• ২০২৪ নভেম্বর ২৫, সোমবার, ১৪৩১ অগ্রহায়ণ ১১
  • সর্বশেষ আপডেট : ০২:১১ অপরাহ্ন
English
পরিচালনাপর্ষদ
আমাদের সাথে থাকুন আপনি ও ... www.timebanglanews.com

করোনা মোকাবিলায় যুক্ত হচ্ছে আরও ২৫০০ বেড : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

  • প্রকাশিত ০২:১১ অপরাহ্ন সোমবার, নভেম্বর ২৫, ২০২৪
করোনা মোকাবিলায় যুক্ত হচ্ছে আরও ২৫০০ বেড : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ফাইল ছবি
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

 প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকারিভাবে আরও আড়াই হাজার বেড (শয্যা) যুক্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, দেশে গত ২০ দিনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। এ অবস্থায় রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে শয্যা সংকট দেখা দিয়েছে। সরকারি-বেসরকারি কোনো হাসপাতালেই আইসিইউ পাওয়া যাচ্ছে না। এ অবস্থায় শিগগিরই সরকারিভাবে আড়াই হাজার বেড বাড়ানো হবে।

বুধবার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমসিএ) আয়োজিত কোভিড-১৯ দ্বিতীয় ঢেউ, ক্রমাগত অবনতি, সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যেই মহাখালী ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) হাসপাতালে ২৫০ বেড এসডিইউ ও ৫০ বেড আইসিইউসহ ১২০০ বেডের হাসপাতাল রেডি হয়ে যাবে।

এছাড়াও জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল (এনআইসিভিডি), জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর), শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে ১০০ করে বেড বাড়াতে নির্দেশ দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, করোনা মোকাবিলায় শুরু থেকেই বেসরকারি হাসপাতালগুলো আমাদের সঙ্গে ছিল, আমরা আশা করি করোনার এই ঊর্ধ্বভাব বিবেচনায় আরও ১৫০০ বেড বাড়ানোর অনুরোধ করছি। যদি আপনারা এগুলো বাড়াতে পারেন, তাহলে আমরা সরকারি-বেসরকারি মিলে মোট ৪ হাজার বেড নতুন করে চালু করতে পারবো।

জাহিদ মালেক বলেন, ঢাকার হাসপাতালগুলোতে করোনা আক্রান্ত রোগী রাখার জায়গা নাই। আইসিউগুলোতেও জায়গা নেই। তবুও আমরা চেষ্টা করছি সবাইকে সেবা দিতে। কোনো রোগী যেন হাসপাতাল থেকে ফিরে না যান সেভাবেই আমরা

কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু প্রতিদিনই যদি এভাবে সংক্রমণ বাড়তে থাকে, তাহলে তো পুরো ঢাকাই করোনা রোগীময় হয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, গত মার্চ মাসে সংক্রমণের হার ২ শতাংশ ছিল, মৃত্যু হার ছিল ৫ শতাংশ, আর সুস্থতার হার ছিল ৯২ শতাংশ। আমরা প্রায় করোনাকে মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছিলাম। সে সময় আমরা খুব বেশি আনন্দিত, খুশি হয়ে গিয়েছিলাম। মাস্ক পরা ছেড়ে দিয়েছিলাম, পর্যটন-বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ভিড় জমিয়েছিলাম। যে কারণে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এসে সংক্রমণের হার ১৮/১৯ শতাংশে বাড়িয়ে দিয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, হাসপাতালগুলোর আইসিইউ রোগীতে পূর্ণ হয়ে গেছে। বেডগুলোও খালি নেই। বুঝতেই পারছেন, করোনা কীভাবে বাড়ছে। আমরা আইসিইউ যতোই বাড়াই, যদি আপনারা স্বাস্থ্যবিধি না মানেন, সতর্ক না হোন, তাহলো কোনো লাভ হবে না। আর আমরা তো চাইলেই আইসিইউর সংখ্যা বাড়াতে পারবো না।

কারণ দক্ষ জনবল না থাকলে তো আইসিইউ বাড়িয়ে লাভ নেই। দক্ষ জনবল তো অল্প সময়েই তৈরি হয়ে যায় না। আমরা চেষ্টা করছি। আপনারাও সতর্ক হোন।

সংগঠনের সভাপতি এম এ মুবিনখানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের সচিব আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম প্রমুখ।

সর্বশেষ