কক্সবাজার শহরের কলাতলী হোটেল-মোটেল জোনস্থ সৈকত পাড়ায় কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া নির্মাণ হচ্ছে একটি বহুলতল ভবন।
পানসিয়া রেস্টুরেন্টের মালিকের বড় ভাই মহিন উদ্দিন হক নামে এক ব্যক্তি অবৈধভাবে এই ভবন নির্মাণ করছে।
শুধু তাই নয়: ভবন নির্মাণে মানা হচ্ছে না বিল্ডিং কোডও। অন্যদিকে এই নির্মাণাধীন ভবনের লাগোয়া রয়েছে কউকের মাস্টার প্ল্যানের আওতাভুক্ত একটি সড়ক।
আধুনিকায়ন শহর গড়তে অনুমোদিতহীন ভাবে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে কঠোর মনিটরিং জোরদার করার জন্য কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের নিকট জোর দাবী জানান পরিবেশ বাদীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সৈকত পাড়া জামে মসজিদ সংলগ্ন উত্তর-দক্ষিণ সড়কটি কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মাস্টার প্ল্যানের আওতায় পড়েছে।
এই সড়ক লাগোয়া পূর্বপাশে নির্মাণ করছে ৫ তলা বিশিষ্ট ভবন। কয়েক দিন ধরে রাতদিন বেশ কিছু শ্রমিক দিয়ে তাড়াহুড়া নির্মাণ কাজ চালানো হচ্ছে। কিন্তু একদিকে জায়গাটি খাস, অন্যদিকে নেই উন্নয়ন কর্তপক্ষের অনুমোদন।
অনমোদন বিহীন মনগড়া নির্মাণাধীন এই ভবনে মানা হচ্ছে না বিল্ডিং কোডের কোনো নিয়ম।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভবন নির্মাণের জন্য ইতিমধ্যে সব সরঞ্জাম মজুদ করা হয়েছে এবং পিলারেরর জন্য ফাইলিং ও করা হচ্ছে। কিন্তু বিধি মতে চার পাশে রাখা হয়নি তিনফুট জায়গা।
কউকের অনুমোদন ছাড়া খাস জমিতে বহুতল এই ভবন নির্মাণে মহিন উদ্দিনকে অবৈধ সহযোগিতা করছে স্থানীয় তার মামা নুর উদ্দিন।
মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে কউকের অনুমোদনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এই অবৈধ ভবন নির্মাণে মালিক মহিন উদ্দিনকে সহযোগিতা করছেন তার মামা নুরউদ্দিন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কউকের অনুমোদন না নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন
মাহমুদুল হক।
তিনি আরোবলে, কিছু জায়গা খাস আছে, কউকের অনুমেদন ছাড়া বহুতল নির্মাণ কেন করা হচ্ছে, তা জানতে চাইলে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
স্থানীয়রা বলছেন, কউকের মাস্টার প্ল্যানের সড়ক লাগোয়া এভাবে অনুমোদনহীন বহুতল ভবন নির্মাণ করলে আগামীতে ওই সড়ক নির্মাণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে।
তাই এই ভবন নির্মাণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল (অ.) নূরুল আবছারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকার সচেতন লোকজন।
মতামত দিন