ফুলছড়ি রেঞ্জে এক একর বনভূমি উদ্ধার করেছে বিট কর্মকর্তা (জুয়েল)
মতিউল ইসলাম (কক্সবাজার)
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের আওতাধীন ঈদগাঁও উপজেলা ইসলামপুর ইউনিয়নের ফুলছড়ি রেঞ্জ নাপিতখালী বিটে। জঙ্গল খুটাখালী মৌজার ছৈয়দ আলম মেম্বার প্লট নামে পরিচিত অরলতলীর পাহাড় নামক এলাকায়। জবর দখলকারীদের কবল থেকে বনভূমি উদ্ধার করে, উক্ত স্থানে বৃক্ষরোপণ অভিযান পরিচালনা করা হয়। ঐ স্থানে অপরাধীরা লেবু,লিচুর বাগানসহ ইটদিয়ে পানির হাউস নির্মাণ করে,যা ভেঙে ফেলা হয়। বন বিভাগের এফজি শাকাওয়াত,মর্তুজা আলী, হেডম্যান শফি আলম,এফসিভির সভাপতি বাহাদুল,ভিলেজার মো.কালু ,মো.শুক্কুর,এছাড়াও সুফল প্রকল্পের অরলতলী পাহাড়া দলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্ধাকৃত সংরক্ষিত বনভূমির পরিমাণ আনুমানিক ১ একর।
উক্ত বনভূমি ২০০২ আম,
কাঠাল,লিচু,লেবুর বাগান এর জবর দখলকারীদের কাছে ছিল। ২০০৩-০৪ অর্থ বছরে বনায়নের আওতায় আনা হয়েছিল।এখানে প্লট হিসেবে জবরদখল কারীদের দেখাশুনা করতে দেওয়া হয়েছিল।কিছু কিছু বনভূমি এলাকা বিভিন্ন প্রাকৃতিক ও বন অপরাধীদের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে। জবরদখলদারীদের দ্বারা বেদখল হয়ে ফল বাগান ককরার উদ্যোগ গ্রহণ করায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।এই বিষয়ে,বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মারুফ হোসেনের,বক্তব্য নেওয়া হলে তিনি জানান। প্রভাবশালীদের জদখলে থাকা সামাজিক বননের জায়গা অবশ্যই উদ্ধারের আওতায় নিয়ে আসা হবে। উদ্ধার তৎপরতা অভিযান চলমান থাকবে।
এই বিষয়ে সহকারী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা শীতল পালের বক্তব্য নেওয়া হলে তিনি বলেন। আমাদের সামাজিক বনায়নের জায়গায় অবৈধ দখল করে এবং স্থাপনা নির্মাণ করে থাকা যাবে না।আমাদের বেশ কিছু বনের জায়গা ইতিমধ্যে অভিযান পরিচালনা করে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি আগামীতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এই বিষয়ে নাপিত খালী বিট কর্মকর্তা জুয়েল চৌধুরীর বক্তব্য নেওয়া হলে তিনি বলেন।অবৈধ ভাবে বনের জমি দখল করা যাবে না,আজকে প্রায় এক একর বন ভূমি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। আগামীতেও ইনশাল্লাহ এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। বেশি বেশি গাছ লাগান এবং পরিবেশ বাঁচান।
মতামত দিন