশনে এসে ভালো ভালো ফুটবলার তৈরি করতে চান এই সংগঠক। ফুটবল সমর্থকগোষ্ঠী আলট্রাসের মধ্য থেকেও একজন প্রার্থী হয়েছেন।
নতুন অনেকেই সদস্য পদে প্রার্থী হয়েছেন। এর মধ্যে আবার কিছু বিতর্কিত ব্যক্তিও প্রার্থী হয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম মাহফুজা আক্তার কিরণ। নারী ফুটবল সাফ চ্যাম্পিয়ন হলেও তার কিছু কর্মকাণ্ড এবং কাজী সালাউদ্দিনের আস্থাভাজন হওয়ায় নানামুখী চাপে রয়েছেন তিনি। এবারের বাফুফে নির্বাচনে সর্বাধিক চারজন নারী প্রার্থী হয়েছেন।
নির্বাচনের শুরুতে হাকডাক দিয়ে সভাপতি পদে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন তরফদার রুহুল আমিন। তবে শেষ মুহুর্তে তিনি সের যান। দুই সভাপতি প্রার্থীর মধ্যে শুরু থেকেই আলোচনায় তাবিথ আউয়াল। আগে দুইবার তিনি সহ-সভাপতি ছিলেন। বিপরীতে মিজানুর রহমান দিনাজপুরের তৃণমূল সংগঠক। বাফুফেতে কখনও কোনও পদেও ছিলেন না তিনি। এমনকি সাব কমিটিতেও না।
মতামত দিন