ময়মনসিংহ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের পদায়নের অভিযোগ উঠেছে!

ময়মনসিংহ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের পদায়নের অভিযোগ উঠেছে!

মতিউলই ইসলাম

 (স্টাফ রিপোর্টার) 

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিউট ময়মনসিংহ দুই কর্মকর্তার বদলি বাণিজ্যের অভিযোগ উঠে। 

অভিযোগ আছে গত:২৩/১০/১১বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ কমিটিতে কাজী বেলাল উদ্দিনকে ছাত্রলীগের কমিটিতে সহ-সম্পাদক এর দায়িত্বে দেখা গিয়েছে। কি এমন অদৃশ্য শক্তির কারণে? 

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা কাজী বেলাল উদ্দিন ঊর্ধ্বতন  বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কে,নদী কেন্দ্র চাঁদপুর থেকে নদী কেন্দ্র খেপুপাড়া,পটুয়াখালী এবং ডঃ মোহাম্মদ আশরাফুল হক ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কে নদী উপকেন্দ্র,খেপুপাড়া,পটুয়াখালী থেকে সামুদ্রিক মৎস্য প্রযুক্তি কেন্দ্র কক্সবাজার বদলি বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।

ডঃ মোঃ আশরাফুল হকের এর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। তিনি তার শ্বশুর কৃষিবিদ ডঃ এম গোলাম হোসেন,মহাপরিচালক (অব)বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং ড.মোহাম্মদ ইউনুসের  বিচার প্রক্রিয়া স্তগিত। স্থগিতের দাবির প্রতিবাদ জানিয়ে দেশের ২০১ জন বিশিষ্ট কৃষিবিদ এর নাম পদবীর মধ্যে তিনি একজন তিনি আওয়ামী লীগের ক্ষমতা ব্যবহার করে ডঃ মোঃ আশরাফুল হককে চাকরিতে নিযুক্ত করেন। হঠাৎ গত ১৩/১১/২৫ মো: আজিজুল হক সহকারি পরিচালক স্বাক্ষরিত জনস্বার্থে বদলি / এবং পদায়ন নিয়ে সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে।সচেতন মহলের অভিযোগ যারা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল, তাদেরকে কিভাবে পদায়ন করা হলো সচেতন মহলের প্রশ্ন? 

এই বিষয়ে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড:অনুরাধা ভদ্র  এর বক্তব্য নেওয়ার জন্য ফোন করা হলে, তিনি ফোন রিসিভ না করাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এই বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং উপদেষ্টার একান্ত সচিব জয়েন্ট সেক্রেটারি মো: সবুর এর বক্তব্য নেওয়া হলে তিনি বলেন,একটু পরে  আপনাকে জানাচ্ছি বলে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি।

এই বিষয়ে উক্ত আদেশের স্বাক্ষরিত বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক (চ.দা.)

মোহাম্মদ আজিজুল হক এর বক্তব্য নেওয়ার  জন্য ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। 

এই বিষয়ে ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ আশরাফুল হক এর বক্তব্য নেওয়া জন্য ফোন করা হলে  তিনি ফোন রিসিভ করেননি। 

এই বিষয়ে ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.কাজী বেলাল উদ্দিন  এর বক্তব্য নেওয়া হলে, তিনি বলেন,কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কমিটিতে আমার কোন ধরনের নাম নেই এবং সেটি আমি নয়।সচেতন মহলের প্রশ্ন? ছাত্রলীগের পদ পদবী ব্যবহার করে চাকরিতে নিযুক্ত হন  কাজী বেলাল উদ্দিন। এবং সরকার পরিবর্তনের পর এসব অস্বীকার করছেন তিনি। এসব অপরাধীদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ রয়েছে, সেগুলো সঠিকভাবে তদন্ত করে এসব দুর্নীতিবাজ অফিসারদের বিরুদ্ধে  আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন স্বাধীন দেশের সচেতন মহল।