হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া চা-বাগান এলাকায় ডাকাতির ঘটনায় দুর্ধর্ষ তিন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে লুন্ঠিত মালামাল। র্যাব-৯ ব্রাহ্মণবাড়িয়া কোম্পানি-এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর মডেল থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ডাকাতদের গ্রেপ্তার করে।
শনিবার দুপুরে র্যাব-৯ ব্রাহ্মণবাড়িয়া কোম্পানির দেয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতরা হল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর থানার চানপুর গ্রামের আবু জাহেরের পুত্র এমদাদুল হক মিলন (৩৮), একই এলাকার শফিকুল ইসলামের পুত্র মোঃ নাজমুল হক (৩১) ও আবু সাঈদ’র পুত্র হৃদয় মিয়া (২৮)।
র্যাব জানায়, গত ১২ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া চা-বাগান এলাকায় সড়কে গাছ ফেলে যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গণ ডাকাতি করে ডাকাতদল। আর এতে করে ডাকাতদলের কবলে পড়ে সর্বস্ব খুইয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও চা-বাগানের ডিজিএমসহ সাধারণ লোকজন। ডাকাতরা লুট করে নিয়ে গেছে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোনসহ যাবতীয় মালামাল। ডাকাতির শিকার হন উপজেলার শাহজাহানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন চৌধুরী ও তেলিয়াপাড়া চা-বাগানের বাংলো থেকে ন্যাশনাল টি কোম্পানির ডিজিএম এমদাদুল হক মিঠু তার পরিবারের সদস্যরা।
এছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি যানবাহনে ডাকতির ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে এ ঘটনায় ১৩ ডিসেম্বর মাধবপুর থানায় একটি ডাকাতির মামলা হয়। যার নং- ১৬।
এ মামলার আসামীদের আইনের আওতায় আনতে র্যাব-৯ চাঞ্চল্যকর এই ডাকাতির ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে। এক পর্যায়ে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় এবং প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তিন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার করা হয়েছে লুন্ঠিত ৮টি মোবাইল ফোন।
র্যাব জানায়, ডাকাতি মামলার অন্যান্য পলাতক আসামীদের গ্রেফতার করতে র্যাব-৯ এর গোয়েন্দা তৎপরতা এবং চলমান অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের নামে ডাকাতি ছাড়াও বিভিন্ন থানায় একাধিক চুরি ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতদের মাধবপুর থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব।
মতামত দিন