ফুলছড়ি রেঞ্জ ১৩ আকাশমনি গাছ কর্তন অপরাধীরা মামলা থেকে বাদ যেতে মরিয়া!
মতিউল ইসলাম (কক্সবাজার)
"বেশি বেশি গাছ লাগান এবং পরিবেশ বাঁচান "সেই শ্লোগান এখন বিলুপ্তের পথে। বিলুপ্তর পথে পাহাড়ের গাছ, আবাসস্থল হারাচ্ছে বন্যপ্রাণীরা।
আর কত পাহাড় ধ্বংস হলে ঘুম ভাঙবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের?
কক্সবাজার ঈদগাঁও ইসলামপুর ইউনিয়ন উত্তর বন বিভাগের আওতাধীন ফুলছড়ি রেঞ্জ নাপিত খালী বিটে ৬ নম্বর ওয়ার্ড ব্লিজার পাড়া ২০০৫/২০০৬ সনের বাগানের ৪ নং নম্বর প্লট হাকিম আলী গং এর প্লট থেকে অবৈধভাবে কাঠ কেটে বিক্রয়ের অভিযোগ উঠেছে।
বন বিট কর্মকর্তার সূত্রে জানা গেছে,গত ০২/০৯/২০২৫ খ্রি: তারিখে গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ফুলছড়ি রেঞ্জাধীন নাপিতখালি বিটে, বিট কর্মকর্তার নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে ২২ টুকরা আকাশমণি গাছ এবং ১১টি মোথা জব্দ করা হয়। জব্দকৃত গাছের ভলিউম ১৩.১৩ cft. এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান।
অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে উক্ত প্লটের গোপন রহস্য হাকিম আলী গং ২০০৫ এবং ২০০৬ সালের দীর্ঘদিন ধরে প্লট দাবি করে আসছিল। পরবর্তীতে সরকার এসব প্লট বাতিল করে দেয়। এরপর নতুন করে তাদের নামে কোন প্লট বরাদ্দ হয়নি। সম্পূর্ণ বৈধভাবে উক্ত প্লটের গাছ বিক্রয় করে আসছিল। গত ০২/০৯/২৬ ইসলামপুর ধর্মের ছড়া ৮ নং নম্বর ওয়ার্ডের আলী হোসেনের পুত্র হাকিম আলী(৪৭) একই ওয়ার্ডের বদর আলমের পুত্র মামুনুর রশিদ (৩৫)একই এলেকার খলিলুর রহমানের পুত্র নুরুল হক এর নেতৃত্বে এসব গাছ কাটা হয়েছে বলে অভিযোগ আছে। হাকিম আলীর প্লট পাহারাদার নুর আলম জানান,আহাম্মদ কবির নামে একজন কাঠ ব্যবসায়ীকে ২২টি গাছ ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে হাকিম আলী বিক্রি করেন আমি আমার বেতন হিসাবে ৭০০০ টাকা নিয়ে অবশিষ্ট টাকা নুরুল হকের হাতে বুঝিয়ে দি।তিনি আরো বলেন উক্ত গাছ কাটার মামলায় মূল আসামিদের বাদ দিয়ে আমাকে ফাঁসিয়ে দেয়া হচ্ছে এমন অভিযোগ ভুক্তভোগী পাহারাদার নুর আলমের এবং উক্ত বিষয়ের পাঁচ মিনিটের অনুসন্ধানি কল রেকর্ড প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত আছে । এই বিষয়ে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো: মারুফ হোসেনের বক্তব্য নেওয়া হল,তিনি বলেন এই বিষয়টি অনুসন্ধান করে মূল অপরাধী যেন কোনভাবে মামলা থেকে বাদ না পড়ে। রেঞ্জ অফিসার রাশিক আহসানকে বলে দেওয়া হয়েছে। অবশ্যই অপরাধীরা আইনের আওতায় আসবে এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ এসব গাছ কাটার বিষয়ে মূল অপরাধী যদি মামলা থেকে বাদ পড়ে যায়, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা কোনভাবে সম্ভব হবে না। মূল অপরাধীদের সনাক্ত করে তাদের কে আইনের আওতায় আনা না হলে, পাহাড়ে এক টুকরা গাছ এবং মাটিও থাকবে না।যা প্রাকৃতিক সম্পদ ও প্রাকৃতিক পরিবেশের ধ্বংস অনিবার্য।
মতামত দিন