সিলেট নগরের প্রাচীনতম ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘সুলভ বস্ত্রালয়’–এর সম্পত্তি জবরদখল জালজালিয়াতি এবং পেশীশক্তি ব্যবহারের অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ করেছেন সজিবুর রহমান রুবেল ও তার ভাই শহীদুর রহমান জুয়েল।
তারা এই অভিযোগকে “সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত” বলে দাবি করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার ১৬ অক্টোবর সিলেট প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্প্রতি তাদের খালাতো ভাই মোশতাক, যিনি গত ১৪/১০/২০২৫ তারিখে অভিযোগ করেন যে, তার পিতা মৃত আব্দুর রউফের প্রতিষ্ঠিত জিন্দাবাজার অবস্থিত ‘সুলভ বস্ত্রালয়’-এর সম্পদ আত্মসাতের পেছনে একটি চক্র জড়িত। তিনি রুবেল ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে সম্পত্তি দখল ও হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন।
সজিবুর রহমান রুবেল বলেন, আমার বিরুদ্ধে উত্থাপিত সকল অভিযোগ ভিত্তিহীন। মোশতাক আহমেদ বক্তব্যে বলেছেন যে আমরা তার পৈতৃক সম্পদ দখল করেছি। অথচ সম্পত্তির উল্লেখিত বাড়িতে তাদের মা এর অধীনেই রয়েছে। উনারা উনাদের মাকে কোনো ধরনের খুজ খবর করেন না,সব কিছু থেকে বঞ্চিত রেখেছেন। উনারা উনার মায়ের কাছে যাচ্ছেন না কেনো।
মরহুম আব্দুর রঊফের রেখে যাওয়া যে টাকার কথা তিনি উল্লেখ করেছেন তা ব্যাংকের কাছে আছে। সেই টাকার জন্য উনারা তিনভাই মোশতাক আহমদ,বাবু মেহবুব , সাবু মেহবুব ও উন্নার মা নাসিমা বেগম আদালতে উনাদের নিজ নিজ টাকার অংশ পাওয়ার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন এটা চলমান রয়েছে।
তিনি যদি প্রকৃত মালিক হন, তাহলে মায়ের কাছ থেকে কেন সম্পদ বুঝে নেন না কেন...?”
রুবেল আরও বলেন, জ্বাল পাওয়ার ওফ এটর্নি ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন ট্রেড লাইসেন্স জালিয়াতি মামলা কোতয়ালী জি,আর ৩৭৪/২০১৭ অভিযোগ প্রমানিত হয়ে উনাকে ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এই মামলায় উন্নাকে আটক ও করা হয়েছে বর্তমানে তিনি জামিনে আছেন।
আর উন্নার প্রথম স্ত্রীর সাথে উনার তালাক হয়েছে প্রায় ২০ বছর আগেই। মারুফ এবং রেজোয়ান উন্নার ১ম স্ত্রীর সন্তান। শুকরিয়া মার্কেট ব্যবসায়ী কমিটি যাচাই বাছাই করে রেজোয়ান ও মারুফের দোকান উনাদের হস্তান্তর করেছেন। সিলেটের সুনামধন্য শুকরিয়া মার্কেটের কমিটির উপর তিনি যে অপবাদ দিয়েছেন আমরা তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
মোশতাক আহমদ বর্তমানে দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে সংসার করছেন।
আমরা ২০১০ সালে আমাদের ব্যাংক মর্টগেজ দিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের পক্ষে ঋণ গ্রহণের ব্যবস্থা করি। ন্যাশনাল ব্যাংকের সেই নথিপত্র চাইলে যাচাই করা সম্ভব। বরং আমাদেরই বেশ কিছু অর্থ পাওনা থেকে গেছে, যা এখনও ফেরত দেওয়া হয়নি।”
অভিযোগে উল্লেখিত লিচুবাগানে অবস্থিত ‘সুলভ সার্ভিস সেন্টার’ নিয়ে রুবেল বলেন, “এই সার্ভিস সেন্টার সম্পূর্ণ আমার নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত এবং পরিচালিত। এ বিষয়ে আমি প্রয়োজনীয় সকল প্রমাণ দাখিল করতে প্রস্তুত।
মোশতাকের অভিযোগ, দেশে এলে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়। এ বিষয়ে রুবেল বলেন, “তিনি নিজেই আমাদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেছেন সরকারি দপ্তরে দপ্তরে অভিযোগ দেন সেটি সটিক তদন্তের মাধ্যমে মিথ্যা প্রমাণ হয়।
অথচ আমরা তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা করিনি। এটা স্পষ্ট যে, তিনি ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা থেকে এসব অভিযোগ করছেন।”
বর্তমানে সুলভ বস্ত্রালয় পরিচালিত হচ্ছে মোস্তাক আহমেদ, বাবু মেহবুব ও সাবু মাহমুদ তারা তিন ভাইয়ের তত্ত্বাবধানে। গত ৯ বছর ধরে তারাই প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করছেন।
রুবেল বলেন, “আমরা কোনো সম্পদ দখল করিনি। বরং আমরা পারিবারিকভাবে সহায়তা করেছি। এসব মিথ্যা অভিযোগের মাধ্যমে আমাদের সম্মান ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
মতামত দিন