ঝালকাঠির রাজাপুরে ১৯৭১ এর কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী হামেদ জমাদ্দারের নাতনী কর্তৃক একটি অসহায় পরিবারের বসতঘর ভাংচুর করে ঘরের সমস্ত মালামাল লুট ও থানায় লুটের মামলার পরিবর্তে চুরির মামলা রেকর্ড করার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার ৭(নভেম্বর)সকাল ১০টায় উপজেলাধীন নৈকাঠি বাজার এলাকায় স্থানীয় জনসাধারণের আয়োজনে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিভিন্ন শ্রেনীপেশার প্রায় সহস্রাধিক মানুষ অংশ নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় করা এই নির্মমতার প্রতিবাদ জানায়।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও রাজাপুর সরকারি কলেজের সাবেক জিএস মো. নাসির উদ্দিন জুয়েল তালুকদার, উপজেলা যুব মহিলালীগের সভাপতি নাজনিন পাখি, সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) শাহনাজ লিপি, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মো. করিম সিকদার, সমাজ সেবক মো. আনোয়ার হোসেন মিলন, মো. তহিদুজ্জামান শাহিন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষ থেকে মো. মানিক সিকদার, রুমিছা আক্তার প্রমূখ।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, যুদ্ধাপরাধীর বংশধর চন্দ্রিমা রিমু এবং বিতর্কিত নারী ইউপি সদস্য ইয়াসমিন মুন্নি ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় যে ঘটনা ঘটিয়েছে তা ১৯৭১ সালের ঘটনাকে হার মানিয়েছে। যারা ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধীদের সহায়তায় পাক বাহিনীর করা বাংলাদেশের মানুষের সাথে নির্মমতার কথা শুধু শুনেছে কিন্তু দেখেনি তারা ৪ নভেম্বর শহিদুলের বাড়ির ঘটনা দেখলেই বুজতে পারবে কেমন ছিলো ১৯৭১ সাল। আমরা রাজাপুরে এই ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি চাইনা। অপরাধী যেই হোক, যেই দলেরই হোক কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা।
বক্তারা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এই ঘটনার সঠিক তদন্ত করে চুরির মামলা বাদ দিয়ে পুনরায় লুটের মামলা রেকর্ড করে অপরাধিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনারও দাবি জানায়। নইলে তারা এর চেয়েও আরো কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুশিয়ারি দেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধী হামেদ জমাদ্দারের নাতনী চন্দ্রিমা রিমু রাজাপুর সদর ইউনিয়নের ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের নারী ইউপি সদস্য নাজমা ইয়াসমি মুন্নির সহায়তায় দিনের বেলা ভাড়া করা লোকজন নিয়ে প্রকাশ্যে দেশীও অস্ত্র নিয়ে সবাইকে বেধে রেখে শহিদুলের বসতঘর ভাংচুর করে মালামাল লুট করে পিকআপ ভ্যানে তুলে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে পুলিশ অপরাধিদের পক্ষ নিয়ে লুটের মামলার পরিবর্তে একটি চুরির মামলা রেকর্ড করেছে।
মতামত দিন