ইন্টারভিউ দেওয়ার অনেক অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও টেনশন হওয়াটা স্বাভাবিক, সেই সাথে চাকরি পেতে ইন্টারভিউতে নিজের ইম্প্রেশনও জমানো জরুরি
চাকরির ইন্টারভিউ মানেই বেশ কিছুটা টেনশন আর টেবিলের ওপার থেকে ভেসে আসা প্রশ্নের তোড়। ইন্টারভিউ দেওয়ার অনেক অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও টেনশন হওয়াটা স্বাভাবিক।সেই সাথে চাকরি পেতে ইন্টারভিউতে নিজের ইম্প্রেশনও জমানো জরুরি। কিভাবে দুশ্চিন্তাকে মুছে ফেলে নিজেকে ঠিকমত তৈরি করার উপায় থাকছে এই প্রতিবেদনে।
১. অনেক পরিশ্রম এবং অপেক্ষার পর অবশেষে নিজের স্বপ্নের সংস্থা থেকে ইন্টারভিউয়ের ডাক পেয়েছেন। তাই ইন্টারভিউ দিতে যাবার আগে অবশ্যই তাদের বিষয়ে বেসিক কিছু তথ্য জেনে নিবেন। প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট ঘেঁটে তাদের উদ্দেশ্য, সফলতা, যে পদের আপনি ইন্টারভিউ দিচ্ছেন সে বিষয়ে জেনে রাখাই উত্তম।
২. যে পদের জন্য অ্যাপ্লাই করেছেন, তার জব ডেসক্রিপশন অবশ্যই খুঁটিয়ে পড়ে দেখুন। তাদের চাহিদামতো যে যে কোয়ালিফিকেশন আপনার রয়েছে সেগুলিতে আপনি কতটা দক্ষ সে বিষয়ে একটি তালিকা তৈরি করুন। ফলে ইন্টারভিউ বোর্ডে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে উপস্থাপন করতে পারবেন।
৩. অবশ্যই নির্দিষ্ট সময়ের আগে ইন্তারভিউর স্থানে পৌঁছাবেন। কেননা ইন্টারভিউয়াররা সময়ানুবর্তিতাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেন।
৪. ইন্টারভিউয়ের সময় উলটো দিকে বসে থাকা ব্যক্তির কথা মনোযোগ দিয়ে শোনাও খুব জরুরি। এতে কাজের প্রতি আপনার আগ্রহ এবং যোগাযোগ দক্ষতা বিষয়ে যারা ইন্টারভিউ নিচ্ছেন তারা জানতে পারবেন।
৫. ঝকঝকে ব্যক্তিত্ব ও সুন্দর করে কথা বলতে পারার কদর সর্বত্র। ইন্টারভিউয়ারও এই গুণগুলো খুঁজছেন। তাই আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে স্পষ্ট করে ও ধীরেসুস্থে কথা বলুন। চেয়ারে বসুন সোজা হয়ে।
৬. তবে ওভার কনফিডেন্ট হয়ে গেলে ইন্টারভিউয়ার আপনার প্রতি অসন্তুষ্ট হতে পারেন। তাই কোনও তথ্য সম্পর্কে নিশ্চিত না হলে, ভুল তথ্য জোর দিয়ে বলতে যাবেন না। বরং নম্রভাবে নিজের না-জানাটাকে স্বীকার করুন।
৭. ইন্টারভিউয়ে নিজের জীবনবৃত্তান্ত নিয়ে আপনাকে সংক্ষেপে কিছু বলতে বলা হতেই পারে। তাই নিজের দক্ষতাগুলো তুলে ধরার সাথে সাথে নিজের দুর্বলতাকেও উপস্থাপন করুন। কেননা নিজের দুর্বলতা সম্পর্কে স্পষ্টভাষী হওয়া সহজ তো নয়! তাই দুর্বলতা উল্লেখ করে তা দূর করতে সেই সঙ্গে নিজের উন্নতির জন্যও যে কাজ করছেন, তা জানাতেও ভোলা যাবে না।
৮. প্রায় সব চাকরির ইন্টারভিউতেই কিছু সাধারণ প্রশ্ন থাকে। সেগুলোর জন্য তৈরি হয়েই যান। "নিজের বিষয়ে কিছু বলুন", "আপনাকে এই পদে আমরা কেন নেব", "এই চাকরিটা কেন করতে চান", "পাঁচ বছর পর নিজেকে কোন জায়গায় দেখতে চান" ইত্যাদি কিছু প্রশ্নের তালিকা বানিয়ে, উত্তরও তৈরি করে যান।
৯. ইন্টারভিউয়ের জন্য যথাযথ পোশাক পরে যান। খুব উজ্জ্বল রঙের কিছু না পরাই ভাল।
নিজের মূল্যবোধকে ফুটিয়ে তুলে চাকরি প্রার্থী হিসেবে উপযুক্ত হিসেবে নিজেকে তুলে ধরলে ইন্টারভিউয়ারদের কাছে আপনার ভাবমূর্তি প্রশংসনীয় হবে।
মতামত দিন