• ২০২৪ মে ০৩, শুক্রবার, ১৪৩১ বৈশাখ ১৯
  • সর্বশেষ আপডেট : ০৭:০৫ অপরাহ্ন
English
পরিচালনাপর্ষদ
আমাদের সাথে থাকুন আপনি ও ... www.timebanglanews.com

বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়নে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার নেপথ্য কারিগর হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন সজীব ওয়াজেদ জয় ও রেদোয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি

  • প্রকাশিত ০৪:০৫ পূর্বাহ্ন শুক্রবার, মে ০৩, ২০২৪
বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়নে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার নেপথ্য কারিগর হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন সজীব ওয়াজেদ জয় ও  রেদোয়ান  মুজিব সিদ্দিক ববি
সংগৃহীত ছবি
নিজস্ব প্রতিবেদক

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আজকে যে বাংলাদেশটাকে ডিজিটাল করতে পেরেছি, প্রযুক্তি শিক্ষাটাকে পপুলার করতে পেরেছি এবং আমাদের যুব-তরুণ সমাজ নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে। সজীব ওয়াজেদ জয় আর আমার বোনের ছেলে রেদোয়ান সিদ্দিক ববি সেইভাবে উদ্যোগ নিয়ে কাজ করেছে। যার শুভফলটা আজকে বাংলাদেশ ভোগ করেছে।’ 

মঙ্গলবার (২৭জুলাই) সকালে ‘জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস’ উদযাপন এবং ‘জনপ্রশাসন পদক ২০২০ ও ২০২১’ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন প্রান্তে যুক্ত ছিলেন।

ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন প্রান্তে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে পদক, সম্মাননা পত্র ও ক্রেস্ট তুলে দেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। এছাড়া বক্তব্য রাখেন মন্ত্রীপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। জনপ্রশাসন পদক প্রদান অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে এম আলী আজম। 

১৯৭১ সালের এই দিনে একমাত্র পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিনের কথা স্মরণ করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। সন্তান সম্ভাবা অবস্থায় পিতার সেই কথার স্মৃতি চারণ করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। জাতির পিতা মুজিব তার কন্যার উদ্দেশে বলেছিলেন, তোর ছেলে হবে এবং সেই ছেলে স্বাধীন বাংলাদেশে জন্ম নেবে তার নাম জয় রাখবি।

সেকথা স্মরণ করে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে মা-বোনসহ ভাইদের সঙ্গে ধানমন্ডির একটি বাসায় বন্দী জীবনের বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করে জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সন্তান প্রসবের সময় পাকিস্তানি মিলিটারি আমাকে হাসপাতালে যেতে দিয়েছিল। কিন্তু আমার মাকে যেতে দেয়নি। হাসপাতালে তখন ডা. নুরুল ইসলাম সাহেব ছিলেন দায়িত্বে। ডা. সুফিয়া খাতুন, ডা. ওদুদ সাহেব, শায়লা আপা ছিলেন, আমাদের মুহিত সাহেবের বোন (প্রফেসর ডা. শায়লা)।’ 

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জয়ের জন্মটা মেডিকেল কলেজেই হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে আমাদের সবসময় একটা যোগাযোগ ছিল। হাসপাতালে থাকতে সবসময় চেষ্টা করতাম তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে এবং রাখতামও। আমি যখন বন্দী সেই বন্দী অবস্থায় জয়ের জন্ম এবং তার নাম জয়’ই আমরা রেখেছিলাম। বাংলোতে ফেরার পর পাকিস্তানি একজন কর্নেল আসে আমাদের বাংলোতে। আমরা ঘরের ভেতর, সে ঘরের জানালার বাইরে দাঁড়ানো। আমাকে জিজ্ঞেস করল, নাম কী? আমি বললাম জয়। বলে জয় মানে? জয় মানে ভিক্টরি, জয় মানে জয়। তো খুব ক্ষেপে যায় এবং ছোট শিশুটাকেও গালি দেয়।’

‘এরকম একটা পরিবেশেই কিন্তু জয়ের জন্ম। আমরা ফ্লোরে থাকতাম। কোনো প্রাইভেসি ছিল না। একতলা একটা বাড়ি। খাওয়া-দাওয়ার ঠিক ছিল না। শুধু আল্লাহর কাছে দোয়া চাইতাম, আমার বাচ্চাটা যেন একটা সুস্থ বাচ্চা হয়। আমার মা সবসময় সেই দোয়াই করতেন’-- যোগ করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। 

তিনি বলেন, আজকে সেই জয়ের জন্মদিন। ৫০ বছর আজ তার বয়স। এই করোনার কারণে আমরা সবাই এক হতে পারলাম না। এইটা আরেকটা দুঃখ। আপনারা দিনটি স্মরণ করছেন সেজন্য ধন্যবাদ জানাই।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আজকের যে ডিজিটাল বাংলাদেশ এটা কিন্তু জয়েরই ধারণা, জয়েরই চিন্তা। যখন ১৯৮১ সালে বাংলাদেশে ফিরে এসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করি, তখন বারবার আমাকে গ্রেফতার হতে হয়েছে। বন্দী হতে হয়েছে কখনো। আমাকে গৃহবন্দীও করে রাখা হয়েছে। ওই গৃহবন্দী থাকা অবস্থায় জয়কে আমার আব্বার বন্ধু আজিজ সাত্তার কাকা নৈনিতাল নিয়ে জয়-পুতুলকে ভর্তি করে দেন। সেই স্কুল থেকেই তারা কম্পিউটার শিক্ষা নেয়। যখন ছুটিতে আসত কম্পিউটার নিয়ে আসত।

জয়ের কাছে আমি কম্পিউটার শিখেছি। যখন আমরা ১৯৯১ সালে পার্টির জন্য কম্পিউটার কিনি, তখন অনেক দাম ছিল। সেই যুগে সাড়ে তিন লাখ টাকা লেগেছিল একটা কম্পিউটার আর প্রিন্টার কিনতে। 

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি এবং ধাপে ধাপে এই পর্যন্ত যতগুলি কাজ করেছি সবগুলো কিন্তু তার পরামর্শ মতে। কারণ সে কম্পিউটার সায়েন্সে বাঙ্গেলোর ইউনিভার্সিটি থেকে গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি নেয়। এর পরবর্তীতে ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাস থেকে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি নেয়। এরপর হাভার্ড থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি করে ২০০৭ সালে। আমিই তাকে জোর করে ওখানে ভর্তি করাই। ভর্তির পরে সাহায্য করতে পারিনি। কারণ আমি তখন বন্দী হয়ে যাই। সে সময় সে কনটিনিউ করে এবং মাস্টার্স ডিগ্রিটা করে।

“DigitalBangladesh #Joy #Bobby”#SajeebWazed #Bangladesh #SheikhHasina

সর্বশেষ