কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন স্থানে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীর রাজত্ব শঙ্কায় স্থানীয়রা!
মতিউল ইসলাম (কক্সবাজার)
কক্সবাজারে বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে আছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে দেওয়া রেশন গুলো শহরের বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করেন বলে জানা যায়, মিয়ানমার থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে আসা রোহিঙ্গারা ঢুকে পড়ছে কক্সবাজার শহরে।অন্যদিকে বিভিন্ন এলাকায় রোহিঙ্গাদের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হিসেবে দখলচেষ্টার ঘটনায় ব্যবহার করা হচ্ছে,এই বিষয়ে স্থানীয় জনমনে চরম উদ্বেগ ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকায় বর্তমানে অধিকাংশ অংশই আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বিজিবির কার্যক্রম সীমিত হওয়ায় নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে।
যেখানে শহরতলীর আশপাশে প্রায় ৭০ হাজার রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ করে তারা পূর্ব পরিচিত বা নিকট আত্মীয়দের কাছে স্থান নিতে দেখা যায়। অনুসন্ধানে ওঠে তার বাস্তব চিত্র যা শহরের ১২নং ওয়ার্ড সৈকত পাড়া এলাকায় বিভিন্ন ভাড়া বাসা নিয়ে তাকতে দেখা যায় রোহিঙ্গাদের, সে সাথে সৈকত পাড়া মসজিদ সংলগ্ন আবদুল্লাহ কলোনি নামে ভাড়া বাসায় এসব নিবন্ধন করা রোহিঙ্গাদের থাকতে দেখা যায়, সে সাথে তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে দেওয়া রেশন খাদ্য সামগ্রী এনে বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করতে ও দেখা যায়। তারই পাশাপাশি এসব রোহিঙ্গারা সৈকত পাড়া এলাকায় অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে আছেন বলে জানান কয়েকজন বাসিন্দা, তারা বলেন এসব রোহিঙ্গারা প্রতিনিয়ত অসামাজিক আচরণ, বেপর্দায় চলাপেরা, সহ নানা সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালান,যা সমাজের কারও বাঁধা সৃষ্টিকে তোয়াক্কা করে না।
সৈকত পাড়া সমাজ ও মসজিদ কমিটির কয়েকজন সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা এসব রোহিঙ্গাদের প্রতিনিয়ত নানা অপরাধ কর্মকান্ড করতে দেখতে পান,সে সাথে তারা মাদক কারবারে ও জড়িত আছেন বলে জানান, যা সৈকত পাড়া এলাকায় এই আবদুল্লাহ কলোনিতে ভাড়ায় থাকা রোহিঙ্গাদের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেছে পূরো এলাকা, এবং সে সাথে জানান উক্ত কলোনির মালিক আবদুল্লাহ কে একাধিক বার সমাজ কমিটি থেকে ওয়ার্নিং দেওয়া হয় যা এসব রোহিঙ্গাদের তার দেওয়া ভাড়া বাসা থেকে যেন তাড়িয়ে দেন, কিন্তুু উক্ত কলোনির মালিক সমাজের দেওয়া ওয়ার্নিং কে তোয়াক্কা না করে উল্টো বলেন তারা রোহিঙ্গা নই বলে বিভিন্ন প্রকারে ধমক দিয়ে থাকেন।
স্থানীয়রা বলছেন, এই অবস্থা চলতে থাকলে পর্যটন নগরী কক্সবাজারের পরিবেশ ভারী হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা সচেতন মহলের।সে সাথে উখিয়া, টেকনাফ ও পার্বত্য এলাকার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে আরাকান বিদ্রোহীদের তৎপরতা বাড়ছে। এ সুযোগে কিছু রোহিঙ্গা দলে দলে সংগঠিত হয়ে বিভিন্ন জায়গায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, রোহিঙ্গাদের মধ্যে অস্ত্রধারী একটি চক্র সক্রিয় রয়েছে যারা দখল ও চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত।
জানা যায়, বৃহত্তর পাহাড়তলী এলাকার নুতন বাজার, জিয়া নগর,বাদশাঘোনা, মৌলবী পাড়া, ফাতের ঘোনা, সৈকত পাড়া, আবদুল্লাহর ঘোনা, ইসলামপুর, অল্লা ঘোনা, আবু উকিলের ঘোনা,শাহ নূর পাড়া,বাচা মিয়ার ঘোনা, আদর্শ গ্রাম, টেকনাফ পাহাড় এলাকা, হালিমা পাড়া, নুরু সওদাগরের ঘোনা,সত্তর ঘোনা, সিরাজের ঘোনা, নজির হোসেনের ঘোনা,পল্লাইন্য কাটা, সমিতি ঘোনা এলাকায় কমপক্ষে ২০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা এসেছে। যারা বেশির ভাগই বিভিন্ন বাসা বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।
এ বিষয়ে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন বলেন, আমরা সব রোহিঙ্গাকে বালুখালীতে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করব।
মতামত দিন