কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের ঈদগাঁও রেঞ্জের বিট কর্মকর্তা মমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে ৪৫ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ!
কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় বনের পশু-পাখি শিকারের অভিযোগ এনে তিন ব্যক্তিকে আটক রেখে মোটা অংকের উৎকোচ এবং খালি স্ট্যাম্প স্বাক্ষর ও মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে, ঈদগাঁও রেঞ্জেরের ভোমরিয়াঘোনা বনবিট কর্মকর্তার মমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার ১৯ মে ভোমরিয়াঘোনা বনবিট সংলগ্ন ধুইল্যা জিরি নামক স্থানের দোকানে অবস্থানকালে ঈদগাঁও ইউপি সাত নং ওয়ার্ড ভাদিতলার নুরুল ইসলাম ও পেটান আলীকে বন বিভাগের লোকজন ধরে বনবিট কার্যালয় নিয়ে যায়। সেখানে তাদের বিরুদ্ধে বনের পশুপাখি শিকারের অভিযোগ তুলে তাদেরকে রাত দিন আটক রাখে । পরদিন বুধবার রমিজ নামে এক ব্যক্তির তাদের দেখতে গেলে তাকেও আটকে রাখে বনবিট কর্মকর্তা মমিনুর রহমান। একের পর এক মামলার হুমকি দেখাচ্ছিলেন, এক পর্যায়ে দীর্ঘ দেনদরবারের পর বুধবার রাতে প্রতিজন পিছু ১৫ হাজার টাকা করে মোট ৪৫ হাজার টাকা নিয়ে তাদের কাছ থেকে খালি স্টাম্পের স্বাক্ষর ও ঘটনা কাউকে বলবে না মর্মে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয় বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
অভিযোগ উঠা বিট কর্মকর্তা মমিনুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে আটকের সময় তাদের কাছে কোন পশুপাখি পাওয়া যায়নি স্বীকার করে বলেন , আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের অনুরোধের আলোকে ভবিষ্যতে পশু পাখি শিকার করবে না মুচলেকা নিয়ে নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হয় । টাকা ও খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
ঈদগাঁও রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ উজ্জল হোসাইনের বক্তব্য নেওয়া, হলে তিনি বলে,লোক আটকের বিষয়টি বিট কর্মকর্তা আমাকে বলেছেন। তবে টাকা নেওয়ার বিষয়টি আমি জানিনা। এই লোকদের বিষয়ে মোবাইলে ঈদগাঁও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জিম্মায় নিয়েছে, তাই তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।বিট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার পর তার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করতে চাইলে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি।
এই বিষয়ে, উত্তর বন বিভাগের সহকারি বন কর্মকর্তা প্রাণ তোষ চন্দ্র রায়ের বক্তব্য নেওয়া হলে তিনি বলেন।আমি এই বিষয়ে রেঞ্জ অফিসার কে ফোন করে জানাচ্ছি, অর্থের লেনদেনের বিষয়ের কোন ধরনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মতামত দিন