জৈন্তাপুরে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী দোসরদের পুনর্বাসন মিশনে ইউএনও

জৈন্তাপুর উপজেলায় কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী দোসরদের পুনর্বাসনের মিশনে নেমেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ছালিক রুমাইয়া। তিনি অত্যন্ত সুকৌশলে বিগত সরকারের বিভিন্র দোষরদের সামনে আনার জোর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। এনিয়ে পুরো উপজেলাজুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

সর্বশেষ গত রোববার তিনি উপজেলার রণীফৌদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে ফ্যাসিস্ট আওয়ালীগ সরকারের অন্যতম সহযোগী যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আওয়ামীলীগের অর্থের যোগানদাতা ফয়েজ আহমদের সাথে অংশ নেন।

জানা যায়, এই অনুষ্ঠানটি ফয়েজ আহমদের অর্থায়নে হয়েছে। ফয়েজ আহমদ একজন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও আশির দশকে জামায়াত শিবির বিরোধী সংগ্রাম পরিষদের নেতা ছিলেন। তিনি বিগত ১৬ বছর জৈন্তাপুরে ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে কাজ করেছেন। ছাত্রজনতার আন্দোলনকে থামিয়ে দিতে ছাত্রলীগকে অর্থায়ন করেছেন এবং মুক্তিকামী ছাত্রজনতার বিরুদ্ধে পুলিশ ও ছাত্রলীগকে উষ্কে দিয়েছেন।

এছাড়াও ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার আস্থাভাজন সাবেক মন্ত্রী ইমরান আহমদের ঘনিষ্ঠ সহচর ফয়েজ। হাজার হাজার কোটি টাকার দূর্নীতির সাথে অভিযুক্ত ইমরান আহমেদকে নানা ভাবে প্রোমোট করেছেন তিনি।

উপজেলার রণীফৌদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই সভায় সরকারী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে তার অ়ংশগ্রহণে জনমনে বিরুপ ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরী হয়েছে। জৈন্তাপুরের সাধারণ জনগণ ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসন না করতে সরকারের স্থানীয় কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

এই সভায় সিলেট উত্তর জেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এবিএম জাকারিয়া উপস্থিত ছিলেন। এনিয়ে খোদ জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের মধ্যেও তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

জৈন্তাপুরে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দোসরদের পুনর্বাসনে ইউএনও উম্মে ছালিক রুমাইয়ার কার্যক্রমে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।