আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত ৪৪তম বিসিএসের ৩ হাজার ৯৩০ জন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা বাতিল করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। তাদের পুনরায় ভাইভা (মৌখিক পরীক্ষা) নেওয়া হবে। এ ছাড়া ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার সব উত্তরপত্র তৃতীয় পরীক্ষক দিয়ে মূল্যায়ন করা হবে। আর ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফল আবারও প্রকাশ করবে পিএসসি।
সোমবার চলমান ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পরীক্ষা নিয়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
কমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নবনিয়োগপ্রাপ্ত কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান ও আটজন বিজ্ঞ সদস্য কমিশনের সভায় ৪৪তম, ৪৫তম ও ৪৬তম বিসিএস পরীক্ষাসহ বিভিন্ন নন-ক্যাডার পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সন্দেহ সংক্রান্ত সব বিষয় গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করা হয়।
কমিশন উল্লিখিত পরীক্ষাগুলোর স্বচ্ছতা, ন্যায্যতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখার স্বার্থে সিদ্ধান্তগুলো গ্রহণ করে।
পিএসসি জানায়, ৪৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১১ হাজার ৭৩২ জন প্রার্থীর মধ্যে তিন হাজার ৯৩০ জন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা বিগত ১৮ জুলাই পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বিগত ২৫ আগস্ট মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। গত ৮ অক্টোবর তৎকালীন কমিশন পদত্যাগ করে। মৌখিক পরীক্ষায় সমমান বজায় রাখার জন্য পূর্বের কমিশন কর্তৃক গৃহীত ৪৪তম বিসিএস-২০২১ এর আংশিক অর্থাৎ তিন হাজার ৯৩০ জন প্রার্থীর গৃহীত মৌখিক পরীক্ষা বাতিল করে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সব প্রার্থী অর্থাৎ ১১ হাজার ৭৩২ জন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। শিগগিরই মৌখিক পরীক্ষার তারিখ জানানো হবে।
পিএসসি জানায়, ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজ চলমান এবং দ্বিতীয় পরীক্ষক কর্তৃক মূল্যায়নের কাজ প্রায় সমাপ্তির পথে। লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নে স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা বজায় রাখার স্বার্থে নতুন কমিশন সব উত্তরপত্র তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফল বিগত ৯ মে প্রকাশিত হয়। এ পরীক্ষায় ১০ হাজার ৬৩৮ জন প্রার্থীকে লিখিত পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়। এ ক্ষেত্রে সম্ভাব্য বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে নির্বাচিত প্রার্থীদের সঙ্গে আরও সমসংখ্যক প্রার্থী লিখিত পরীক্ষার জন্য যোগ্য বিবেচনা করে পুনরায় ফলাফল ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এছাড়াও বাংলাদেশ রেলওয়ের (উপসহকারী প্রকৌশলী) নন-ক্যাডার পদে অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যালোচনা করছে। খুব শিগগিরই এ পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
মতামত দিন