• ২০২৫ নভেম্বর ২৫, মঙ্গলবার, ১৪৩২ অগ্রহায়ণ ১০
  • সর্বশেষ আপডেট : ০১:১১ পূর্বাহ্ন
English
পরিচালনাপর্ষদ
আমাদের সাথে থাকুন আপনি ও ... www.timebanglanews.com

গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের বিরুদ্ধে ভূয়াঁ সংবাদ পরিবেশনের অভিযোগ উঠেছে

  • প্রকাশিত ০২:১১ পূর্বাহ্ন মঙ্গলবার, নভেম্বর ২৫, ২০২৫
গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের বিরুদ্ধে ভূয়াঁ সংবাদ পরিবেশনের অভিযোগ উঠেছে
File
কক্সবাজার প্রতিনিধি :

গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের বিরুদ্ধে ভূয়াঁ সংবাদ পরিবেশনের অভিযোগ উঠেছে 


কক্সবাজার প্রতিনিধি :

অনৈতিক সুবিধা দিতে না পারায়, কক্সবাজার রামু গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর শাহজাহান মনিরের বিরুদ্ধে নিবন্ধন বিহীন ভূ্ঁয়া ফেসবুক আইডি থেকে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনের অভিযোগ উঠেছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত ০১অক্টোবর ২৫ খ্রিস্টাব্দ রাত ৮:৫০ ঘটিকার সময় এনসিপি ছাত্র রাজনীতি পরিচয় দিয়ে ০৪জন গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এর রুমে প্রবেশ করে। তখন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এর রুমে একজন বয়স্ক ব্যক্তি সহ তিনজন ভদ্র মহিলা একটি অভিযোগের বিষয়ে তার সাথে কথা বলতে ছিলেন। এমন সময় এনসিপি নেতা পরিচয় দিয়ে বলেন যে, কচ্ছপিয়া গর্জনীয়া এলাকায় খুন খারাপি ডাকাতি, চুরি, মারামারি এবং ধর্ষণের মতো ঘটনা ব্যাপকভাবে হচ্ছে। পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ তখন জানান যে, আপনারা তো এলাকার সচেতন ব্যক্তি অবশ্যই কোথায় কোথায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে একটি লিস্ট বা একটি তালিকা দেন তখন তারা বলেন যে এটা আপনাদের বিষয়। 


গর্জনীয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এনসিপি ছাত্র পরিচয় ধারী নেতাদের বলেন যে, এলাকায় যে কোন ধরনের ঘটনার বিষয় তাৎক্ষণিক আমার নিকট কোন সংবাদ আসলে সে বিষয়টি পুলিশের উপস্থিতিতে আইনগত ব্যবস্থা অতি দ্রুত গ্রহণ করা হচ্ছে। তবে আপনাদের এমন অভিযোগ সবগুলোই আইনশৃঙ্খলা অবনতির ঘটনা অত্র এলাকায় এই ধরনের প্রতিনিয়ত ডাকাতি, চুরি মারামারি খুন-খারাবি এবং ধর্ষণের মতো ঘটনা তথ্য আমাদের কাছে নেই। আপনারা কোথেকে কিভাবে এই তথ্য সংগ্রহ করলেন, অভিযোগ আকারে দেন দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 


তখন এনসিপির একজন বলেন আমার নাম নজরুল ইসলাম পিতা সালেহ আহমদ সাং- কচ্ছপিয়া, ১ নং ওয়ার্ড কচ্ছপিয়া ইউপি আমি যুগ্ম আহবায়ক গর্জনীয় কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন এর নেতা। 


তাদের উক্ত অভিযোগের বিষয়গুলো লিখিত আকারে দেওয়ার জন্য গর্জনীয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ অনুরোধ করার পরও তারা অভিযোগ না দিয়ে সরাসরি আসামিকে গ্রেফতারের নির্দেশনা প্রদান করে এবং বলেন যে এই মুহূর্তে আপনাকে আসামি ধরতে হবে, কেন ধরবেন না, কেন ধরছেন না, এখন ধরতে হবে, এছাড়াও এলাকায় ডেভিল এবং বিভিন্ন বড় বড় রাজনৈতিক দলের নেতারা বুক ফুলিয়ে হাঁটছে তাদেরকে কেন গ্রেপ্তার করছেন না বলে হুংকার প্রদান করেন। গ্রেপ্তার না করলে আপনাকে এই মুহূর্তে গর্জনীয়া ছেড়ে চলে যেতে হবে। 


এ সময় গর্জানিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এর রুমে কক্সবাজার দৈনিক খোলা কাগজ পত্রিকার  নিজামুদ্দিনসহ এলাকার কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তি প্রবেশ করেন বিষয়টি তারা শুনে হতবাক হয়ে যান। 


এক পর্যায়ে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক পরিচয় দানকারী নেতা নজরুল ইসলাম ও সঙ্গীয় এনসিপি নেতা নাহিদুল ইসলাম পিতা-মৃত আবুল কাশেম, সাং দুচরি ২নং ওয়ার্ড কচ্ছপিয়া। তৌসিফ পিতা-ইসমাইল, গ্রাম চাটমারকাটা ৬নং ওয়ার্ড কচ্ছপিয়া এবং সাইফুদ্দিন পিতা-সাব্বির আহমেদ সাং হাজিরপাড়া, ৭নং ওয়ার্ড, কচ্ছপীয়া উপস্থিত ছিলেন। এরমধ্যে এনসিপি নেতা পরিচয়দানকারী নজরুল ইসলামই এ ধরনের অসৌজন্য মূলক আচরণ করেন। একটি সরকারি অফিসের অফিস রুমে ঢুকে সরকারি কর্মকর্তাকে হুমকি প্রদান করা উচিত কিনা জনগণের কাছে প্রশ্ন ইন্সপেক্টর শাহজাহান মনিরের। জনগণের অভিপ্রায় এনসিপি নেতা নজরুলের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত ছিল পুলিশের।


ঘটনার সময় উপস্থিত সাক্ষীদের নাম ঠিকানা উল্লেখ করে এবং হুমকিদাতাদের নাম ঠিকানা উল্লেখ করে গর্জনীয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ একটি সাধারণ ডায়েরি করে রেখেছেন বলে জানা যায়। 


নেতারা তাদের এই অপকর্ম থেকে বাঁচার জন্য গর্জনীয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এর বিরুদ্ধে ফেসবুক অনলাইন ও বিভিন্ন ধরনের অনলাইন পত্রিকায় এখন পপাগন্ডা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ শাহজাহান মনিরের । যার সঠিক তদন্ত হলে এনসিপির নেতাদের  প্রকৃত তথ্য বেরিয়ে আসবে। 


স্থানীয়দের অভিযোগ, রাষ্ট্রের উচিত তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এ বিষয়টি নিয়ে পুলিশ বাহিনীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে।


এই বিষয়ে, এনসিপি নেতা নজরুলের মোবাইল নম্বর না থাকায় তাহার বক্তব্য নেওয়া অসম্ভব হয়নি। 


এই বিষয়ে রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আরিফ হোসেন এর বক্তব্য নেওয়া হলে, তিনি বলেন-বর্তমানে পুলিশ  অনিয়ম করার কোন সুযোগ নেই, যদি কোন ধরনের অনিয়মের সাথে সম্পৃক্ত থাকে কর্তৃপক্ষ অবশ্যই তাহার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। 

এই বিষয়ে কক্সবাজার পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুদ্দিন শাহিন এর বক্তব্য নেওয়া হলে তিনি বলেন, শাহজাহান মনিরের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগটি তদন্তের জন্য, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) অলক বিশ্বাসের তদন্ত প্রক্রিয়া রয়েছে, বাকি বিষয় গুলো তদন্তের পরে বলা যাবে।

সর্বশেষ