• ২০২৪ এপ্রিল ৩০, মঙ্গলবার, ১৪৩১ বৈশাখ ১৭
  • সর্বশেষ আপডেট : ১১:০৪ পূর্বাহ্ন
English
পরিচালনাপর্ষদ
আমাদের সাথে থাকুন আপনি ও ... www.timebanglanews.com

আটকে পড়েছে পণ্যবাহী শত-শত ট্রাক : পচন ধরেছে কাঁচামালে

  • প্রকাশিত ০২:০৪ অপরাহ্ন মঙ্গলবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৪
আটকে পড়েছে পণ্যবাহী শত-শত ট্রাক : পচন ধরেছে কাঁচামালে
ফাইল ছবি
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

 লকডাউনে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল সীমিত করায় আটকে আছে পণ্যবাহী শতশত ট্রাক। ২/৩ দিন ধরে ঘাটে আটকে থাকায় পচন ধরেছে কাঁচামালে। দিনের বেলা এ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরী সেবা দিতে চালু রয়েছে ছোট ছোট ৪/৫টি ফেরি। দিনে পণ্যবাহী কোনো ট্রাক পার হতে পারছে না। রাত ২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত সিরিয়াল অনুযায়ী ৪ঘন্টা পণ্যবাহী ট্রাক পার করা হচ্ছে। এতে কাঁচামালবাহী ট্রাককে অগ্রাধিকার না দেওয়ায় পচে যাচ্ছে কোটি কোটি টাকার কাঁচাপণ্য। ফলে বড় ধরণের লোকসানের মুখে পড়ার আশঙ্খা ব্যবসায়ীদের। আর একই কারণে রাজধানী ঢাকায় সব ধরণের সব্জির দাম বাড়তে শুরু করেছে।

কাঁচাপণ্যবাহী ট্রাকের চালক বরকত হোসেন বলেন, ‘তরমুজ নিয়ে তিন দিন ধরে বাংলাবাজার ঘাটে আটকে আছি। তরমুজ পচতে শুরু করেছে। আমার মত অনেকেরই কাঁচামালে পচন ধরেছে। এখনও আমরা ফেরি পাচ্ছি না। আমাদের দ্রুত পার করা না হলে বড় ধরণের লোকসান হবে মালিকের। এছাড়া পন্যবাহী ট্রাকগুলো পারাপার না হতে পারলে রমজানে ঢাকায় মূল্য বৃদ্ধির আশংকা তো রয়েছে। কাঁচা মালবাহী ট্রাকগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করা না হলে মালিকদের কোটি কোটি টাকার মাল পঁচে যাবে। এতে আমাদেরও অনেক ক্ষতি হবে।

এদিকে লকডাউন হলেও ঢাকামুখী যাত্রী ছাড়াও দক্ষিনাঞ্চলের যাত্রীদের ভীড় এখনো রয়েছে। ফেরি সীমিত আকারে চলাচল করায় ইঞ্জিন চালিত নৌকা, বড় বড় ট্রলার ও স্পীডবোটে দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে পদ্মা পারাপার হচ্ছে যাত্রীরা। দ্বিগুণ ভাড়া দিলেও তাদের দুর্ভোগের সীমা নেই। পদ্মা নদী পার করে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে নির্দিষ্ট ঘাট ছেড়ে অনেক দূরে নদীর চরগুলোতে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় পার হয়েও কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে যাত্রীরা গন্তব্যে পৌছাচ্ছেন।

জানা যায়, শুক্রবার সকাল থেকে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে যাত্রীদের এ ভীড় বাড়তে থাকে। উভয় ঘাটমুখী যাত্রী চাপ রয়েছে। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত যাত্রী চাপ বেশি। যাত্রীরা গাদাগাদি করে পদ্মা নদী পাড়ি দিচ্ছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে কাউকে কোন ভূমিকা নিতে দেখা যায়নি। পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে উভয় ঘাটে যাত্রীরা পড়ছে অবর্ণনীয় দূর্ভোগে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় সীমাহীন দূর্ভোগ আর কয়েকগুণ টাকা খরচ করে বাংলাবাজার থেকে ঢাকা পর্যন্ত এবং শিমুলিয়া থেকে বরিশাল, খুলনা, ভোলা, গোপালগঞ্জসহ দক্ষিনাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় পৌছাতে দেখা গেছে। অভ্যন্তরীন যোগাযোগেও খরচ করতে হচ্ছে কয়েকগুন টাকা। ইজিবাইক, মাহিন্দ্রা, ভ্যান, মটরসাইকেলে চড়েই যাত্রীরা যে যার স্থানে রওনা দিচ্ছেন।

ঢাকা থেকে আসা বরিশালগামী যাত্রী শিউলি আক্তার বলেন, ‘লকডাউনের কারণে ঢাকা থেকে গ্রামে পরিবারের কাছে চলে যাচ্ছি। দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে ঢাকা থেকে সিএনজিতে শিমুলিয়া ঘাটে এসেছি। সেখান থেকে স্পীডবোটে দেড়শ টাকার ভাড়া নিল ৩শ টাকা। তাও বাংলাবাজার ঘাট থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরের চরে নামিয়ে দিয়েছে। এখন কিভাবে বরিশাল যাবো তাই ভাবছি। হাতে টাকারও খুব বেশি নেই। ’

বাংলাবাজার পুলিশ বুথের এসআই মো: শাহীন বলেন, ‘অল্প কিছু ফেরি চলছে। তাতে এ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরী সেবা প্রদানকারী যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। তাই কিছু কাঁচামালবাহী ট্রাক আটকে রয়েছে। তবে আমরা পার করে দেয়ার চেষ্টা করছি।

বিআইডব্লিউটিসি বাংলাবাজার ঘাটের ম্যানেজার মোঃ সালাহউদ্দিন বলেন, লকডাউনের কারণে অল্প কয়েকটি ছোট ফেরি চলাচল করছে। এসকল ফেরিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরী গাড়ি পারাপার করা হচ্ছে। আর রাত ২টা থেকে ভোর ৬ টা পর্যন্ত কাঁচামালবাহী ও পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার করা হচ্ছে। নির্দেশনা মোতাবেক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাঁচামালবাহী ট্রাক পারাপার করা হবে।

সর্বশেষ