পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় নানা আয়োজন ও আনুষ্ঠানিকতায় খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব ‘বড়দিন’ পালিত হয়েছে। বড়দিন উপলক্ষ্যে উপজেলার চার্চগুলোতে উৎসবের রঙে সাজানো হয়। এদিকে বড়দিন উপলক্ষ্যে দু’একটি বা গুটি কয়েক বাড়িতেও দেওয়া হয়েছে সমান বরাদ্দ অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বড়দিন উপলক্ষে গির্জায় সকাল থেকেই উৎসব মুখর পরিবেশে বিভিন্ন আয়োজনে অংশগ্রহন করেন অতিথি বৃন্দ ও দর্শনার্থীরা।
এ সময় চার্চের প্রধান চাষ্টার ফিলিপ সমাদ্দার উপস্থিত খৃষ্টান ধর্মালম্বীদের নিকট যীশু খৃষ্টের শান্তির বাণী প্রচার করতে থাকেন। পরে সম্মিলিত ভাবে সকলে সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
সরেজমিনে উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের নিজবাড়ী ধানশুকা ক্যাথলিক চার্চ ও বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের বালাবাড়ি কালদাসপাড় ক্যাথলিক চার্চে গিয়ে দেখা যায় তারা তাদের যীশু খৃষ্টের শান্তির বাণী প্রচার করতে থাকেন। পরে সম্মিলিত ভাবে সকলে সঙ্গীত পরিবেশন করেন। অপরদিকে পাশাপাশি গির্জা যেমন দেবনগড় ইউনিয়নের ধানশুকা বিপিসি চার্চ ও মান্দুলপাড়া ক্যাথলিক চার্চ সাজানো থাকলেও দেখা মেলেনি কোনো লোকের সমাগম।
জানা যায়, উপজেলায় আটটি গির্জা রয়েছে। প্রত্যেক গীর্জায় ৫০০ কেজি করে ত্রাণ কার্য চাল উপ-বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
গির্জাগুলো হলেন তিননইহাট ইউনিয়নে সংকর পাড়া ক্যাথলিক চার্চ, তেঁতুলিয়া ইউনিয়নে দর্জিপাড়া ক্যাথলিক চার্চ, শালবাহান ইউনিয়নে লোহাকাচি চা বাগান ক্যাথলিক চার্চ, বুড়াবুড়ি ইউনিয়নে বালাবাড়ি কালদাসপাড়া ক্যাথলিক চার্চ ও মান্দুলপাড়া ক্যাথলিক চার্চ, দেবনগড় ইউনিয়নে নিজবাড়ী (ধানশুকা) ক্যাথলিক চার্চ, ময়নাকুড়ি ক্যাথলিক চার্চ এবং ধানশুকা বিপিসি চার্চ।
কয়েকটি গির্জায় সরেজমিনে গেলে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তিরা জানায়, উপজেলায় যে গির্জার আওতায় মাত্র দু’একটি ঘর বা পরিবার রয়েছে সেগুলোতেও ৫০০ কেজি চাল পেয়েছেন। আবার যারা ৫ থেকে ৮টি পরিবার বা ঘর রয়েছে তারাও ৫০০ কেজি চাল পেয়েছে। এদিকে যে গির্জায় ২৫ থেকে ৩০টি পরিবার বা ঘর রয়েছে তাদেরকেও ওই ৫০০ কেজি চাল দেওয়া হয়েছে। এই বরাদ্দের ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে বলে অনেকেই জানিয়েছেন।
বালাবাড়ি কালদাসপাড় ক্যাথলিক চার্চের সভাপতি দুলাল দাস বলেন, অন্যান্য গির্জার তুলনায় তাদের গির্জার আওতায় ২৫ থেকে ৩০টি বাড়ি রয়েছে। সরকারিভাবে যে বরাদ্দ পায় এ থেকে তেমন উৎসবের আনন্দ মিটেনা। তিনি বলেন, যদি সরকার পরিবার বা ঘর হিসেব করে গির্জার আওতায় বরাদ্দ বিবেচনা করেন এতে তাদের অনেকটা সুবিধা হবে।
মতামত দিন