রিপোর্টার, অলোক
২৫.০৫.২০২১
আগামীকাল বুধবার এক বিরল মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী হতে চলেছেন মহাকাশপ্রেমীরা। চন্দ্রগ্রহণের সঙ্গে সঙ্গেই রাতের আকাশে দেখা যাবে সুপার ব্লাড মুনকে।
একই দিন ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করার কথা।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, আগামীকাল বিকেল ৫টা ৯ মিনিটে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ শুরু হবে। শেষ হবে সন্ধ্যা ৭টা ৯ মিনিটে।
এবারের সুপারমুন স্বাভাবিকের চেয়ে ১৫% উজ্জল ও ৪% বড় হবে বলে জোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন।
মে মাসে অনেক ফুল ফোটে। উত্তর গোলার্ধে এখন বসন্তকাল চলছে। তাই এবারের সুপার মুনকে বলা হবে 'সুপার ফ্লাওয়ার ব্লাড মুন'।
অন্য দশটা দিনের চেয়ে চাঁদকে বেশ কিছুটা বড়ই লাগবে এই দিন। সঙ্গে কালচে লাল একটা আভা থাকবে। সাধারণত চাঁদের রং এমনটা হলে জ্যোতির্বিদরা তাকে ‘ব্লাড মুন’ বলে থাকেন। আর চাঁদ পৃথিবীর কাছে এসে পড়ার জন্য চাঁদকে বড় লাগলে তাকে বলা হয় ‘সুপার মুন’। আগামীকাল একই সঙ্গে দুইয়ের সমাহার হওয়ায় জ্যোতির্বিদ্যার ভাষায় বলা হচ্ছে ‘সুপার ব্লাড মুন’। আকাশ পরিষ্কার থাকলে ওই সন্ধ্যাতেই এই দশকের চাঁদের প্রথম পূর্ণগ্রাস গ্রহণ দেখার সুযোগ মিলবে।
‘আলাদা করে দেখলে ঘটনাগুলোর অভিনবত্ব তেমন নেই। তবে একসঙ্গে এত কিছু একই দিনে, এমনটা সত্যিই বিরল। এদিন সন্ধ্যায় পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব তিন লাখ ৮৪ হাজার ৪০০ কিলোমিটারের বদলে তিন লাখ ৫৭ হাজার ৩০৯ কিলোমিটার হবে। চাঁদ ২৭ হাজার কিলোমিটার এগিয়ে আসার ফলে অনেকটাই বড় দেখাবে। একই সঙ্গে ওই সময় চাঁদের আলোর লাল অংশের বিচ্যুতি এমন হবে, যার জন্য পৃথিবী থেকে চাঁদকে কালচে লাল রঙের দেখাবে।’
গ্রহণ কত রকম?
"সাধারণত আমরা দুই ধরনের গ্রহণের কথা জানি: চন্দ্রগ্রহণ এবং সূর্যগ্রহণ," লিখেছেন চিলের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানী হুয়ান কার্লোস বিমিন তার সাম্প্রতিক বই "ইলাসট্রেটেড অ্যাস্ট্রোনমি"-তে।
কিন্তু এরপরই তিনি লিখছেন: "তৃতীয় আরেক ধরনের গ্রহণ রয়েছে যেটি ঘটে অনেক দূরের দুটি তারকার মধ্যে।"
তিন ধরনের গ্রহণ এবং সেগুলোরও কিছু ভিন্নতা নিচে তুলে ধরা হলঃ
সূর্যগ্রহণঃ
চাঁদ যখন পৃথিবীর কক্ষপথে ঘোরে, তখন তার প্রদক্ষিণ পথে কখনও কখনও চাঁদ এসে পড়ে সূর্য এবং পৃথিবীর মাঝখানে। তখন তারা থেকে আলোর বিচ্ছুরণ বাধাগ্রস্ত হয় এবং সূর্যের গ্রহণ ঘটে।
অন্যভাবে বললে বলা যায়, চাঁদ এই সময় পৃথিবীকে তার ছায়ায় ঢেকে ফেলে।
সূর্যগ্রহণ হয় তিন ধরনের। আর এই ধরনগুলো নির্ভর করে চাঁদ সূর্যকে কতটা ঢেকে ফেলছে তার ওপর।
পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণঃ
সূর্যের পূর্ণগ্রাস গ্রহণ ঘটে যখন সূর্য, পৃথিবী এবং চাঁদ এমন অবস্থানে আসে যখন চাঁদ সূর্যের আলোকে সম্পূর্ণভাবে ঢেকে দেয়।
তখন কয়েক সেকেন্ডের জন্য (কখনও কখনও এমনকি কয়েক মিনিটের জন্যও) আকাশ এতই অন্ধকার হয়ে যায় যে মনে হয় সেটা রাতের আকাশ।
নাসার কথায়, "মহাজাগতিক একটা সমন্বয় ঘটলেই একমাত্র সূর্যের পূর্ণ গ্রহণ সম্ভব হয়": সূর্য চাঁদের তুলনায় ৪০০ গুণ চওড়া এবং চাঁদ পৃথিবী থেকে যত দূরে, সূর্য তার চেয়ে আরও ৪০০ গুণ বেশি দূরে।
"এই ভৌগলিক অবস্থানের অর্থ হল, চাঁদ, সূর্য ও পৃথিবী যখন একই লাইনে একেবারে সঠিক জায়গায় এসে পৌঁছয়, তখন সূর্য পুরোপুরি ঢেকে যায় এবং সূর্যের পূর্ণগ্রাস গ্রহণ হয়," বলছে নাসা।
সূর্যের পূর্ণগ্রাস গ্রহণের সময় সূর্যকে পুরো ঢেকে দেয় চাঁদ। তখন ওই অন্ধকার বলয়ের চারপাশে দেখা যায় শুধু সাদা আলোর ছটা।
পৃথিবী পৃষ্ঠে যে লাইন বরাবর চাঁদের ছায়া পড়ে তাকে বলা হয় "পূর্ণ গ্রাসের পথ"। আর এই ছোট পথের মধ্যেই পুরো অন্ধকার নেমে আসার চোখ ধাঁধানো প্রক্রিয়াটি দেখা যায়। যে অংশে আলোর উৎস পুরো ঢেকে যায়, ছায়ার সেই ঘন অন্ধকারাচ্ছন্ন অংশকে লাতিন ভাষায় বলে 'আমব্রা'।
এই পথের দুপাশে কয়েক হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত গ্রহণ দেখা যায় আংশিকভাবে।
পুরো অন্ধকারে ঢেকে যাবার এই পথ থেকে পৃথিবীতে আপনার অবস্থান যত দূরে হবে, তত আপনি দেখবেন সূর্যের অপেক্ষাকৃত ছোট অংশ চাঁদে ঢাকা পড়েছে।
আর গ্রহণ কতক্ষণ থাকবে "সেটা নির্ভর করে, সূর্য থেকে পৃথিবীর অবস্থান, পৃথিবী থেকে চাঁদের অবস্থান আর পৃথিবীর কোন্ অংশ অন্ধকারে ঢেকে যাচ্ছে তার ওপর," জানাচ্ছেন মি. বিমিন।
তত্ত্বগতভাবে, সূর্যের গ্রহণ সর্বোচ্চ ৭ মিনিট ৩২ সেকেন্ড পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে," বলেছেন চিলের এই জ্যোতির্বিজ্ঞানী।
আমরা অনেক সময় ভাবি সূর্যগ্রহণ বেশ বিরল একটা প্রক্রিয়া। তা কিন্তু নয়। প্রতি প্রায় ১৮ মাস অন্তর সূর্যগ্রহণ হয়।
যেটা আসলে খুবই বিরল সেটা হল একই স্থান থেকে সূর্যের পূর্ণগ্রাস গ্রহণ দেখতে পাওয়া। ঠিক একই জায়গা থেকে সূর্যের পূর্ণ গ্রহণ দেখা যায় গড় হিসাবে প্রতি ৩৭৫ বছরে একবার।
এ বছরই ৪ঠা ডিসেম্বর সূর্যের পূর্ণগ্রাস গ্রহণ হবে। তবে সেটা পুরোপুরি উপভোগ করতে চাইলে আপনাকে যেতে হবে দক্ষিণ মেরুতে।
বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণঃ
চাঁদ যখন পৃথিবী থেকে দূরে থাকে এবং তাকে "ছোট" দেখায়, তখন ছোট চাঁদ বড় সূর্যকে সম্পূর্ণ ঢাকতে পারে না।
ফলে সূর্যের ঢাকা না পড়া বহিঃসীমাকে একটা বলয় বা আংটির মত দেখা যায়- মাঝখানে অন্ধকার আর চারপাশে আলোর বলয়। একেই বলে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ।
সূর্যের পূর্ণগ্রাস গ্রহণের মতই বলয়গ্রাসের সময়ও একটা "ছায়া ফেলা পথ" তৈরি হয়। এই পথের মধ্যে পৃথিবীর যেসব অঞ্চল সেখান থেকে বলয়গ্রাস গ্রহণ দেখা যায়।
একইভাবে পথের দুপাশ থাকে আরও বেশি আলোকিত।
এবছর ১০ই জুন বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে একেবারে উত্তর গোলার্ধ থেকে: ক্যানাডার কিছু অংশ, গ্রিনল্যান্ড এবং রাশিয়া এই বলয়গ্রাস পুরোপুরি দেখতে পাবে। আর ইউরোপের বেশিরভাগ জায়গা, মধ্য এশিয়া ও চীন থেকে এই গ্রহণ আংশিকভাবে দেখা যাবে।
নাসা বলছে, বলয়গ্রাস সাধারণত সবচেয়ে বেশি সময় স্থায়ী হয়। আংটির মত আলোর বলয় দশ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে দেখা যেতে পারে। তবে সাধারণত পাঁচ থেকে ছয় মিনিটের বেশি বলয়গ্রাস স্থায়ী হয় না।
মিশ্র সূর্যগ্রহণঃ
জ্যোতির্বিজ্ঞানী হুয়ান কার্লোস বিমিন ব্যাখ্যা করেছেন যে, মিশ্র গ্রহণ এমন একটা প্রক্রিয়া যেটা ঘটে "যখন চাঁদ এমন একটা দূরত্বে আসে যেখান থেকে সে সূর্যকে সম্পূর্ণ ঢেকে ফেলতে পারে। কিন্তু প্রদক্ষিণ পথে ক্রমশ চাঁদ পৃথিবী থেকে সামান্য সরে যায় এবং সূর্যকে পুরো ঢাকতে পারে না, ফলে পূর্ণগ্রাস গ্রহণ দিয়ে শুরু হলেও সেটা বলয়গ্রাস গ্রহণে রূপ নেয়।"
"আবার অনেক সময় সেটা শুরু হয় বলয়গ্রাস গ্রহণ দিয়ে, যারপর চাঁদ আরেকটু কাছে সরে গেলে পূর্ণগ্রাস হয়ে যায়," বলছেন মি. বিমিন।
মিশ্র গ্রহণ বা হাইব্রিড এক্লিপ্স খুবই বিরল বলে জানাচ্ছে জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়ক সংস্থা আইএসি। তারা বলছে সব সূর্যগ্রহণের মাত্র ৪% হয় মিশ্র ধরনের।
নাসার তথ্যউপাত্ত থেকে জানা যাচ্ছে এধরনের মিশ্র গ্রহণ হয়েছিল ২০১৩ সালে এবং এর পরেরটা হবে ২০শে এপ্রিল ২০২৩ সালে, যেটা দেখা যাবে ইন্দোনেশিয়া, অস্ট্রেলিয়া আর পাপুয়া নিউ গিনি থেকে।
চন্দ্রগ্রহণঃ
চন্দ্রগ্রহণ হয় যখন চাঁদ আর সূর্যের মাঝখানে থাকে পৃথিবীর অবস্থান। পৃথিবী তখন আলোর উৎস বন্ধ করে দেয়।
চন্দ্রগ্রহণের সময় আমরা দেখি চাঁদের পিঠে পৃথিবীর ছায়া।
আইএসির একটি প্রশিক্ষণ পুস্তিকায় বলা হয়েছে, "সূর্যগ্রহণ কেমন দেখা যাবে সেটা নির্ভর করছে যে দেখছে তার ভৌগলিক অবস্থানের ওপর। কিন্তু চন্দ্রগ্রহণের ক্ষেত্রে ঘটে উল্টোটা: পৃথিবীর যে কোন জায়গা থেকে এই গ্রহণ দেখা যাবে যদি গ্রহণের সময় চাঁদ দিগন্তের উপরে উঠে আসে।"
এতে আরও বলা আছে, "সূর্যগ্রহণে যেমন গ্রহণের বিভিন্ন পর্যায় নির্ভর করে, যে দেখছে তার ভৌগলিক অবস্থান অনুযায়ী, চন্দ্রগ্রহণে কিন্তু আপনি কোথায় আছেন সেটা বিবেচ্য হয় না- সব জায়গা থেকে গ্রহণের পর্যায়গুলো একইভাবে দেখা যায়।"
চন্দ্রগ্রহণও আছে তিন রকম।
পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণঃ
নাসা ব্যাখ্যা করছে, পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদ এবং সূর্য পৃথিবীর দুই পাশে ঠিক এক লাইনে অবস্থান করে।
"যদিও পৃথিবীর ছায়া চাঁদকে ঢেকে ফেলে- নাসা বলছে- চাঁদের ওপর সূর্যরশ্মির কিছুটা গিয়ে পড়ে।"
চাঁদে পৌঁছনর জন্য ওই সূর্যরশ্মিকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ভেতর দিয়ে যেতে হয়। এই যাবার পথে সূর্যের নীল রশ্মির বেশিটাই বায়ুমণ্ডলে শোষিত হয়ে যায়। ফলে এই প্রক্রিয়ার সময় চাঁদকে দেখায় লাল এবং এই রক্তিম চাঁদকে অনেকসময় নাম দেয়া হয় "ব্লাড মুন"।
আইএসি বলছে, "চাঁদের ব্যাসের চেয়ে আমাদের গ্রহের ব্যাস চারগুণ বড়, ফলে পৃথিবীর ছায়ার পরিধিও অনেক বেশি। তাই পুরো চন্দ্রগ্রহণের প্রক্রিয়া অনেক লম্বা সময় ধরে চলে - ১০৪ মিনিট পর্যন্ত এটা চলতে পারে।"
আর ঠিক এটাই আমরা দেখতে যাচ্ছি ২০২১এর ২৬শে মে তারিখে।
আপনি যদি দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিমাঞ্চলে, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া বা আমেরিকার পশ্চিমাঞ্চলের বাসিন্দা হন বা ২৬শে মে এসব অঞ্চলের কোথাও ঘটনাচক্রে থাকেন- আর আকাশ যদি থাকে পরিষ্কার- আপনি মে মাসের পূর্ণিমার অতিকায় চাঁদ যার নাম "সুপার ফ্লাওয়ার ফুল মুন" সেটির পূর্ণগ্রাস গ্রহণ দেখতে পাবেন প্রায় ১৪ মিনিট ধরে।
খণ্ডগ্রাস চন্দ্রগ্রহণঃ
চাঁদের খণ্ডগ্রাস গ্রহণ হয় যখন চাঁদের একটা অংশ পৃথিবীর ছায়ায় ঢেকে যায়।
পৃথিবী চাঁদকে কতটা গ্রাস করে নিচ্ছে তার ওপর নির্ভর করে হয় গাঢ় লাল, কখনও আবার মরচে রং বা কাঠকয়লার রংয়ের ছায়া পড়ে চাঁদের ছায়ায় ঢাকা অংশে।
চাঁদের বুকে পৃথিবীর ছায়া কোথাও হালকা, কোথাও গাঢ় হবার কারণে এরকম দেখায়।
নাসা বলছে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ বিরল, কিন্তু খণ্ডগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ ঘটে অন্তত বছরে দুবার।
আশা করা হচ্ছে পরবর্তী খণ্ডগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে ১৮ থেকে ১৯শে নভেম্বরে এবং তা দেখা যাবে এশিয়া ও ইউরোপের বেশ কিছু জায়গা, অস্ট্রেলিয়া এবং উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা থেকে।
চন্দ্রগ্রহণের ক্ষেত্রে পৃথিবী থাকে চাঁদ আর সূর্যের মাঝখানে - ফলে পৃথিবীর অন্ধকারাচ্ছন্ন অংশের ভেতর চাঁদ প্রবেশ করে বা পৃথিবীর ছায়া চাঁদকে পুরো বা আংশিকভাবে ঢেকে দেয়
পেনাম্ব্রা চন্দ্রগ্রহণঃ
এই চন্দ্রগ্রহণ হয় যখন পৃথিবীর হালকা ছায়াচ্ছন্ন অংশ লাতিন ভাষায় যাকে বলা হয় পেনাম্ব্রা সেই অংশের মধ্যে দিয়ে চাঁদ প্রদক্ষিণ করে। এই ছায়া গাঢ় নয়- অনেকটাই হালকা।
ফলে এই গ্রহণ সাধারণ মানুষের চোখে সেভাবে ধরা পড়ে না। এই ছায়াচ্ছন্ন অংশ যদি খুবই ছোট হয় তাহলে চাঁদের গ্রাস হচ্ছে কিনা তা বোঝা কঠিন।
এ কারণে দিনপঞ্জিতে এই গ্রহণের কোন উল্লেখ থাকে না। এই ধরনের গ্রহণের খবর রাখেন একমাত্র জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
সব গ্রহণ আমরা যেমনটা জানি শুধু সূর্য আর চাঁদের ক্ষেত্রে হয় না। অনেক দূরের তারা বা নক্ষত্রমণ্ডলিতেও গ্রহণ হয়।
"মহাজগতে ৫০% তারার অবস্থান দুই বা তার বেশি সংখ্যক তারার মাঝখানে," বলছেন মি. বিমিন।
"ছায়াপথে অসংখ্য তারা বা নক্ষত্র রয়েছে। এদের মধ্যে কিছু আছে যেখানে দুটি তারা একটা ভরকে ঘিরে প্রদক্ষিণ করছে এবং তাদের কক্ষপথের সাথে পৃথিবীর কক্ষপথের খুবই সংযোগ রয়েছে। ফলে কক্ষপথে ঘোরা সময় একটা নক্ষত্র আরেকটা নক্ষত্রের সামনে এসে অন্যটির আলোকে ঢেকে দেয়।"
"এটাই নক্ষত্রমণ্ডলির গ্রহণ প্রক্রিয়া," ব্যখ্যা করেছেন চিলের জ্যোতির্বিজ্ঞানী হুয়ান কার্লোস বিমিন।
মতামত দিন