• ২০২৫ Jun ১৩, শুক্রবার, ১৪৩২ জ্যৈষ্ঠ ৩০
  • সর্বশেষ আপডেট : ১২:০৬ অপরাহ্ন
English
পরিচালনাপর্ষদ
আমাদের সাথে থাকুন আপনি ও ... www.timebanglanews.com

গোপালগঞ্জের চান্দা বিল ও বাঘিয়ার বিলের দুটি সড়কের বেহাল দশা।

  • প্রকাশিত ১২:০৬ অপরাহ্ন শুক্রবার, Jun ১৩, ২০২৫
গোপালগঞ্জের চান্দা বিল ও বাঘিয়ার বিলের দুটি সড়কের বেহাল দশা।
গোপালগঞ্জের চান্দা বিল ও বাঘিয়ার বিলের দুটি সড়কের বেহাল দশার চিত্র।
প্রসেনজিৎ বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি।

গোপালগঞ্জের চান্দা বিল ও বাঘিয়ার বিলের দুটি সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তাই এ দুটি সড়ক এই এলাকার অন্তত ৬০ হাজার মানুষের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কৃষিপণ্য, মৎস্য সম্পদ পরিবহন ও বাজারজাতকরণে এই এলাকার বাসিন্দাদের যেন ভোগান্তির শেষ নেই। 

গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার চান্দা বিলের ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ জলিরপাড়-উজানী সড়কটির বেহালদশা দীর্ঘ দুই বছর ধরে। অন্যদিকে কোটালীপাড়া উপজেলার কলাবাড়ী ইউনিয়নের বাঘিয়ার বিলের আট কিলোমিটার দীর্ঘ বড় ডোমরাসুর-কদমবাড়ী সড়কটি সংস্কারের জন্য তিন বছর আগে খোঁড়া হয়। কিন্তু তিন বছর পেরিয়ে গেলেও সরকটির সংস্কার করা হয়নি। উল্টো চলাচলের অনুপযোগী সড়ক দুটি দিয়ে চলাচল করতে মানুষের অতিরিক্ত সময় ও অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। 

মুকসুদপুর উপজেলার ননীক্ষীর গ্রামের ময়নাল ফকির বলেন, চান্দা বিলের ১৫টি গ্রামের মানুষ জলিরপাড়-উজানী সড়ক দিয়ে চলাচল করে। সড়ক দুটির পিচ উঠে গেছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে ছোট–বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এই সড়কে চলাচল করতে গেলে প্রায়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়। এই সড়কে চলাচলে অতিরিক্ত অর্থ ও সময় ব্যয় হয়। এই দুর্ভোগ আমাদের চান্দা বিলের অন্তত ৪০ হাজার মানুষের। 

মুকসুদপুর উপজেলার উজানী গ্রামের কৃষক সদানন্দ বৈদ্য বলেন, এই সড়ক দিয়ে আমাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য, মৎস্য সম্পদ পরিবহন ও বাজারজাতকরণে আমাদের ভোগান্তির শেষ নেই। এই সড়কে পণ্য পরিবহন করতে আমাদের পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। তাই উৎপাদিত পণ্য বিক্রির পর লাভ কমে যাচ্ছে। বিল, পুকুর ও ঘেরের মাছ পরিবহনে সবচেয়ে বেশি কষ্ট হচ্ছে। 

কোটালীপাড়া উপজেলার কলাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মাইকেল ওঝা বলেন, বাঘিয়ার বিলের আট কিলোমিটার দীর্ঘ বড় ডোমরাসুর-কদমবাড়ী সড়ক তিন বছর ধরে সংস্কারের জন্য খুঁড়ে রাখা হয়েছে। এ সড়কে চলাচল করতে গেলে কোমর ভেঙে যায়। পণ্য পরিবহনে ভোগান্তির শেষ নেই। এ ছাড়া রোগী পরিবহন ও জরুরি সার্ভিসের ক্ষেত্রে বাঘিয়ার বিলের মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। আমরা দ্রুত সড়কটি সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।কোটালীপাড়া উপজেলার নলুয়া গ্রামের বাসিন্দা অ্যাডভোকেট বিজন বিশ্বাস বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নিজ নির্বাচনী এলাকা কোটালীপাড়ার বাঘিয়ার বিলের সড়কটি সংস্কার না করে তিন বছর ধরে ফেলে রাখা হয়েছে। এতে বাঘিয়ার বিলের অন্তত ২০ হাজার মানুষ চলাচলের ক্ষেত্রে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। বাঘিয়ার বিলের মানুষের এই দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দাবি জানাচ্ছি। গোপালগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী এহসানুল হক বলেন, গোপালগঞ্জ জেলার পাঁচ উপজেলায় আমাদের প্রায় ৫ হাজার কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে চান্দা বিলে ১০ কিলোমিটার ও বাঘিয়ার বিলের মাত্র আট কিলোমিটার সড়কের বেহাল অবস্থা। আমরা দ্রুত সড়ক দুটি সংস্কার করে সাধারণ মানুষের চলাচলের উপযোগী করে দেব।মুজিববর্ষে গোপালগঞ্জের কোনো সড়কই বেহাল থাকবে না। আমরা ইতিমধ্যে চলাচলের অনুপযোগী সব সড়ক, কালভার্ট ও ব্রিজ সংস্কার করে দিয়েছি। এ ছাড়া গোপালগঞ্জের সব গ্রামীণ সড়ক বিশেষভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে।

সর্বশেষ