• ২০২৫ Jul ২১, সোমবার, ১৪৩২ শ্রাবণ ৬
  • সর্বশেষ আপডেট : ০৬:০৭ অপরাহ্ন
English
পরিচালনাপর্ষদ
আমাদের সাথে থাকুন আপনি ও ... www.timebanglanews.com

কক্সবাজার বিডিএস জরিপের নামে সার্ভেয়ারদের দুর্নীতি,কোটি টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ! পর্ব -১

  • প্রকাশিত ১০:০৭ অপরাহ্ন সোমবার, Jul ২১, ২০২৫
কক্সবাজার বিডিএস জরিপের নামে সার্ভেয়ারদের দুর্নীতি,কোটি  টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ! পর্ব -১
File
মতিউল ইসলাম (মতি)

কক্সবাজার বিডিএস জরিপের নামে সার্ভেয়ারদের দুর্নীতি,কোটি  টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ! পর্ব -১

 

মতিউল ইসলাম কক্সবাজার প্রতিনিধি : 


কক্সবাজারের বিডিএস জরিপে চরম দুর্নীতি ও অনিয়মের ফলে ভূমি মালিকরা হয়রানির  শিকার হচ্ছে।খতিয়ান সৃজনের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাথের অভিযোগ রয়েছে। আরো অভিযোগ আছে সার্ভেয়ার মাসুম হোসেন, সার্ভেয়ার বশর  চৌধুরী, সার্ভেয়ার আকাশ, সার্ভেয়ার সগীর এবং সহকারী আরমানের বিরুদ্ধে, অর্থ ছাড়া সেবা না দেওয়ার অভিযোগ আছে। 

টাকা ছাড়া খতিয়ান সৃজন করার আবেদন করলে বিভিন্ন তালবাহানা। অভিযোগ আছে

খসড়া খতিয়ান ও আপত্তি নেওয়ার নিয়ম থাকলেও প্রতি খতিয়ান ও আপত্তি দায়ের করার জন্য নিচ্ছে  ১০০০ টাকার পরচা ৩০০০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে।কিছু কিছু ক্ষেত্রে ৫/৬ হাজার টাকাও নিচ্ছে এমন অভিযোগ  ভূমি মালিকদের। এতে করে চরম ক্ষুদ্ধ কক্সবাজার সদর উপজেলার ভূক্তভোগী ভূমি মালিকরা।

সূত্রে জানা যায় - চট্টগ্রাম দিয়ারা অফিসের সেটেলমেন্ট অফিসার সুজন ত্রিপুরা নিজস্ব লোক দিয়ে ডিপি ক্যাম্প পরিচালনা করছে।

গত ২৪/০৬/২০২৫  দুর্নীতি দায়ে ডিপি ক্যাম্পের আলমগীর হোসেন ও প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু নামে দুইজন অসাধু কর্মকর্তাদের বদলি হলেও 

উদ্ধতম কর্মকর্তাদের দৃষ্টির অগোচরে রয়ে গেছে অনেক দুর্নীতিবাজ সার্ভেয়ার। তাদের বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ আছে তারা বিডিএস জরিপের সাধারণ গ্রাহকদের কাছ থেকে খতিয়ানের বিভিন্ন সমস্যা দেখিয়ে বিভিন্ন  কলাকৌশলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এমন অভিযোগ দুর্নীতিবাজ  সার্ভেয়ারদের বিরুদ্ধে। এসব সার্ভেয়ারদের অপরাধ সনাক্ত করে কক্সবাজার সদর ঝিলংজা মৌজার দায়িত্বরত যে সার্ভেয়ার রয়েছে তাদের  দ্রুত অপসারণ করা না হলে, কক্সবাজার সদরে আরো বড় ধরনের  সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন স্থানীয়রা । তাদের এই অসৎ কর্মকাণ্ডের কারণে উদ্ধতম কর্তৃপক্ষের মান সম্মান নিয়ে বিপাকে পড়বেন বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় ভুক্তভোগীরা।

অনুসন্ধান আরো জানা গেছে সেটেলমেন্ট অফিসার সুজন ত্রিপুরার নিজস্ব লোক

 দিয়ে ঘুষ বাণিজ্য সহ নানান অনিয়ম করাচ্ছে । তথ্য মতে,  ডিপি ক্যাম্পে নামে মাত্র একজন সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার আবু শাহীন আযাদ  থাকলেও মূল ডিপি ক্যাম্প পরিচালনা করছে সুজন ত্রিপুরা। জমির মালিকদের বাধ্য করা হচ্ছে টাকা দিতে।


 ডিপি ক্যাম্পের নির্দিষ্ট সময় শেষ হয়ে গেলেও কৌশলে আপত্তি গ্রহণের সময় বৃদ্ধি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এই সিন্ডিকেটরা । এখনো আপত্তি চলমান থাকলেও

 আলমগীরের নেতৃত্বে রয়েছে আরেকটি দালাল চক্র তাদের দিয়ে আপত্তি শুনানির সময় মামলার রায় পক্ষে দেওয়ার আশ্বাসে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এমন অভিযোগ ভুক্তভোগী জমির মালিকদের। 


এছাড়া ও শাহীন আযাদের বিরুদ্ধে ও মাঝে মধ্যে এই সিন্ডিকেট দ্বারা ষড়যন্ত্র হচ্ছে এমনটি জানালেন নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ডিপি ক্যাম্পের এক কর্মচারী। 


নজরুল ইসলাম নামের একজন জানান- ডিপি ক্যাম্পে প্রতিটি আপত্তি কেইসে ৩/৪ হাজার করে দিতে হচ্ছে। এই বিষয়ে সুজন ত্রিপুরা নামের একজন কে অভিযোগ দেওয়ায় লোক দেখানো অফিসে তার নিয়ন্ত্রিত সিন্ডিকেট টিকে বকাবকি করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়।


এখনো বহাল তবিয়তে ঐ সিন্ডিকেটর সৈয়দ আলী এবং

 সুজন ত্রিপুরা ডিপি ক্যাম্পের এই দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেট এর অন্যতম মাফিয়া। 


তেতৈয়া মৌজার ডিপি ক্যাম্পের সেবা নিয়ে নাখোশ স্থানীয় লোকেরাও। সেবাগ্রহীতাদের অভিযোগ এ অফিসে ঘুষ ছাড়া কোনো সেবাই মিলে না। এ অনিয়মের সাথে অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত। এছাড়াও রয়েছে দালালদের দৌরাত্ন্য। 


সেবাগ্রহীতাদের অভিযোগে জানা গেছে, জমির রেকর্ডের খসড়া পর্চা, জমি আপত্তি দায়ের  সংক্রান্ত সব সেবার ক্ষেত্রেই অতিরিক্ত টাকা গুণতে হয়। এর যোগসূত্র হচ্ছে চট্টগ্রাম সেটেলমেন্ট অফিসার সুজন ত্রিপুরা । 


জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসের ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত সিটিজেন চার্টার অনুযায়ী, ভূমি মালিকদের নিকট থেকে নির্দিষ্ট অংকের রাজস্ব কোর্ট ফি নেওয়ার কথা থাকলেও অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে। অনেকে ভয়ে আপত্তি শুনানি করার সময় ক্ষতি হবে চিন্তা করে কথা বলছে না। এই সিন্ডিকেটটি বহিরাগত দালাল দিয়ে জমির মালিকদের এই বার্তা দিচ্ছে।


এ বিষয়ে সুজন ত্রিপুরা কাছে বক্তব্য নেওয়া জন্য ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি, তাই তার বক্তব্যে নেওয়া সম্ভব হয়নি। এসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুতআইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন কক্সবাজারের সচেতন মহল।

সর্বশেষ