কাপাসিয়ার সিংহশ্রী ইউনিয়নের নয়ানগর গ্রামের রফিকুল ইসলামের বসতঘরে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট এবং শিশু ও মহিলাসহ চারজনকে মারপিট করে আহত করার বিচারের দাবিতে শুক্রবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। প্রতিপক্ষের হুমকির মুখে বাড়ি থেকে বের হতে অপারগ হয়ে তার নিজ বাড়িতেই সংবাদ সম্মেলন করতে বাধ্য হয়েছেন বলে তারা দাবি করেন।
ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলামের মেয়ে মোসাঃ তাহমিনা লিখিত বক্তব্যে জানান, তাদের পরিবারে তিন বোন ও এক ভাই থাকলেও দুই বোনের বিয়ে হয়ে গেছে এবং একমাত্র ভাই সৌদি আরবে থাকেন। এই সুযোগে প্রতিবেশি মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে মোঃ নাইম গত প্রায় দুই বছর ধরে তাদের দুই বিঘা ধানক্ষেত দখলের পায়তারা করছে। এ বিষয়ে তারা সিংহশ্রী ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করলে চেয়ারম্যান একাধিকবার শালিসের দিন ধার্য করলেও মোঃ নাইম ইউনিয়ন পরিষদে হাজির হন নি। পরে ইউপি চেয়ারম্যান তাদেরকে থানা পুলিশ অথবা আদালতে আশ্রয় নেওয়ার জন্য লিখিত পরামর্শ দেন। গত প্রায় এক বছর আগে জোরপূর্বক ওই ক্ষেতের ধান কেটে নিলে তারা কাপাসিয়া থানায় একটি মামলা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নাইম ও তার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে তাদেরকে মারপিট করেন। পরে এ বিষয়ে আদালতে একটি মামলা দিলে আদালত গত ২৩ ডিসেম্বর আদালত ওই জমির উপর স্থিতি আদেশ জারি করেন। কিন্তু তারা আদালতের আদেশ অমান্য করে ওই ক্ষেতে ধান আবাদ করতে গেলে রফিকুল ইসলাম নিষেধ করেন। এতে নাইম ক্ষিপ্ত হয়ে ১৫—১৬ জন লোক নিয়ে গত মঙ্গলবার দুপুরে রফিকুলের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর, লুটপাট ও মারপিট করে। এ ঘটনায় তারা ওই দিন সন্ধ্যায় নাইমসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ কেও এবং ৫—৬ জন অজ্ঞাতনামা আসামীর বিরুদ্ধে কাপাসিয়া থানায় একটি মামলা করেন। কিন্তু মামলা করার পর থেকে তারা নিয়মিত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তাই তারা বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত নাইম হাসানের সাথে কথা হলে সকল অস্বীকার করে বলেন, জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তাদের মাঝে দীর্ঘ দিন যাবৎ বিরোধ চলামান রয়েছে। থানা ও আদালতে প্রতিপক্ষের লোকজনের করা একাধিক মামলা চলমান রয়েছে।
এ ব্যাপারে কাপাসিয়া থানার ওসি মোঃ কামাল হোসেন জানান, জমি নিয়ে মারামারি ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মতামত দিন