এবার পেঁয়াজের ভর মৌসুমে আমদানি বন্ধ চায় কৃষি মন্ত্রণালয়। গত মন্ত্রিসভার বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার সচিবালয়ের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানান কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক।
এর আগে তিনি সফররত সাউথ অ্যান্ড সেন্ট্রাল এশিয়ার অ্যাসিসট্যান্ট ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ (ইউএসটিআর) ক্রিস্টোফার উইলসন ও বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারের সঙ্গে বৈঠক করেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘গত ক্যাবিনেটে আলোচনা হয়েছে। সেখানে বাণিজ্যমন্ত্রী (বিষয়) তুলেছিলেন, আমরা কৃষি মন্ত্রণালয় কী করছি? বলেছি আমরা চাষীদের কাছ থেকে আশানুরূপ সাড়া পেয়েছি। পেঁয়াজ চাষের আওতা যথেষ্ট বেড়েছে। আশা করি অসুবিধা হবে না।
আমি ক্যাবিনেটেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সামনে রিকোয়েস্ট করেছি, যখন হারভেস্ট শুরু হবে তখন যেন পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করা হয়।
ওই সময়ে ভারতের পেঁয়াজ এসে যেন বাজার ভাসিয়ে দিয়ে না যায়; যাতে আমাদের চাষীরা একটা ভালো দাম পায়।’
আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে যথেষ্ট সজাগ, তারা সতর্ক আছে।’ ভর মৌসুমে পেঁয়াজ আমদামি বন্ধের দাবি জানানোর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী কী বলেছিলেন- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘তিনি বলেছেন, অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সবাই মিলে আলাপ-আলোচনা করে… খুবই সতর্ক থাকতে বলেছেন।’ কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘যদি ভালো পেঁয়াজ উঠে পড়ে, আমরা অবশ্যই চাষীদের স্বার্থটা দেখব।’
পেঁয়াজ পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘গতকাল (মঙ্গলবার) ফরিদপুরে শিলাবৃষ্টি হয়েছে, ফাল্গুন মাসে শিলাবৃষ্টি- এমনটা কি চিন্তা করা যায়? সকাল থেকে আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। পেঁয়াজের অনেক ক্ষতি হয়েছে।
পাতা নষ্ট হয়ে গেছে। আশা করি এ বছর ভালো পেঁয়াজ হবে। আমরা খুবই আশাবাদী, অনেক এরিয়াতে পেঁয়াজ করা হয়েছে। আমরা যে পেঁয়াজের জাত উদ্ভাবন করেছি সেটা মাঠপর্যায়ে চাষাবাদ হলে ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশে পেঁয়াজের সমস্যা থাকবে না- সেটা বারবারই বলছি।
নতুন জাতের উৎপাদন প্রায় দ্বিগুণ না হলেও কাছাকাছি হবে। ১০-১১ টন হতো প্রতি হেক্টরে, সেটা হবে ১৮-১৯ টন। বাজারে পেঁয়াজ নামলে সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। দাম কমে যাবে, চাষীরা দাম পাবে না।’
মতামত দিন