• ২০২৫ ফেব্রুয়ারী ২০, বৃহস্পতিবার, ১৪৩১ ফাল্গুন ৭
  • সর্বশেষ আপডেট : ০১:০২ পূর্বাহ্ন
English
পরিচালনাপর্ষদ
আমাদের সাথে থাকুন আপনি ও ... www.timebanglanews.com

দুর্নীতিবাজ জেলা প্রশাসক রুহুল আমিন কারাগারে, নাজির সপনের বদলি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি!

  • প্রকাশিত ০২:০২ পূর্বাহ্ন বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারী ২০, ২০২৫
দুর্নীতিবাজ জেলা প্রশাসক  রুহুল আমিন কারাগারে, নাজির সপনের বদলি ব্যবস্থা নেওয়া  হয়নি!
File
মতিউল ইসলাম (মতি)

দুর্নীতিবাজ জেলা প্রশাসক  রুহুল আমিন কারাগারে, নাজির সপনের বদলি ব্যবস্থা নেওয়া  হয়নি! 


মতিউল ইসলাম (মতি)


১৫% এবং ২০% আটকিয়ে থাকা ফাইলের নাম ব্যবহার করে শত  শত কোটি টাকা  হাতিয়ে নেওয়া এই প্রতারক চক্রেরের নাম অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে।

 এরা প্রত্যেককে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সাবেক এবং বর্তমান কর্মরত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। তারা সাধারণ মানুষের চোখ ফাঁকি দিয়ে এইভাবে শত শত কোটি টাকা কক্সবাজার থেকে হাতিয়ে নিয়েছে। অথচ সংবাদ পত্রে প্রতিবেদন হয় কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সাধারণ দালালের বিরুদ্ধে।কিন্তুু আসল দালালের তথ্য পাইনি প্রতিবেদকরা। 


   আসল দালাল কারা? এমন প্রশ্ন সাধারণ জনতার? ভোরের কথার অনুসন্ধান বলছে। জেলা প্রশাসক কার্যালয়েযে যে সমস্ত  কর্মচারীরা আছে, তারা নিজেরা নিজেদের মধ্যে দালালি সিনডিকেট তৈরি করে দালালি করিয়েছেন?অবৈধ ঘোষের টাকা শোকৌশলে নিজেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতো।

উপরে যে,১৫% এবং ২০%এর কথা উল্লেখ আছে, সেই টাকা গুলো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে জেলা প্রশাসকের কর্মচারীদের পকেটে ঢুকে যেত!

যা, শেয়াল মামার পাঠশালার মতো একটি কে দুবার করে দেখিয়ে,দুটিকে তিনবার করে দেখিয়ে গত ১৭টি বছরে হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে  সাবেক কক্সবাজার জেলা প্রশাসক এবং সাবেক কর্মরত কর্মচারীরা।

 এখনো অনেক দুর্নীতিবাজ অফিসার কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে  রয়ে গেছে। তার একটি উদাহরণ  (নাজির স্বপন) সে কর্মের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এখনো কিভাবে বদলি না হয়ে? একই কর্মস্থলে  আছে! তা রহস্য জনক?তার কারণ জানতে চাই স্থানীয়রা।

নাজির স্বপন তার অপকর্ম দাম চাপা দেওয়ার জন্য ফিল্ম স্টাইলে তার আরেকটি নিজের সন্তান কে, ও কিভাবে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে আসাহলো, যা চিন্তা করলে আপনার চোখ কপাল উঠবে। তার এত ক্ষমতার উৎস কোথায় জানতে চাই সচেতন মহল। 

 নাজির স্বপন করেননি এমন কোন অপকর্ম নেই বললে চলে। তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের বদলি বাণিজ্য ও বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে  মাসিক মাসোয়ারা নেন । তার আরেকটি উদাহরণ ০৫ আগস্ট এর পূর্বে ৬ নম্বর ঘাট থেকে, নাজির স্বপনের পকেটে প্রতি মাসে ৩০,০০০ হাজার টাকা যেত। তা আসলে কেউ কি জানতো?

তারা এভাবে অতি অল্প সময়ে   কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। 

এতক্ষন যাদের কথা বলা হয়েছে তিনি হচ্ছেন, কক্সবাজার থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার আরেক মাস্টারমাইন।

 কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিন কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

 গত রোববার  দুপুর ১২ টায় রুহুল আমিন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে। আদালতের বিচারক মুন্সী আবদুল মজিদ  জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারের পাঠানোর নির্দেশ দেন।


ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দুদকের আইনজীবী মো. আবদুর রহিম  দৈনিক ভোরের কথা কে বলেন, আজ রোববার  দুপুর ১২টার দিকে সাবেক জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিন মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে হাজির হন। এ সময় তিনি কাঠগড়ায়  দাঁড়িয়ে জামিনের আবেদন করেন।আদালতের মুখ্য বিচারিক হাকিম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে বিকেলে তাঁকে আদালত থেকে কক্সবাজার জেলা কারাগারে নিয়ে যায় পুলিশ।


আদালত ও দুদক সূত্র জানায়, কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়িতে ১ হাজার ৪১৪ একর জমিতে প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় অধিগ্রহণ করা জমির চিংড়ি, ঘরবাড়িসহ অবকাঠামোর বিপরীতে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হয় ২৩৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২৫টি অস্তিত্বহীন চিংড়িঘের দেখিয়ে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হয় ৪৬ কোটি ২৪ লাখ ৩ হাজার ৩২০ টাকা। এ থেকে নানা কৌশলে ১৯ কোটি ৮২ লাখ ৮ হাজার ৩১৫ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়।


এ ঘটনায় ২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর মাতারবাড়ির ব্যবসায়ী এ কে এম কায়সারুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে সাবেক জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিন, সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) জাফর আলমসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে একটি মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য দুদককে নির্দেশ দেন। দুদক দীর্ঘ তদন্ত শেষে প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের সঙ্গে সাবেক জেলা প্রশাসকসহ ৩৬ জনের জড়িত থাকার বিষয়টি দেখতে পায়। গত ৩ এপ্রিল তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে তারা অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে।

এই মামলায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কর্মরত নাজির (স্বপন)  আজেহারে আসামি হিসাবে উল্লেখ আছে। এর পরও কেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক নাজির স্বপনকে, এখনো একই কর্মস্থলে রেখেছেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এসব দুর্নীতিবাজ কর্মচারীদের কে,বদলি করে দিয়ে, উক্ত কর্মস্থলে যোগ্য ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়ার  অনুরোধ জানিয়েছেন, কক্সবাজারের সচেতন মহল।

সর্বশেষ