ভালুকায় কারখানায় শ্রমিকের লাশ উদ্ধারের ৮ মাস পর হত্যা মামলা!
ইমন সরকার, ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহের ভালুকায় কারখানা শ্রমিক সাজ্জাদ হোসেন (২০) নিহতের পর দেড় মাস আগে ময়না তদন্ত রিপোর্ট এলেও রহস্যজনক কারণে ঘটনার ৮ মাস পর হত্যা মামলা রেকর্ড হয়েছে।
সোমবার (১২ মে) রাতে নিহতের বড় ভাই মোঃ সেলিম প্রধান বাদি হয়ে ভালুকা মডেল থানায় হত্যা মামলটি (নম্বর-১৭) দায়ের করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ভালুকা উপজেলার স্কয়ার মাষ্টারবাড়িস্থ ক্রাউন ওয়্যারস প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানীতে মোঃ সেলিম প্রধান ও বড় ভাই মোঃ সাজ্জাদ হোসেন চাকুরী করতেন। গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর সকালে সাজ্জাদ প্রতিদিনের মতো কাজে যোগ দিলেও দুপুরের পর থেকে নিখোঁজ হন।
টানা তিন দিন খোঁজাখুঁজির পর ২৯ সেপ্টেম্বর কারখানার বটম শাখার নির্মাণাধীন ভবনের লিফটের অবকাঠামোর ভেতর থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। পরে সেখানে তল্লাশি চালিয়ে অর্ধগলিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় সাজ্জাদের লাশ।
ওই ঘটনায় মডেল থানায় অপমৃত্যু মামলা (নম্বর-৬৬/২০২৪) হয়। গত দেড় মাস আগে ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসলেও রহস্যজনক কারণে পুলিশ মামলা নেয়নি। গত সোমবার (১২ মে) রাতে নিহতের বড় ভাই সেলিম প্রধানকে বাদি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
নিহতের বড় ভাই মোঃ সেলিম প্রধান জানান, তার ভাইকে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা খুন করে কোম্পানীর বটম শাখার নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ের লিফটের অবকাঠামোর ভিতর ফেলে যেতে পারে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত দেড় মাস আগে ময়না তদন্ত রিপোর্ট এলেও এবং রিপোর্টে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মারা যাওয়ার কথা উল্লেখ থাকলেও পুলিশ মামলা নিতে গড়িমসি করেছে।
মামলার তদন্তকারী অফিসার ও ভালুকা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোশারফ হোসেন জানান, মামলা রেকর্ড হওয়ার পর হত্যা রহস্য উৎঘাটনে তদন্ত হচ্ছে।
এ ঘটনায় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক হত্যার মতো ঘটনা থমকে থাকলে অপরাধীরা উৎসাহিত হবে। দ্রুত তদন্ত শেষে দোষীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানিয়েছেন তারা।
মতামত দিন