যুক্তরাষ্ট্রে গত জানুয়ারিতে প্রত্যাশার চেয়ে মূল্যস্ফীতি বেশি বেড়েছে। ফলে সেটা নিয়ন্ত্রণে সুদের হার বাড়িয়ে যেতে পারে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)। এতে মার্কিন মুদ্রা ডলারের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ৫ সপ্তাহের মধ্যে যা সর্বোচ্চ।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এতে বলা হয়, গত মাসে ইউএস ভোক্তা মূল্য সূচক বেড়েছে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ। সবমিলিয়ে বিগত ১২ মাসে তা ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। প্রত্যাশার চেয়ে যা বেশি। ফলে অতি আক্রমণাত্মক মুদ্রানীতি গ্রহণ করে যেতে পারে ফেড।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এই আভাসে ডলার সূচক বেড়েছে শূন্য দশমিক ২ শতাংশ। তাতে এশিয়ার মূল মুদ্রাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যাপক শক্তিশালী হয়ে উঠেছে প্রধান বৈশ্বিক মুদ্রা। জাপানের মুদ্রা ইয়েনের বিপরীতে গত ৬ সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চে উঠেছে ডলারের দর। প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছে ১৩৩ দশমিক ৩৩ ইয়েনে।
চীনের মুদ্রা ইউয়ানের বিপরীতে গত ১ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চে উঠেছে ডলারের দাম। প্রতি ডলার বিকিয়েছে ৬ দশমিক ৮৪৬৩ ইউয়ানে। মার্কিন মুদ্রার বিরুদ্ধে দুর্বল হয়েছে ব্রিটেনের মুদ্রা পাউন্ড স্টার্লিং। এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রধান কারেন্সি ইউরোরও অবমূল্যায়ন ঘটেছে। ডলারের বিপরীতে পাউন্ড ও ইউরোর মান কমেছে শূন্য দশমিক ২ শতাংশ করে।
ব্যাংক অব সিঙ্গাপুরের মুদ্রা কৌশলবিদ মোহ সিয়ং সিম বলেন, মূল্যস্ফীতি যেভাবে কমার কথা সেভাবে কমছে না। ফলে সুদের হার বৃদ্ধি আর কিছুদিন অব্যাহত রাখতে পারে ফেড। এতে ডলার ঊর্ধ্বমুখী অবস্থায় থাকবে আরো কিছু দিন।
মতামত দিন